‘দেশে ফিরে যাও’- ব্রেক্সিটের পর বর্ণবিদ্বেষ

Spread the love

160627130850_1বাংলা সংলাপ ডেস্ক:ব্রিটেনে বৃহস্পতিবারের গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বর্ণবাদ নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক মানুষ শুক্রবার গণভোটের ফলাফলের গত কদিনে বর্ণবাদি আচরণ নিয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা লিখছেন, শেয়ার করছেন।

টু্ইটারে পোস্টরেফারেসিজম হ্যাশট্যাগে সোমবার থেকে ২১,০০০ বার লেখা পড়েছে।

বার্মিংহামের বাসিন্দা হেভেন ক্রলি লিখেছেন – ‘সকালে আমার মেয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে দেখেছে কতগুলো তরুণ একটি মুসলিম মেয়েকে লক্ষ্য করে চিৎকার করছে–বেরিয়ে যাও, আমরা তোমাদের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছি।‘

twiter

জিম ওয়াটারসন নামে একজন লিখেছেন – ‘আমার মা একটি প্রাইমারি স্কুলে কাজ করেন। একজন লাতভিয়ান মহিলা তার বাচ্চাকে দিতে এসে চোখে পানি নিয়ে বলেন – তারা আমাদের এদেশে চায়না।‘

ওয়েলসের কারফিলি শহরে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা সাজিয়া আওয়ান লিখেছেন, শুক্রবার তার টুইটারে একজন তাকে ব্যাগ-বাক্স গুটিয়ে চলে যেতে লিখেছেন। ‘আমার জন্ম কারফিলিতে।‘

মিস আওয়ান লিখেছেন, ‘এ দেশের জন্য আমার দুঃখ হচ্ছে কারণ বিপজ্জনক একটি পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে…(গণভোটের) ফলাফলে বর্নবাদি ঘৃণা স্বীকৃতি পেয়েছে।’160627130910_9কনজারভেটিভ পার্টির মুসলিম এক নেতা সাজিয়া আওয়ান অভিযোগ করেছেন অনলাইনে তাকে গালাগাল করা হচ্ছে

শুধু মুসলমান নয়, ঘৃণা-হামলার লক্ষ্য পূর্ব-ইউরোপীয়রাও হচ্ছে বলে বহু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় শহর হানটিংডনে – এদেশে আর পোলিশ ইঁদুর নয় – লেখা কাগজ শহরের পোলিশ বাসিন্দাদের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। পোলিশদের চিঠির বাক্সে ঐ কাগজ ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে।

লন্ডনে পোলিশদের একটি সংস্কৃতি কেন্দ্রে ভাঙচুরের একটি ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ।

উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন। সংগঠনের প্রধান ড সুজা শফি বলেছেন রাজনৈতিক সঙ্কট সামাজিক স্থিতিশীলতাকে হুমকিতে ফেলছে।

লন্ডনে পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত জাতিগত বিদ্বেষের ঘটনাগুলোকে নিন্দা করার জন্য ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।।


Spread the love

Leave a Reply