হৃদরোগ ঠেকানোর ওষুধ আবিষ্কারের দাবি ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃপ্রতিবছর প্রায় দেড় কোটি মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্য একটি ওষুধ আবিষ্কারের দাবি করেছেন গবেষকরা। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের চিকিৎসকদের দাবি, এই ওষুধ ক্ষতিকারক চর্বি কমিয়ে হার্ট অ্যাটাক প্রতিহত করতে সক্ষম। নিউ ইংল্যান্ড জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই দাবি করা হয়েছে।
ক্ষতিকারক চর্বি হৃদরোগের বড় কারণ। এটা রক্তনালী বন্ধ করে দেয় ফলে হৃদপিন্ড কিংবা মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ হয় না। এ জন্য চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্ট্যাটিনস নামের ওষুধ সেবন করে লাখ লাখ মানুষ। লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক পিটার সেভার বলেন, ‘এই ওষুধ স্ট্যাটিনসের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরী।’
২৭ হাজার রোগীর শরীরে ওই নতুন ওষুধ ইভোলকুম (evolocumab) প্রয়োগ করা হয়। রোগীদের প্রায় ৬০ শতাংশের রক্তে থাকা ক্ষতিকর কলেস্টোরলের মাত্রা কমে যায়। যে রোগীরা ওই ওষুধ দুই বছর গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে ৭৫ জনের হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো মরণব্যাধি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। এই ওষুধে কার্ডিওভাসকুলার জনিত মৃত্যুর হারও কমে আসে।
সেভার বলেন, ‘এই ওষুধ ব্যবহারে ক্ষতিকারক চর্বির পরিমাণ অনেক কমে আসছে। এর আগে আমরা কখনোই এতটা সাফল্য পাইনি। রোগীরা আগে থেকেই স্ট্যাটিনস নিচ্ছিলেন। কিন্তু এবারের সাফল্য অনেক বেশি ।’
গত ২০ বছরে এমনটা হয়নি দাবি করে সিভার বলেন, ‘কোলেস্টরল বা চর্বি কমে যাওয়াতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ২০ শতাংশ কমে যাবে।’
এ পদ্ধতিটি পিসিএস নাইন (PCSK9) ক্রিয়া করে এবং এর অণু যা যকৃতে এলডিএল-কোলেস্টোরলের ভাঙন কমায়।
সিভার বলেন, এটা হয়তো এখনই স্ট্যানিসের বিকল্প হবে না তবে নিশ্চিতভাবে এটাই ভবিষ্যতে সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। সূত্র: বিবিসি