সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তাতে করে জনমনে বিভ্রান্ত সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। আমি যদি জানতাম তাহলে সাবধানতা অবলম্বন করতাম। তারপরও আমার এ অসাবধানতা ও ইচ্ছাকৃত ভুলের জন্য যদি দেশবাসীর মনে আমি কোনো কষ্ট দিয়ে থাকি, অনুভুতিতে আঘাত দিয়ে থাকি সেজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ
তিনি বলেন, বিমানবন্দর থেকে আমার নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। এত লোকের সমাগম হয়েছে যে কোনো গাড়ি প্রবেশের সুযোগ ছিল না। আমি বিমানবন্দরে নামার পরে কিছু গাড়ি দেখেছি, ভেতরে আমাদের নেতাকর্মীরা বলছেন এটাতে উঠেন। উঠেছি। এই গাড়িটি কার সেই মুহূর্তে আমি চিন্তা-ভাবনার মধ্যে ছিলাম না, অনেকটা আবেগ আপ্লুত ছিলাম, ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছিলাম। আমার মনের মধ্যে ছিল না কার গাড়িতে উঠছি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এই সংবাদ প্রকাশের পর খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম আমার এলাকার এক ছোট ভাইয়ের উক্ত কোম্পানির (এস আলম) জমি-জমা দেখার কাজ করেন। সেও অন্য সবার মতো আমাকে বরণ করতে বিমানবন্দরে যায়। সেও জানত না আমি তার গাড়িতে উঠব এবং আমিও জানতাম না ওই গাড়িতে আমি উঠব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ
উল্লেখ্য, ১০ বছর পর গত বুধবার নিজ এলাকা কক্সবাজারের পেকুয়ায় যান সালাহউদ্দিন আহমেদ। ওই দিন দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এরপর দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে গাড়িবহর নিয়ে নিজের গ্রামের বাড়ি পৌঁছান সালাহউদ্দিন। পরে জানা যায়, তিনি যে গাড়িতে চড়ে বাড়িতে গিয়েছেন, সেটি এস আলম গ্রুপের নামে নিবন্ধিত। বিষয়টি সামনে আসার পর অনেক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।