যুক্তরাজ্য বিএনপির উদ্যোগে লন্ডনে মহান বিজয় দিবস পালিত
লন্ডনে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের একটি স্থানীয় হলে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালিকের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম- ধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন । প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন । তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব ফলে আমরা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করেছি। দেশে যত বার সংকটে পড়েছে তখনই জিয়া পরিবার দেশের নেতৃত্ব দিয়েছে। ১৯৭৫ সালে সিভিল ও মিলিটারি উভয় সেক্টরে যখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছিল তখনো ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে শহীদ জিয়া নেতৃত্ব দিয়েছিলেন । বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন ও ১৯ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন মাদার অব ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বে ১৯৯০ সালে দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছিল। বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ২০২৪ সালে বিএনপিসহ ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে বাংলাদেশ নতুন করে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা ঘোষণা করেছে। তার আলোকেই আগামীর বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সম্মানের সহিত মাথা উচু করে দাড়াবে । নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ এগিয়ে আসার আহব্বান জানান।
সভাপতির বক্তবে এম এ মালিক বলেন, বর্তমানে দেশ ও জাতি একটি ক্রান্তিকাল অতক্রম করছে। গণবিপ্লবে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হলেও ফ্যাসিবাদের দোসরা আজও সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে। তাদেরকে মোকাবেলায় আমাদেরকে সরবদা সজাগ থাকতে হবে। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে গণবিপ্লবের নেতৃত্বের অগ্রভাগে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান । তার নেতৃত্বে জনগণ বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। এম এ মালিক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মতো প্রবাসীদেরও এই গণআন্দোলনে সর্বাত্মক সহযোগিতা ছিল। তাই সময় এসেছে প্রবাসীদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। প্রবাসিদের ভোটাধিকার সহ সকল ন্যায্য দাবি পুরন করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীরের বেশে অচিরেই বাংলাদেশে যাবেন।
প্রধান বক্তা কয়ছর এম আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত দেশে যতবার সংকট এসেছে ততবার জিয়া পরিবার এগিয়ে এসেছে। ১৯৭১ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে দখলদার মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে । ১৯৭৫ সালে কিছু কুচক্রী মহল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে চক্রান্তে মেতে উঠে। বন্দি করা হয় তাকে, কিন্তু কোন চক্রান্তই সফল হয়নি। সিপাহী ও জনতার সম্মিলিত বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে জিয়াউর রহমানকে বন্দীদশা মুক্ত হোন এবং পরবর্তীতে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দেশের নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন ১৯৯০ সালে দেশের সংকটকালে স্বৈরাচার এরশাদের পতনে ঘটাতে এগিয়ে আসেন বিএনপির চেয়ারপারসন, মা বেগম খালেদা জিয়া। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও লুটেরাদের কবল থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধারে বীরদর্পে দেয়া নেতৃত্বের কারনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আপামর জনসাধারণের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ- সভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব, সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, উপদেষ্টা আব্দুল হামিদ চৌধুরী, সহসভাপতি তাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান, এম এ মুকিত, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু, মিসবাউজ্জামান সোহেল, ডক্টর মুজিবুর রহমান (দপ্তরের দায়িত্বে), সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মামুন, যুগ্ম সম্পাদক আজমল হোসেন চৌধুরী জাবেদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ, আইনজীবী ফোরামের সাবেক আহবায়ক ব্যারিস্টার তারেক বিন আজিজ, যুগ্ম সহ-সাধারণ বাবুল আহমেদ চৌধুরী, টিপু আহমেদ, সেলিম আহমেদ (সহ দপ্তর সম্পাদক), সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম আহমেদ, সিনিয়র সদস্য ফখরুল ইসলাম বাদল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ( যুগ্ম সম্পাদক পদ মর্যাদা) ও যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক( সহসভাপতি পদ মর্যাদা) ও যুক্তরাজ্য সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহিন, যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রচার সম্পাদক ডালিয়া লাকুরিয়া, কোষাধ্যক্ষ সালেহ গজনবী, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য ও যুক্তরাজ্য যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য বাবর চৌধুরী, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার লিয়াকত আলী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক কামাল মিয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এম এ শহিদ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সাদিক হাওলাদার, কেন্ট বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল ইসলাম রুলু, লন্ডন নর্থ ওয়েস্ট বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস আহমেদ, সহ প্রচার সম্পাদক মঈনুল ইসলাম, সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক তৌকির শাহ, সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সোহেল আহমেদ সাদিক, সহপ্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফ আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য সুজাত আহমেদ, তপু শেখ, সাবেক ছাত্রদল নেতা তোফায়েল বাছিত তপু, লন্ডন মহানগর বিএনপি নেতা তুহিন মোল্লা, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল হক রাজ, সহসভাপতি দেওয়ান আব্দুল বাছিত, বাকি বিল্লাহ জালাল, যুগ্ম সম্পাদক নুরল আলী রিপন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ লায়েক মোস্তাফা, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম শিমু, সাংগঠনিক সম্পাদক আকমল হোসেন, লন্ডন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদেক আহমেদ, শেখ আতিকুর রহমান, আলিফ মিয়া প্রমুখ।