বেথনালগ্রীণ এবং স্টেপনিঃ লেবারের দুর্গ ভেঙ্গে দিতে পারেন রাবিনা

Spread the love

ডেস্ক রিপোর্টঃ বাঙালি অধ্যুষিত বেথনালগ্রীণ এন্ড স্টেপনি আসন নিয়ে চলছে ভোটের হিসেব নিকাশ, ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ এই আসনে এবার কে হচ্ছেন এমপি। তছনছ হয়ে যেতে পারে লেবারের দুর্গ। লেবারের প্রার্থী রুশনারা আলীর বিকল্প হিসেবে লিবডেম প্রার্থী রাবিনা খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আজমল মশরু এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন রুশনারা আলীর উপর মানুষের বিরক্তি আর ক্ষোভের কারণে বিকল্প হিসেবে বাঙালি প্রার্থী রাবিনা খানকে বেঁচে নিতে পারেন।

ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে লেবার এমপি রুশনারার উপর এমনিতে মানুষের ক্ষোভ, সেই সাথে তার দলের নেতা কেয়ার স্টারমারের বাংলাদেশি মাইগ্রান্ট নিয়ে বর্ণবাদী বক্তব্য মিসেস আলীর জন্য সর্বনাশ হয়ে দাঁড়িয়েছে । বেথনাল্গ্রীন স্টেপনি এলাকা বাঙালি অধ্যুষিত হওয়ায় এই আসনের এমপি নির্বাচিত হন বাঙালিদের ভোটে। রুশনারা আলী এবার সেই ভরসা হারিয়ে ফেলেছেন।

সাবেক লেবার প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের একটি ভিডিও সোসিয়াল মিডিয়ায় স্পনসরশীপ দিয়ে পোস্ট করেছেন রুশনারা আলী। ভিডিওটির বেশিরভাগ কমেন্ট ছিল নেগেটিভ। গর্ডন ব্রাউনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ থাকলেও কমেন্টে রুশনারা আলীকে গাজা যুদ্ধ বিরতি ভোট থেকে বিরত থাকা এবং তার দলের নেতা স্টারমারের বর্ণবাদী মন্তব্যের কারণে জনরোষের সম্মুখিন হতে হয়। মিসেস আলী ফেইসবোক থেকে কিছু পোস্ট ডিলেট করতে বাধ্য হন।

সম্প্রতি একটি ভিডিওতে দেখা যায় মিসেস আলী একটি স্কুলে নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করতে গিয়ে জনরোষে পড়েছিলেন। ভিডিওতে দেখা যায় একজন কিছু একটা জিজ্ঞেস করতে চাইছেন কিন্তু মিসেস আলী ইগনর করে চলে যাচ্ছেন।

বেথনাল গ্রিন স্টেপনি আসনে প্রার্থী হয়েছেন লিবডেম থেকে বাঙালি প্রার্থী রাবিনা খান। মিসেস খান টাওয়ার হ্যামলেটস এর ১২ বছরের কাউন্সিলার, বেথনালগ্রীণ এবং স্টেপনির জনগণের সাথে ঘনিষ্টভাবে কাজ করছেন। মেইন্সট্রীম রাজনীতিতে মিসেস খানের একটি শক্তিশালী অবস্থান। হাউস অফ লর্ডসের একজন বিশেষ উপদেষ্টা । এছাড়াও রাবিনা একজন লেখক, ক্যাম্পেইনার, সোসিয়াল ওয়ার্কার, যে লোকটি জীবনের বেশির ভাগ সময় মানুষের সেবায় ব্যয় করেছেন।

এই আসনের বাঙালি ভোটাররা ঐতিহ্যগতনভাবে লেবার প্রার্থীকে ভোট দিয়ে থাকেন। সে হিসেবে ২০১০ সালে রেসপেক্ট পার্টির প্রার্থী আবজল মিয়াকে পরাজিত করে রুশনারা আলী লেবারের পক্ষে এই আসনে জয়ী হন। এভাবে তিনি প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তি হিসেবে এমপি নির্বাচিত হন।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৬০শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিলেন, তিনি ৩৭,৫২৪ ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিলেন। এই আসনে কনজারভেটিভ প্রার্থী ৬,৫২৮ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে এবং লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা ৫,৮৯২ ভোট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

