ভূমধ্যসাগরে ইজিপ্টএয়ারের ধ্বংসাবশেষ ও যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
বাংলা সংলাপ ডেস্ক:
ভূমধ্যসাগরে ইজিপ্টএয়ারের একটি বিমান বিধ্বস্ত নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর অনুসন্ধানকারী দল সেখান থেকে কয়েকটি দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে গ্রিস ও মিশর কর্তৃপক্ষ। দূর্ঘটনায় বিমানটির ৬৬ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে মিসরের সামরিক বাহিনী। এছাড়াও বিমানটির কয়েকটি আসন ও লাগেজ সাগরে ভাসতে দেখা গেছে বলেও জানিয়েছে তারা।
মিসরের রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থার এয়ারবাস এমএস৮০৪ বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৯ মিনিটে কায়রোর উদ্দেশ্যে ফ্রান্সের শার্ল দা গল বিমানবন্দর ছাড়ে। কিন্তু গ্রিক আকাশসীমা পেরোনোর পরপরই কায়রোর স্থানীয় সময় বুধবার রাত ২টা ৪৫ মিনিটে বিমানটি রেডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।
এরপর ফ্রান্স প্রথমে ভূমধ্যসাগরে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর মিসরের বিমান পরিবহনমন্ত্রী জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির তুলনায় সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা অনেক বেশি। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোঁয়া ওলাঁদ বলেছেন, তদন্ত শেষে মিসরীয় বিমানটির দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে। এছাড়াও ফরাসি কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখছে শার্ল দ্য গল বিমানবন্দরে কোনো নিরাপত্তা গাফিলতি ছিল কি-না।
মিসরীয় সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, আলেকজান্দ্রিয়া শহরের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে সাগরে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ ও যাত্রীদের জিনিসপত্র পাওয়া গেছে। গ্রিসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পানোস কামেনোস বলেছেন, মানুষের দেহাবশেষ, বিমানের দুটি আসন এবং অন্তত একটি স্যুটকেস পাওয়া গেছে।
তিনি বলেছেন, বিমানটি যে এলাকায় রাডার থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল তার সামান্য দক্ষিণে এসব বস্তুর সন্ধান মিলেছে। এখন বিমানটির ফ্লাইট রেকর্ডারের খোঁজে তল্লাশি চলছে। গ্রিস, মিসর, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের সেনা ইউনিটগুলো গ্রিসের কারপাথোস দ্বীপের কাছে তল্লাশি তৎপরতা চালাচ্ছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা ধারনা করছে, ভয়াবহ এ দূর্ঘটনার পর বিমানের মূল অংশ হয়তো আর কখোনোই খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে না।