লন্ডনসহ বিভিন্ন স্থানে ব্রেক্সিট বিরোধী বিক্ষোভ

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক:

রাস্তায় নেমে এসেছেন ব্রেক্সিট বা ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে আসার বিরোধীরা। তীব্র বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন, স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরায়। এছাড়া ব্রিটেনের আরও কয়েকটি শহরেও বিক্ষোভ প্রদর্শনের খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) গণভোটে ব্রেক্সিট জয়ী হওয়ার একদিন পরই প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। তারা পুনরায় গণভোট অনুষ্ঠানেরও দাবি জানান।

বিক্ষোভকারীরা ‘ইয়েস টু ইইউ’ ও বিভিন্ন ব্রেক্সিটবিরোধী স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড এবং ইইউ-র পতাকা নিয়ে লন্ডন এবং এডিনবরার রাস্তায় নেমে আসেন। তারা ব্রেক্সিটের জন্য বয়োজ্যেষ্ঠদের দায়ী করেন। উল্লেখ্য, ওই বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবারের গণভোটে প্রায় ৩ কোটি ৩৫ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু তা মোট ভোটারদের ৭০ শতাংশ। আবার ব্রেক্সিটের ‘লিভ’ শিবির দুই শতাংশেরও কম ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। ‘লিভ’ বা ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট পড়ে ৫১.৯ শতাংশ এবং ‘রিমেইন’ বা ব্রেক্সিটের বিপক্ষে পড়ে ৪৮.১ শতাংশ।

গণভোটে সামগ্রিক জনতার রায় ‘লিভ’ পক্ষে গেলেও লন্ডন বা স্কটল্যান্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার ‘রিমেইন’ পক্ষেই ভোট দিয়েছেন। তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেই থাকতে চান।

যেহেতু গণভোটে জয়-পরাজয়ের পার্থক্য ২০ শতাংশের কম, এমনকি ৪ শতাংশেরও কম। আবার সর্বমোট ভোট পড়েছে ৭৫ শতাংশের কম। তাই বিক্ষোভকারীরা নতুন করে গণভোট অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন।

লন্ডনে বিক্ষোভকারীরা প্রায় ১৫ লাখ মানুষের স্বাক্ষর সহ পুনরায় গণভোটের জন্য একটি পিটিশন করেছেন। তবে ওই পিটিশনে স্বাক্ষরকারীদের বেশিরভাগই উত্তর লন্ডন, অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজসহ এমন সব অঞ্চলের, যেখানে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি।

এদিকে, স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিওন বলেছেন, ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়ার পক্ষ নিলেও তা স্কটল্যান্ডের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ইইউ-র সঙ্গে থাকতে প্রয়োজনে স্কটল্যান্ডকে স্বাধীন করতে দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনেরও ঘোষণা দেন তিনি।

আবার ব্রিটেন থেকে বিচ্ছিন্নতার দাবি উঠেছে লন্ডনেও। মেয়র সাদিক খানের কাছে জমা পড়েছে ১ লাখ মানুষের স্বাক্ষরিত এক স্বাধীনতার দাবি।


Spread the love

Leave a Reply