চার ব্যাংকের এক লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এস আলমের পকেটে

Spread the love

রোহান রাজিবঃ শেখ হাসিনার অন্যতম ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। এই গ্রুপটি শরিয়াভিত্তিক চারটি ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ থেকেই নিয়েছে প্রায় সাড়ে ৮৫ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকগুলো থেকে নানা কৌশলে এ অর্থ সরানো হয়। আর এসব ঋণের পর্যাপ্ত জামানত না থাকায় ফেরত নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। এতোদিন ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণ ছিল এস আলাম গ্রুপের হাতে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাংকগুলো থেকে তার নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করে নতুন পরিচালনা পর্ষদ নিযুক্ত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সি (বিএফআইইউ) অধিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সিআইডিকে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। দুদক ও সিআইডি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইসলামী ব্যাংক থেকে সরানো হয় সাড়ে ৮৫ হাজার কোটি টাকা। ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ দখলে নেয় এস আলম গ্রুপ। দখলের পর থেকে তার নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করার আগ পর্যন্ত ব্যাংকটি থেকে প্রায় ৮৫ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন সাইফুল ইসলাম মাসুদ, যা ব্যাংকের মোট ঋণের প্রায় ৫০ শতাংশ। সাড়ে ৬০০ ভুয়া কোম্পানি খুলে ব্যাংকটি থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেওয়া হয়। এসব ঋণের বিপরীতে জামানত ছিল মাত্র ৪ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। এতোদিন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন এস আলমের বড় ছেলে আহসানুল আলম। দখলের আগে এস আলমের ব্যাংকটিতে ঋণ ছিল তিন হাজার ছয় কোটি টাকা। তখন ব্যাংকের মোট ঋণ ছিল ৬১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা, আর আমানত ছিল ৬৮ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। কর্মকর্তা ছিলেন ১০ হাজারের কম। নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর আমানত বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন নতুন শাখা খুলে পটিয়ার লোকদের নিয়োগ দেওয়া শুরু হয়।

ফলে সারা দেশে ব্যাংকটির শাখা এখন ৩৯৫টি। এর বাইরে রয়েছে ২৫০টি উপশাখা। ২০২৪ সালের জুন শেষে ইসলামী ব্যাংকে আমানত বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৩ কোটি টাকা ও ঋণ ১ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ আমানতের চেয়ে বেশি টাকা ঋণ হিসেবে বের করে দিয়েছে ব্যাংকটি। বাড়তি এই টাকা এসেছে মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে।

ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণমূলক মূলধন ১০ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা। ফলে একটি গ্রুপকে ইসলামী ব্যাংক সর্বোচ্চ ফান্ডেড ১ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা ও নন–ফান্ডেড ঋণ ১ হাজার ৪২ কোটি টাকা ঋণ দিতে পারে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে একটি গ্রুপ ঋণ পেতে পারে ২ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা। হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যাংকঋণের টাকা পাচার করতে তাই এস আলম গ্রুপ একাধিক গ্রুপ তৈরি করেছে, ভিন্ন ভিন্ন নামে প্রতিষ্ঠান খুলেছে।

‘এস আলম’ নাম যুক্ত আছে ইসলামী ব্যাংক থেকে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণই ৩৪ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। ব্যাংকটির অপশোর ইউনিট থেকে ১৯ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা এবং অন্য উপায়ে আরও ৮ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এর বাইরে তার বেনামি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়েছেন ২২ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। এসব ঋণ দেওয়া হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, ওআর নিজাম রোড ও পাহাড়তলী এবং রাজধানীর গুলশান ১ নম্বর শাখা থেকে।

ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব ঋণের টাকা আদায় হচ্ছে না বললেই চলে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঋণের প্রকৃত হিসাব ব্যাংকের নথিতে তুলে ধরা শুরু হয়েছে। ফলে ব্যাংকের খেলাপি হয়ে পড়া ঋণ হু হু করে বাড়ছে। গত জুনে ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৭ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বর শেষে বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার ২৭ কোটি টাকা।

সূত্র জানায়, এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের সঙ্গে নতুন পরিচালনা পর্ষদের নির্দেশে নভেম্বরের শুরুতে অনলাইনে সভা করেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। এ সময় ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সুব্রত কুমার ভৌমিক সশরীর উপস্থিত ছিলেন। সভায় ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে এস আলমকে জানানো হয়, ব্যাংকে তাঁর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ঋণ খেলাপি হয়ে পড়ছে। ফলে ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংক চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

সভায় তাঁকে এ যাত্রা ১০ হাজার কোটি টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। এর জবাবে এস আলমের পক্ষে বলা হয়, ব্যবসা চালু রাখার সুযোগ পেলে তিনি তাঁর নামে থাকা টাকা ফেরত দেবেন। তবে অন্য ঋণের বিষয়ে তাঁর জানা নেই।

এরপর প্রায় দেড় মাস হয়ে গেলেও এস আলম গ্রুপের পক্ষ থেকে আর কোনো সাড়া পায়নি ব্যাংক।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে এস আলমের ঋণ ৩৯ হাজার কোটি: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন এস আলম গ্রুপ, এতোদিন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলন এস আলম নিজেই। এছাড়া তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং আরও চারজন আত্মীয় ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন। আন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ব্যাংকটি থেকে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করেন। গত ১ সেপ্টেম্বর ব্যাংকটির দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের এমডি মোহাম্মদ আবদুল মান্নানকে।

সূত্র জানায়, নিজের মালিকানাধীন ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ নেওয়ার সুযোগ নাই। তাই এস আলম গ্রুপ বিভিন্ন বেনামি প্রতিষ্ঠান খুলে এই ব্যাংকটি থেকে পুরো ঋণ বের নেন। ব্যাংকটির ঋণের প্রায় ৭৫ শতাংশই বের করে নিয়েছেন এস আলম।

