ইমিগ্রান্ট ঠেকাতে ফ্রান্স বর্ডারে দেয়ালের কাছ শুরু করেছে ব্রিটেন
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃফ্রান্সের ক্যালিস থেকে শরণার্থীদের আগমন ঠেকাতে অভিবাসন-বিরোধী দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করেছে ব্রিটেন।এই দেয়ালকে ‘ গ্রেট ওয়াল অব ক্যালিস’ হিসেবে আখ্যাতি করেছে কোন কোন মিডিয়া। দেয়াল নির্মানের সকল অর্থ দিচ্ছেন ব্রিটেন। মঙ্গল বিবিসি’র এ রিপোর্টে এ দেয়াল নির্মানের ছবি প্রকাশ করেছে। ব্রিটেন বলছে, ফ্রান্সের এই শরণার্থী শহর থেকে প্রতিনিয়ত অভিবাবাসীরা ব্রিটেনে অবৈধভাবে ট্রাকে করে আসার চেষ্টা করে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৩ ফুট উঁচু এই দেয়ালের নির্মাণ কাজ এই বছরেই শেষ হবে। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ২ দশমিক ৭ মিলিয়ন ইউরো (৩ মিলিয়ন ডলার)। ইংলিশ চ্যানেলকে ব্যবহার করে অভিবাসিরা যাতে ব্রিটেনে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য নিজ খরচেই এই দেয়াল নির্মাণ করবে ব্রিটিশ সরকার।
এদিকে গত বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, ২০১৬ সালের মার্চে এক চুক্তির অংশ হিসেবে উত্তর ফ্রান্সের ক্যালে বন্দরে এই দেয়াল নির্মাণ করা হবে।
এর আগে সংসদে ব্রিটেনের জুনিয়র মন্ত্রী রবার্ট গুডউইল বলেন, ‘আমরা খুব তাড়াতাড়ি এই প্রকল্পের কাজ শুরু করব। আমরা ইতোমধ্যে কাটাতারের বেড়া দিয়েছি, এখন আমরা দেয়াল নির্মাণ করতে যাচ্ছি। মানবাধিকার সংগঠন এবং শরণার্থী ও অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো দেয়াল নির্মাণের এই উদ্যোগের তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, এই দেয়াল নির্মাণ ব্রিটেনের মানবিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিপরীত। শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থী মানুষের প্রতি ব্রিটেনের চরম অবহেলার দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবে এই দেয়াল। অনেকে ব্যাঙ্গ করে এই দেয়ালকে দ্য গ্রেট ব্রিটিশ ওয়াল বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
গত কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপ ভয়াবহ শরণার্থী সংকটের শিকার হয়েছে। ইউরোপের কিছু দেশ এদের আশ্রয় দিয়েছে এবং কিছু দেশ শরণার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। হাঙ্গেরি ইতোমধ্যেই সীমান্তে কাঁটাঁতারের বেড়া নির্মাণ করেছে এবং সার্বিয়া ও অস্ট্রিয়া বলকানের শরণার্থী রুট বন্ধ করার জন্য বেড়া নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ইউরোটানেল ব্যবহার করে দশ হাজারেরও বেশি শরণার্থী ইংল্যান্ড পৌঁছে। এরপরই ফ্রান্স-ব্রিটেনের মধ্যে দেয়াল নির্মাণের সমঝোতা হয়।