ঢাকায় র্যাবের ক্যাম্পে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১ , আইএস চালিয়েছে বলে তাদের দাবি
বাংলাদেশে পুলিশের বিশেষ বাহিনী র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে একটি বোমা বিস্ফারণ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরে এক যুবক র্যাবের সে ক্যাম্পে ঢুকে পড়ে। র্যাব সদস্যরা তাকে আটক করতে চাইলে সে যুবক তার সাথে বহন করা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
তবে সে ব্যক্তির পরিচয় এখনো জানা যায়নি। প্রাথমিক তথ্যে তাকে ২০-২৫ বছরের যুবক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যে ব্যক্তি বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে তাকে জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য বলে ধারণা করছে র্যাব। তবে সে কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য সেটি এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি র্যাব।
যে জায়গায় এ বিস্ফোরণ হয়েছে সেটি ঢাকার শাহজালাল বিমান বন্দরের উল্টোদিকে আশকোনা এলাকায় হজ ক্যাম্পের পাশে। এ জায়গাটি র্যাবের সদর দপ্তরের জন্য প্রস্তাবিত।
গতকাল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় একটি বাড়িতে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে একজন শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়। এর পরদিনই ঢাকায় র্যাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণ হলো ।
র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান জানিয়েছেন, আনুমানিক দুপুর একটার দিকে এক ব্যক্তি র্যাব ক্যাম্পের সীমানা প্রাচীরের নিচে ফাঁকা অংশ দিয়ে ক্যাম্পের ভেতরে প্রবেশ করে। তখন তাকে কয়েকজন র্যাব সদস্য চ্যালেঞ্জ করে। তখন সে ব্যক্তি যখন পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে তখন একটি বিস্ফোরণ হয়।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ” তার সঙ্গে যে বোমা ছিল সেটির বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।” বিস্ফোরণে সে ব্যক্তির দেহ ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
যে দু’জন র্যাব সদস্য এ ঘটনায় আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাদের আঘাত গুরুতর নয় বলে জানা গেছে।
এদিকে রাজধানী ঢাকায় র্যাবের একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠি।
গোষ্ঠির সংবাদ মাধ্যম আমাক-এ জানানো হয়েছে ঢাকায় র্যাব বাহিনীর একটি সামরিক ক্যাম্প লক্ষ্য করে একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী আক্রমণ চালিয়েছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয় শুক্রবার (১৭ই মার্চ) জুমার নামাজের সময় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র্যাবের একটি অস্থায়ী শিবির লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হয়, যে হামলায় দুজন র্যাব সদস্য আহত হয়েছে ।
একজন যুবকের নিহত হবার খবরও সংবাদমাধ্যমগুলোতে জানানো হয়েছে।
আমাক মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের মাধ্যমে এই হামলার ঘটনার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।