২০১০ সাল থেকে এটি একটি নিরাপদ লেবার আসন হিসাবে দেখা হচ্ছে। যাইহোক, দলটি ২০১৯ সালের নির্বাচনে টাওয়ার হ্যামলেটস স্থানীয় কাউন্সিলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল মেয়র লুতফুর রহমানের অ্যাসপায়ার পার্টির কাছে।

গাজা যুদ্ধবিরতি ভোটে রুশনারা আলী বিরত থাকায় মুসলিম তথা বাংলাদেশি ভোটাররা তার উপর ক্ষুব্ধ । আসনটি লেবারের নিরাপদ থাকায় রুশনারা কাউকে তোয়াক্কা করেন না। কমিউনিটি থেকে প্রায়ই বিচ্ছিন্ন থাকেন তিনি, জরুরী প্রয়োজনেও তাকে কমিউনিটির কোন কাজে পাওয়া যায়না। গাজা ইস্যু নিয়ে কমিউনিটির মানুষ রুশনারার বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইনও করেছেন। যেহেতু বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা তাই ভোটাররা বিকল্প প্রার্থী না পেয়ে রুশনারা আলীকে বার বার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন।

রুশনারার দাবী ১৪ বছর ধরে তিনি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে পার্লামেন্টে কথা বলে আসছেন। তার ফেইসবোক পেজে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায় ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে তিনি পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ফিলিস্তিন যুদ্ধ বিরতির ভোট থেকে তিনি কেন বিরতি থাকলেন? কেনইবা তিনি যুদ্ধ বিরতির আহবান জানান নি !
বাংলাদেশি মাইগ্রান্ট নিয়ে লেবার নেতা স্টারমারের বর্ণবাদী মন্তব্যের একটি দায়সারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন রুশনারা আলী।

রাবিনা খান ১২ বছর ধরে স্থানীয় কাউন্সিলর ছিলেন, হাউস অফ লর্ডসের একজন বিশেষ উপদেষ্টা, তিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিবারের সাথে স্টেপনিতে বসবাস করছেন।একজন ক্যাম্পেইনার ও সাবেক কাউন্সিলর হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে তার একটি সু সম্পর্ক রয়েছে। রাবিনা প্রতিটি দরজায় কড়া নাড়ছেন।
রাবিনা ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বিরতির দাবী জানিয়েছেন, তার দল লিবডেমও যুদ্ধ বিরতির আহবান জানিয়েছে, মিসেস খান ফিলিস্তিনিদের জন্য নিয়মিত ক্যাম্পেইন করে যাচ্ছেন।

আমাদের রাজনীতিতে যা ভাঙা হয়েছে তা ঠিক করতে চান খান, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এবং জলবায়ু সংকটে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে এবং একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্বের জন্য লড়াই করতে চান মিসেস খান।

