সন্ত্রাসবাদে যুক্ত থাকার দায়ে ব্রিটিশ-বাংলাদেশির ৮ বছরের কারাদণ্ড

Spread the love

IMG_4312বাংলা সংলাপ ডেস্কঃসন্ত্রাসবাদে যুক্ত থাকার দায়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ নাগরিককে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাজ্যের আদালত। উচ্চপ্রযুক্তির ইউএসবি কাফলিংক ব্যবহারে মাধ্যমে চরমপন্থী ডাটা সংরক্ষণ এবং আইএস-এর সদস্য হওয়ার দায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম সামাতা উল্লাহ। যুক্তরাজ্যের ওয়েলস-এর কার্ডিফ এলাকায় তার বসবাস।

৩৪ বছরের সামাতা উল্লাহ’কে সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা এবং সন্ত্রাসী তৎপরতায় সমন্বয়ের জন্যও দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। এসব অপরাধে মঙ্গলবার লন্ডনের ওল্ড বেইলি’র আদালত তার বিরুদ্ধে রায় দেয়। তাকে ‘খুবই মারাত্মক’ একজন ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ বা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।

স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড-এর সন্ত্রাসবাদবিরোধী ইউনিটের কমান্ডার ডিন হেইডন। তিনি বলেন, সামাতা উল্লাহ একজন খুবই মারাত্মক ব্যক্তি। প্রাথমিকভাবে সে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে। আমি তাকে একজন ইন্টারনেট সন্ত্রাসী হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করবো।

ডিন হেইডন বলেন, সে দুনিয়াজুড়ে সন্ত্রসীদের জন্য একটা স্টপ শপ চালু করেছিল। প্রাথমিক সে দায়েশ (আইএস)-এর প্রপাগান্ডার জন্য একটা লাইব্রেরির ব্যবস্থা করে। অস্ত্র ও সমরাস্ত্র ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত ও নির্দেশনা প্রদান করে। এর ফলে দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা এসব তথ্য-উপাত্তের ভাণ্ডারে প্রবেশাধিকার পায়। এসব ওয়েবসাইট তাদের জন্য খুবই উপকারী হিসেবে পরিগণিত হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোতে সামাতা উল্লাহ ‘কাফলিংক টেররিস্ট’ হিসেবে সমধিক পরিচিত। সে কথিত ‘সাইবার খিলাফত আর্মি’র গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। স্পর্শকাতর এনক্রিপশন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষার ব্যাপারে আইএস সদস্যদের সে নানা পরামর্শ দিতো। এর আগে সে ওয়েলস-এর একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চাকরি ছেড়ে দেয়।

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সামাতা উল্লাহ’কে গ্রেফতারের আদেশ দেয় ব্রিটিশ আদালত। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের নির্দেশ থেকে শুরু করে গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়ে সে স্পর্শকাতর ডাটা সুরক্ষায় নির্দেশনামূলক নানা ভিডিও সরবরাহ করে। এনক্রিপশন প্রোগ্রাম ব্যবহার করে বেনামে অনলাইনে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।

‘গাইডেড মিসাইলস ফান্ডামেন্টালস এএফএম ৫২-৩১’ শিরোনামের একটি বই নিজের কাছে থাকার কথাও স্বীকার করেছে সামাতা উল্লাহ। এছাড়া তার কাছে ‘অ্যাডভান্সেস ইন মিসাইল গাইডেন্স’ নামের আরও একটি বইয়ের ইলেকট্রনিক সংস্করণ ছিল। সন্ত্রাসী তৎপরতা পরিচালনার উদ্দেশ্যেই সে এসব সংগ্রহ করে। শেষ পর্যন্ত তাকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারে সক্ষম হয় যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশ।


Spread the love

Leave a Reply