হাসিনার ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের সাথে লেবার মন্ত্রী টিউলিপ জড়িত, গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশনের প্রতিবেদন

Spread the love

ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার বা ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন। আর আত্মসাৎকৃত এই টাকা টিউলিপের সহযোগিতায় মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার করা হয়। স্থানীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। পদ্মা সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা। তার মানে আত্মসাৎ করা এ অর্থ দিয়ে প্রায় ২টি পদ্মাসেতু নির্মাণ করা সম্ভব হত।

শনিবার ১৭ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিরক্ষা বিষয়ক ম্যাগাজিন গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশন এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে। ২০১৭ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কাগজে কলমে এর ব্যয় দেখানো হয়েছে এক হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। প্রয়োজনের তুলনায় যা অনেক বেশি। যাতে মালয়েশিয়ার এক ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এই বাজেট থেকে ৫শ’ কোটি ডলার আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-রোসাটম।

২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় সঙ্গী ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশনের দাবি, সে সময় নিজেদের খালা-ভাগ্নির সম্পর্ক গোপন করে ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন তিনি।

২০০৯ সালে ‘প্রচ্ছায়া লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি চালু করেন টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। যুক্তরাষ্ট্রেও জুমানা ইনভেস্টমেন্ট নামে একটি কোম্পানি রয়েছে তাদের। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশনের অভিযোগ, এ কোম্পানির মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থপাচার করতেন শেখ হাসিনা। তাদের এ কোম্পানিটি ডেসটিনি গ্রুপ নামে একটি চিটিং ফান্ড কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে।

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশনের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মালয়েশিয়ার ব্যাংকে রাখা বিভিন্ন রুশ স্ল্যাশ তহবিল থেকে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ব্যাংকে এই ৫ বিলিয়ন ডলার পাঠানোর ক্ষেত্রে রাশিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহায়তা করেছিল।

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশন নামে পোর্টালটি চালু হয়, ২০১৮ সালে। বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে দুর্নীতির অনুসন্ধান করে থাকে এ পোর্টালটি। বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার সামরিক শক্তির বিস্তার রোধে, পশ্চিমা ঢাল হয়ে কাজ করে এটি।


Spread the love

Leave a Reply