তাঁর দল লিবডেম শান্তির পক্ষে দাঁড়িয়েছে – দলের সকল সংসদ সদস্য গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করেছেন, একটি দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব করেছেন এবং সমস্ত জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তির আহবান জানিয়েছেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশি কমিউনিটিকে নিয়ে লেবার নেতা স্টারমারের বর্ণবাদী মন্তব্য বেশ তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। লেবার নেতা স্টারমারের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বেথনাল গ্রীণ ও স্টেপনি আসনের লিবডেম প্রার্থী রাবিনা খান। তিনি বলেছেন, আমাদের পূর্ব পুরুষরা যারা এদেশে এসেছেন তাদের অনেকেই লেবার পার্টির সাথে সম্পৃক্ত। স্টারমার ইমিগ্রেশন পলিসি নিয়ে আলোচনা করেছেন, কিন্তু এখানে বাংলাদেশিদের উল্লেখ করে তিনি কি বুঝাতে চেয়েছেন, লেবার পার্টিতে আমাদের মানুষের কোন দাম নেই? আমাদের বাবা মা যারা আগে এসেছেন তারা ব্রিটিশ সোসাইটিতে অনেক কন্ট্রিবিউশন করেছেন। ইউরোপিয়ান ভাই বোন যারা এসেছেন তারাও ব্রিটিশ সোসাইটিতে কন্ট্রিবিউশন করেছেন। লেবার নেতার এই বক্তব্য গ্রহনযোগ্য না। রাবিনা বলেন, লেবার পার্টিতে অনেক সিনিয়র মেম্বার আছেন যারা বাংলাদেশি, টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রীণ এবং স্টেপনি আমরা সব সময় ইমিগ্রান্ট কমিউনিটিকে স্বাগত জানিয়েছি। লিবডেম একটা ফেয়ার ইমিগ্রেশন সিস্টেম চায়, পারিবারিক ভিসায় ১৮,০০০ ইনকামের থ্রেশহোল্ড ২৯,০০০ পাউন্ডে নির্ধারন করেছে কনজারভেটিভ সরকার, পরবর্তী বছর এটা আরও বেড়ে প্রায় ৩৯০০০ পাউন্ড হবে, লিবডেম ইনকামের থ্রেশহল্ড তুলে দিয়ে ১৮,০০০ পাউন্ডে নিয়ে আসবে। ফলে স্পাউস বা ডিপেন্ডেন্টরা সহজে দেশ থেকে আসতে পারবেন। মিসেস খান আরও বলেন, আমরা লিবডেমের পক্ষ থেকে একটা ফেয়ার ইমিগ্রেশন পলিসি রাখবো, যেভাবে লেবার নেতা বার বার বাংলাদেশিদের আউট করে দেওয়ার কথা বলছেন ,আমরা এটা করব না। আমি এমপি হলে আমার বাংলাদেশি কমিউনিটি সহ অন্য কমিউনিটির যারা এদেশে এসেছেন , এসাইলাম প্রার্থী আছেন আমি তাদেরকে সংসদে তুলে ধরবো, কেননা প্রত্যেকের এদেশে থাকার অধিকার আছে, আমি এটা তুলে ধরবো, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই করবো , কারন আমরা কমিউনিটির সবাইকে একে অন্যে জানি , আমরা কাউকে ছাড়তে পারিনা , সবাই আমাদের আপনজন, তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। রাবিনা বলেন বাংলাদেশি, সোমালিয়া সহ অন্যান্য কমিউনিটির যারা এখানে আছেন তাদের পাশে দাঁড়াবো ।

রাবিনা জানান, বেথনাল গ্রিন এবং স্টেপনিতে, আমি সবকিছু দেখেছি – সিটির সম্পদ থেকে স্থানীয় সংগ্রাম পর্যন্ত। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাগুলি আমাকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রেরণা দেয়। একজন মা হিসাবে, আমি বুঝতে পারি আমাদের শিশু এবং যুবকদের চ্যালেঞ্জগুলি, বিশেষত কোভিডের পরে। আমি আমাদের তরুণদের জন্য আরও ভালো সুযোগের জন্য প্রচার এবং প্রচেষ্টা করব।
একটি ছোট দল হিসাবে, আমরা লেবার এবং কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ে বেশি অর্জন করছি। আমাদের ভোটাররা এমন একেকজন রিপ্রেজেন্টেটিভ পাবেন যারা আমাদের পার্টি এবং সংসদ উভয়ের মধ্যে পরিবর্তন আনতে পারেন। যখন আমাদের কমিউইনিটির পক্ষে দাঁড়ানোর কথা আসে, আমি পদক্ষেপ নিতে ভয় পাই না। তাছাড়া, আমাকে সাপোর্ট দিলে আপনারা এমন একজন এমপি পাবেন যে বেথনাল গ্রিন এবং স্টেপনি নির্বাচনী এলাকার কেন্দ্রস্থলে বসবাস করেন। আমি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এখানে বাস করছি; আমার সন্তানরা লন্ডন হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেছে এবং স্থানীয় স্কুলে গিয়েছে। লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা দুইবার যুদ্ধবিরতির পক্ষে এবং অবিলম্বে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ভোট দিয়েছে।
আমাকে নির্বাচিত করলে, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে টাওয়ার হ্যামলেটসে সবচেয়ে ব্যস্ত সংসদীয় সার্জারি হবে। হাউজিং, ভাড়া, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক, স্কুল এবং অভিবাসনের বিষয়ে উদ্বেগ আমার জন্য গভীরভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একজন কাউন্সিলর হিসাবে আমার রেকর্ড নিজেই কথা বলে, আমি সবচেয়ে ব্যস্ত সার্জারি পরিচালনা করেছিলাম। একটি দল হিসাবে, আমরা অনেক কিছু অর্জন করতে পারি, কিন্তু একটি কমিউনিটি হিসাবে, আমরা আরও বেশি কিছু অর্জন করতে পারি। শুধুমাত্র গাজা সম্পর্কেই নয়, বরং সকল ধরনের জটিল রাজনৈতিক সমস্যার ব্যপারেই আমি সোচ্চার।