তথ্য অনুযায়ী, জুন শেষে ব্যাংকটির আমানত ছিল ৪৪ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। ঋণের পরিমাণ ৫৮ হাজার ১০৪ কোটি টাকা।

ব্যাংকটি থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ বের করে নেওয়ার কারণে তীব্র তারল্য সংকটে ভুগছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের আমলে ব্যাংকটির চলতি হিসেবে ঘাটতি থাকার পরও অবৈধ সুবিধা দিয়ে টিকিয়ে রাখা হয়। তবে নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আসার পর সব অবৈধ সুবিধা বন্ধ করে দেয়। ফলে গ্রাহক চাহিদা মতো টাকা চেয়েও পাচ্ছে না। গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা তুলতে পারতো। যদিও আন্ত:ব্যাংক গ্যারান্টির আওতায় ও বাংলাদেশ ব্যাংক ছাপিয়ে কিছু টাকা দেয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে সংকট কাটেনি।

তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। এক বছর আগে খেলাপি ঋণ ছিল ১০ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। মূলত এস আলমের ঋণগুলো এখন খেলাপিতে পরিনত হচ্ছে।

ইউনিয়ন ব্যাংকের ৮০ ভাগ ঋণই এস আলমের পকেটে: শরিয়াভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ২২ হাজার কোটি টাকা সরিয়েছেন এস আলম, যা ব্যাংকটির মোট ঋণের প্রায় ৮০ শতাংশ। বেনামি ২৪৭টি প্রতিষ্ঠানের নামে এই ঋণ নেওয়া হয়। ঋণের বিপরীতে ছিল না কোনো প্রকার জামানত। এখন পর্যন্ত কোনো টাকাও ফেরত দেয়নি। ফলে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ হু হু করে বাড়ছে। ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় মোট ঋণের ৪২ শতাংশ খেলাপি বলে উঠে এসেছে। যদিও গত সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকে তারা খেলাপি দেখিয়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। বর্তমান ঋণ রয়েছে ২৭ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। আর আমানত ২৩ হাজার ৮১ কোটি টাকা।

নানা অনিয়মের কারণে আর্থিক বিপর্যয়ে পড়া এই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে এস আলমমুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালক। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইউনিয়ন ব্যাংক এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এরপরও ব্যাংকটিতে এস আলমের প্রভাব কমেনি।

এস আলমের হাত থেকে বাদ যায়নি গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক: এস আলম গ্লোবাল ইসলামী থেকে বেনামি প্রতিষ্ঠানে ১২ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে, যা ব্যাংকটির মোট ঋণের প্রায় ৯২ শতাংশ।

বোর্ড ভেঙে দেওয়ার আগে ব্যাংকটির ভাইস চেয়ারম্যান এস আলমের মেয়ে মায়মুনা খানম। ১১ বছর বয়সী ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন এস আলমের ভাই শহিদুল আলম ও বোন রোকেয়া ইয়াসমিনসহ আরও সাতজন আত্মীয়।

২০১৩ সালে যাত্রা করে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক)। কিছুদিন পর গ্লোবাল ইসলামীতে এমডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে। এ ব্যাংক যা ঋণ দিয়েছে, তার বেশির ভাগই ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের নামে। এসব ঋণ এস আলম গ্রুপের বলেই জানিয়েছেন ব্যাংক দুটির ঋণ বিভাগের কর্মকর্তারা।

পি কে হালদারের সময় বিভিন্ন নামে টাকা বের করে নেওয়ার পর ব্যাংকটি আর খুব একটা ঋণ বিতরণ করেনি। বছরের পর বছর এসব ঋণ আর আদায় হয়নি। প্রতিবছর সুদযুক্ত হয়ে তা শুধু বাড়ছে। গত বছর শেষে ব্যাংকটির ঋণ ছিল ১৩ হাজার ১৪১ কোটি টাকা, যার ১২ হাজার কোটি টাকার সুবিধাভোগী এস আলম গ্রুপ।

এদিকে এস আলম গ্রুপের অবৈধ অর্থ অর্জন, কর ফাঁকি ও অর্থ পাচার খতিয়ে দেখতে যৌথ তদন্ত শুরু করেছে দুদক, সিআইডিএবং কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। তদন্ত শেষে এসব প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবে সংস্থা দুটি।

দুদক ও সিআইডির যৌথ এই তদন্ত সমন্বয় করছে বিএফআইইউ। আর তাদের আইনি সহায়তা দিচ্ছে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়।

জানা গেছে, ২ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ আলাদা আলাদা চিঠির মাধ্যমে বিএফআইইউকে আইন ও অর্থ পাচার প্রতিরোধ বিধিমালার আওতায় কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে যৌথ তদন্তের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গ্রুপটির বিষয়ে তদন্তের জন্য দুদক ও সিআইডিকে ৪ ডিসেম্বর চিঠি দেয় বিএফআইইউ।

দুদক, সিআইডি ও কাস্টমস গোয়েন্দাকে দেওয়া বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়, এস আলম গ্রুপ ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাৎ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঘুষ ও দুর্নীতিসহ অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া এসব ব্যবসায়িক গ্রুপের বিরুদ্ধে কর ও শুল্ক ফাঁকি এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় বিদেশে অর্থ পাচারের তথ্য রয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলে এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক, চারটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখাপত্র হুসনে আরা শিখা আমার দেশকে বলেন, যেসব ব্যাংক এতোদিন এস আলমের নিয়ন্ত্রণে ছিল তা মুক্ত করা হয়েছে। এটা অনেক বড় কাজ। তার ঋণ অনিয়ম নিয়ে এখনও তদন্ত চলমান রয়েছে।


Spread the love

Leave a Reply