সিরাজগঞ্জে ‘গণপিটুনিতে’ ১৩ পুলিশ সদস্য, গুলিতে তিন শিক্ষার্থী নিহত
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ‘গণপিটুনিতে’ ১৩ জন পুলিশ সদস্য এবং গুলিতে ৩ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে থানায়।
প্রাথমিকভাবে নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে নিহতদের মধ্যে এসআই, ওসিও থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাকের এখন পর্যন্ত কোনো হদিস মেলেনি।
১৩ পুলিশ সদস্যের নিহতের বিষয়টি স্বীকার করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় চন্দ্র বসাক। সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানিয়েছেন, শুনেছি আমাদের পুলিশের অনেকেই মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে সেনা সদস্যদের পাঠানো হচ্ছে। আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
নিহত আন্দোলনকারীদের মধ্যে এনায়েতপুরের বেতিল গ্রামের কলেজছাত্র শিহাব ও সিয়াম এবং খুকনি গ্রামের মোহাম্মদ ইয়াহিয়া রয়েছেন। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কৌশিক আহমেদ। এছাড়া এই হাসপাতালে আরও ৩ সদস্য গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে রোববার সকাল থেকে খামারগ্রাম ডিগ্রি কলেজ ও খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা এনায়েতপুরের বিভিন্ন রাস্তায় মিছিল করে। পুলিশ আন্দোলনকারীদের হটাতে টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা থানায় ঢুকে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। পুলিশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ‘গণপিটুনিতে’ ১২ পুলিশ সদস্য মারা যায়। রাবার বুলেটের আঘাতে দুই আন্দোলনকারী খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।