বাংলাদেশে বর্বর ছাত্র হত্যার ঘটনায় মন্তব্য না করায় টিউলিপ সিদ্দিকির সমালোচনা করল ইংলিশ মিডিয়া
ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশ সরকার বাহিনী কর্তৃক ইতিহাসে বর্বরতম ছাত্রহত্যার ঘটনায় দেশ জুড়ে কারফিউ চলছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছাত্র ছাত্রী এবং প্রবাসীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিক্ষক বাংলাদেশে নিঃসস ছাত্রহত্যার প্রতিবাদ করে নিন্দা জ্ঞাপন করছে। একই সাথে ব্রিটিশ বাংলাদেশি এমপি রুশনারা আলী, রুপা হক ও আফসানা বেগম উদ্বেগ প্রকাশ করে ছাত্রহত্যার নিন্দা জানিয়েছেন। কিন্তু ব্রিটিশ বাংলাদেশি এমপি টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশে সরকার বাহিনী কর্তৃক বর্বরতম ছাত্রহত্যার ঘটনায় কোন মন্তব্য করেননি। মিসেস সিদ্দিক বরাবরই বাংলাদেশের কোন ইস্যু নিয়ে মন্তব্য থেকে বিরত থাকেন। সম্প্রতি তার দলের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার বাংলাদেশি মাইগ্রান্ট নিয়ে একটি বর্ণবাদী মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচিত হন। দ্যা সান আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পরের দিন মিস্টার স্টারমারকে অন্য মাইগ্রান্ট দেশ যারা ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেন যেমন ইরান,ইরাক,সিরিয়া,অফগানিস্তান, আলবেনিয়ার মতো দেশের নাম না বলে তিনি কেনো বাংলাদেশের নাম নিলেন কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। মিঃ স্টারমার এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাননি। এই ঘটনায় ব্রিটেনে বাংলাদেশি প্রবাসীরা ফুসে উঠে এবং ব্যাপক প্রতিবাদ জানায়। ব্রিটিশ বাংলাদেশি এমপি আফসানা বেগম,রুশনারা আলী প্রতিবাদ জানালেও টিউলিপ সিদ্দিক এই ঘটনায় কোন মন্তব্য করেননি। বাংলাদেশের সম্প্রতি ছাত্র হত্যার ঘটনায় মন্তব্য না করায় সমালোচনা করেছে ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা ডেইলি মেইল। পত্রিকাটি বলেছে মিসেস সিদ্দিক বাংলাদেশের স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনজি, যিনি সরকারি চাকরির জন্য একটি বিতর্কিত কোটা ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। সিদ্ধান্তটি দেশে ব্যাপক দাঙ্গার প্ররোচনা দেয়, এ পর্যন্ত ১৩০ জনেরও বেশি ছাত্র নিহত হয়েছে। মিসেস সিদ্দিক এই ঘটনার মন্তব্য থেকে দূরে রয়েছেন। পত্রিকাটি আরও বলে মিসেস সিদ্দিক ইরান থেকে নাজানিন জাঘরি-র্যাটক্লিফের মুক্তির জন্য প্রচারণা চালিয়ে নিজের সুনাম তৈরি করেছিলেন, কিন্তু বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে নীরব থাকার জন্য সমালোচিত হয়েছেন।