শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এখনও উত্তাল বাংলাদেশ, বিবিসির প্রতিবেদন

Spread the love

বাংলাদেশে সরকারবিরোধী আন্দোলনকারী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ উভয়ই রোববার সারাদেশে কর্মসূচী পালন করছে। এতে পরিবেশ এখন উত্তপ্ত। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির ওপর ৪ আগস্ট একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। এতে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে জুলাইয়ের শুরুতে যে বিক্ষোভ শুরু করেছিল শিক্ষার্থীরা তা এখন আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া গত দুই সপ্তাহে ১০ হাজারের বেশি মানুষকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। আটককৃতদের মধ্যে বিরোধী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই বেশি।
বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এখন সরকার পতনের ডাক দিয়েছে। তারা দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রোববার থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তারা নাগরিকদের ট্যাক্স বা ইউটিলিটি বিল না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এছাড়া সারা দেশের সকল কলকারখানা ও গণপরিবহন বন্ধেরও ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর দল আওয়ামী লীগও আজ সারা দেশে কর্মসূচি পালন করছে। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী কয়েক দিনের জন্য উভয় পক্ষই মারমুখী অবস্থানে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে হাজারো ছাত্রজনতার ঢল নামে। এসময় দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য দেন ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা নাহিদ ইসলাম। তিনি সেখানে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন। এ বছরের জানুয়ারিতে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। প্রধান বিরোধী দলের বর্জন করা ওই নির্বাচনের কয়েক মাস পার না হতেই ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শিক্ষার্থীরা দেশের সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। পরে তাদের ওপর হামলায় এই আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠে। যদিও পরবর্তীতে সরকার কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নিয়েছে। তারা বেশির ভাগ নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু কয়েক শ শিক্ষার্থী হতাহত এবং দেশ জুড়ে ধর-পাকড়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা এখন একটি দাবি উত্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ। তবে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা পদত্যাগের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিঃশর্ত সংলাপের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা।
শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে তাদের কথা শুনতে চাই। আমি কোনো সংঘাত চাই না। তবে সে প্রস্তাবে একমত হয়নি শিক্ষার্থীরা।


Spread the love

Leave a Reply