বাংলাদেশি ইমিগ্রান্টদের ফেরত পাঠানোর মন্তব্যঃ লেবার নেতার মন্তব্যের প্রতিবাদ করলেন রাবিনা খান, এমপি নির্বাচিত হলে ইমিগ্রান্টদের পাশে দাঁড়াবেন
বাংলা সংলাপ রিপোর্টঃ লেবার নেতা কেয়ার স্টারমার বলেছেন তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে অবৈধ বাংলাদেশিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাবেন। গতকাল দ্যা সান আয়োজিত ইমিগ্রেশন পলিসি নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে কেয়ার স্টারমারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বাংলাদেশি ইমিগ্রান্টদের উদাহরন হিসেবে তুলে ধরে বলেন যে সকল অবৈধ ইমিগ্রান্ট এ দেশে আছে তাদেরকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরের দিন থেকে এদেরকে বিমান করে ফেরত ফ্লাইটে পাঠিয়ে দিবেন। স্টারমার রুয়ান্ডা স্কিম বাতিল করে দিবেন। মিঃ স্টারমারের বাংলাদেশি মাইগ্রান্টদের নিয়ে নেগেটিভ মন্তব্য বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ব্রিটিশ বাংলাদেশি ৪ জন এমপি বর্তমানে লেবার পার্টিতে আছেন, তাছাড়া কমিউনিটির একটা বৃহৎ অংশ লেবার পার্টিকে সাপোর্ট করেন, এরা কোন কিছু বাদ বিচার না করেই লেবারকে ভোট দিয়ে থাকেন। অতচ সেই লেবার নেতার বাংলাদেশিদের নিয়ে এরুপ নেগেটিভ মন্তব্য বেশ সমালোচিত হয়েছে। অবৈধ ইমিগ্রান্টদের শীর্ষে থাকা ইন্ডিয়া, নাইজেরিয়া, চায়না পাকিস্তান, জিম্বাবুয়ে, ঘানা, আলবেনিয়া মতো দেশ থাকার পরও বাংলাদেশকে কেন লেবার নেতা স্টারমার নজরে আনলেন তা প্রশ্নবিদ্ধ।
লেবার নেতা স্টারমারের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বেথনাল গ্রীণ ও স্টেপনি আসনের লিবডেম প্রার্থী রাবিনা খান। তিনি বলেছেন, আমাদের পূর্ব পুরুষরা যারা এদেশে এসেছেন তাদের অনেকেই লেবার পার্টির সাথে সম্পৃক্ত। স্টারমার ইমিগ্রেশন পলিসি নিয়ে আলচনা করেছেন, কিন্তু এখানে বাংলাদেশিদের উল্লেখ করে তিনি কি বুঝাতে চেয়েছেন, লেবার পার্টিতে আমাদের মানুষের কোন দাম নেই? আমাদের বাবা মা যারা আগে এসেছেন তারা ব্রিটিশ সোসাইটিতে অনেক কন্ট্রিবিউশন করেছেন। ইউরোপিয়ান ভাই বোন যারা এসেছেন তারাও ব্রিটিশ সোসাইটিতে কন্ট্রিবিউশন করেছেন। লেবার নেতার এই বক্তব্য গ্রহনযোগ্য না। রাবিনা বলেন, লেবার পার্টিতে অনেক সিনিয়র মেম্বার আছেন যারা বাংলাদেশি, টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রীণ এবং স্টেপনি আমরা সব সময় ইমিগ্রান্ট কমিউনিটিকে স্বাগত জানিয়েছি। লিবডেম একটা ফেয়ার ইমিগ্রেশন সিস্টেম চায়, পারিবারিক ভিসায় ১৮,০০০ ইনকামের থ্রেশহোল্ড ২৯,০০০ পাউন্ডে নির্ধারন করেছে কনজারভেটিভ সরকার, পরবর্তী বছর এটা আরও বেড়ে প্রায় ৩৯০০০ পাউন্ড হবে, লিবডেম ইনকামের থ্রেশহল্ড তুলে দিয়ে ১৮,০০০ পাউন্ডে নিয়ে আসবে। ফলে স্পাউস বা ডিপেন্ডেন্টরা সহজে দেশ থেকে আসতে পারবেন। মিসেস খান আরও বলেন, আমরা লিবডেমের পক্ষ থেকে একটা ফেয়ার ইমিগ্রেশন পলিসি রাখবো, যেভাবে লেবার নেতা বার বার বাংলাদেশিদের আউট করে দেওয়ার কথা বলছেন ,আমরা এটা করব না। আমি এমপি হলে আমার বাংলাদেশি কমিউনিটি সহ অন্য কমিউনিটির যারা এদেশে এসেছেন , এসাইলাম প্রার্থী আছেন আমি তাদেরকে সংসদে তুলে ধরবো, কেননা প্রত্যেকের এদেশে থাকার অধিকার আছে, আমি এটা তুলে ধরবো, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই করবো , কারন আমরা কমিউনিটির সবাইকে একে অন্যে জানি , আমরা কাউকে ছাড়তে পারিনা , সবাই আমাদের আপনজন, তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। রাবিনা বলেন বাংলাদেশি, সোমিয়া সহ অন্যান্য কমিউনিটির যারা এখানে আছেন তাদের পাশে দাঁড়াবো ।