ভেনেজুয়েলায় জরুরি অবস্থা জারি, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের দিকে
বাংলা সংলাপ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র এবং ওপেকভুক্ত কয়েকটি দেশ তার বামপন্থি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করছে- এমন অভিযোগ এনে ভেনেজুয়েলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, শুক্রবার দেশজুড়ে ৬০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট মাদুরো।
মূদ্রাস্ফীতিসহ খাদ্য ও বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের দরুন অস্থিরতা বিরাজ করছে ভেনেজুয়েলায়। এ পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করলেও জরুরি অবস্থার আওতায় গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
শুক্রবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেন, ভেনিজুয়েলার ডানপন্থীদের মদদ দিচ্ছে ওয়াশিংটন। ব্রাজিলের অভ্যুত্থান থেকে তারা অনুপ্রাণিত হয়েছে। তার নেতৃত্বে পরিচালিত বামপন্থী সরকারকে নাজেহাল করতেই যুক্তরাষ্ট্র অস্থিরতা তৈরির ষড়যন্ত্র করছে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফের সঙ্গে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। তার অভিশংসনকে অভ্যুত্থান হিসেবেই দেখছে ভেনেজুয়েলা।
এদিকে, শুক্রবার সকালে মার্কিন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তারা ভেনেজুয়েলার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে ভেঙে পড়া সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। মাদুরো তার মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেছেন তারা। তবে মাদুরো নিজের মেয়াদ পুরো করার বিষয়ে এখনো বেশ অনড়। আর এ কারণেই তিনি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
এর আগে গত বছর কলম্বিয়া সীমান্তের কাছে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এবারের জরুরি অবস্থা প্রসঙ্গে বিরোধী দল বলেছে, প্রেসিডেন্ট মাদুরো আবারও সংবিধান লঙ্ঘন করলেন।