বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি পড়েছেন সিলেটের শাবিপ্রবিতে

Spread the love

ফেসবুকে একটি বিতর্কিত পোস্টের জেরে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি। তার পোস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে করা সমালোচনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় তৈরি করেছে। শুধু তাই নয়, ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে আরও সমালোচিত হয়েছেন তিনি। ফলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঊর্মিকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

এই ঘটনার পর ঊর্মির সাময়িক বরখাস্তের পদক্ষেপে প্রশাসনের আচরণ এবং সরকারি কর্মকর্তার সামাজিক মিডিয়ায় মন্তব্যের স্বাধীনতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে- এতসব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু কে এই ঊর্মি?

বিতর্কিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির বাড়ি ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামে। তার বাবা মো. ইসমাইল হোসেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা শহীদ স্মৃতি কলেজের সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন।

ঊর্মির মা নাসরিন জাহান বর্তমানে ময়মনসিংহের হাজি কাশেম আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তাদের পরিবার ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের পেছনে কাশর জেল রোড এলাকায় নিজস্ব বাসায় বসবাস করে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে ঊর্মির বাসায় সরেজমিনে গিয়ে তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।

পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ঊর্মি ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে ২০২২ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে ঊর্মি সবার বড়। তার ছোট ভাই বর্তমানে জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি। সেখানে তিনি লেখেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’

এরপর তার এই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনায় মুখে পড়েন উর্মি। এ ঘটনায় রোববার (৬ অক্টোবর) ঊর্মিকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। এরপর সোমবার (৭ অক্টোবর) তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।


Spread the love

Leave a Reply