আমি যদি আপনাদের সাংসদ নির্বাচিত হই তখন আমাদের কমিউনিটির কাছে আরো অ্যাক্সেসযোগ্য হবো। ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় এবং উচ্চ এনার্জি বিলের মতো সমস্যাগুলি মোকাবেলা করা, মানুষের আবাসন সমস্যাগুলির পক্ষে ওকালতি করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে আরও অন্তর্ভুক্ত এজেন্ডা করব।

জনগণ ও সম্প্রদায় আমার কাজের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে – একজন আসনের এমপি হওয়া শুধু একটি দায়িত্ব নয়; এটা আমার অটল অগ্রাধিকার। আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে গেছে, অনেকে শক্তিহীন বোধ করছে। আপনার এমপি হিসেবে আমি এটিকে পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করব। এক শতাব্দী ধরে, লিব ডেমস ন্যায্য ভোট, সমান ক্ষমতা এবং জবাবদিহিতার জন্য লড়াই করেছে। আসুন ব্রিটিশ রাজনীতিকে আরও প্রাসঙ্গিক, আকর্ষক এবং আমাদের প্রয়োজনের প্রতি প্রতিক্রিয়াশীল হতে রূপান্তরিত করি।

বেথনাল গ্রিন এবং স্টেপনী আসনে আরেক বাঙালি প্রার্থী আজমল মশরু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আজমল মশরুর এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কারণটা অনেকটা প্রশ্নবিদ্ধ। তার প্রার্থীতা নিয়ে অনেকেই অখুশি। বলা হচ্ছে রাবিনাকে হারানোর জন্য একটি গ্রুপ আজমল মশরুকে প্রার্থী করেছেন। মিঃ মশরু এর আগেও এই আসনে এমপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩০০০ ভোট পেয়েছেন।

এবারের নির্বাচনে রাবিনা খান রুশনারা আলীর বিরুদ্ধে একজন শক্তিশালী প্রার্থী এটা স্পস্ট, যদিও এখানে লেবারের দুর্গ তাই তাকে নির্বাচনে জিততে অনেকটা পরিশ্রম করতে হবে। রুশনারা আলির অহংকার ভাঙতে হলে বাঙালি ভোটারদের বুঝাতে হবে এই আসনে মিসেস খান বাঙালির যোগ্য প্রতিনিধি। এখানে লিবডেমের ৫ হাজারের বেশি নিজস্ব ভোট রয়েছে, একেত্রে আজমল মশরুর নিজস্ব কোন ভোট নেই বললে চলে। বাঙালিদের সাপোর্ট পেলে এই আসনে লেবারের দুর্গ তছনছ হয়ে যেতে পারে, যেমনটা টাওয়ার হ্যামলেটস মেয়র নির্বাচনে ভোটাররা সংখ্যাগরিস্ট ভোটে লুতফুর রহমানকে লেবারের দুর্গ ভেঙ্গে দিয়ে ফিরিয়ে এনেছিল।চ

এই আসনে কনজারভেটিভ থেকে প্রার্থী হয়েছেন অস্কার রেনি। তিনি বাংগালীদের কাছে তেমন একটা পরিচিত না হলেও কনজারভেটিভ পার্টির নিজস্ব ভোট পাবেন বলে আসা করা হচ্ছে। অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন স্বতন্ত্র থেকে রেগি অ্যাডামস, মোঃ সোমন আহমেদ, গ্রিণ পার্টি থেকে ফোবি গিল, এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার পার্টি থেক ভেনেসা হাডসন,
সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির জন মাবুট , রিফর্ম ইউকে থেকে পিটার স্কিয়েটস এবং স্বতন্ত্র শাম উদ্দিন ।


Spread the love

Leave a Reply