ব্রিটেনের নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের আশঙ্কা ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ আগামী ৮ জুন অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের আশঙ্কা করা হচ্ছে। দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, এমন কিছু ঘটার বাস্তবসম্মত আশঙ্কা রয়েছে। শনিবার তার এ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।
বরিস জনসন বলেন, যুক্তরাজ্যের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে জেরেমি করবিন-এর নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি বিজয়ী হলে উচ্ছ্বসিত হবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার নির্বাচনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যা করেছেন, সুস্পষ্টভাবে ফ্রান্সের নির্বাচনেও তিনি একই কাজ করেছেন।
এ মন্তব্যের মধ্য দিয়ে মূলত গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল ফাঁসের পর সর্বশেষ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমানুয়েল ম্যাখোঁ-র ই-মেইল ফাঁসের দিকে ইঙ্গিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়, উভয় কাণ্ডের পেছনেই রুশ গোয়েন্দাদের হাত ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রে পুতিনভক্ত ট্রাম্প ক্ষমতায় এলেও ফ্রান্সে তার উল্টোটা ঘটেছে।
বরিস জনসন বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চান।
১৮ এপ্রিল ২০১৭ মঙ্গলবার লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটের অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে আগাম নির্বাচনের ডাক দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের বর্তমান পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
মেয়াদপূর্তির এতো আগে নির্বাচনের ডাক দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে ঠিক কী কারণে থেরেসা মে-এর প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত? ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিজেও অবশ্য এ সিদ্ধান্তের একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তার ভাষায়, ব্রেক্সিটের পর ‘জাতি ঐক্যবদ্ধ হলেও পার্লামেন্ট দ্বিধাবিভক্ত’। বিরোধী দল লেবার পার্টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চূড়ান্ত বোঝাপড়ার চুক্তির বিরোধিতার হুমকি দিয়েছে। লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা সরকারকে অচল করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এই অবস্থায় নতুন নির্বাচন না দিলে ‘তাদের রাজনৈতিক খেলা অব্যাহত থাকবে।’ এরমধ্যেই নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের আশঙ্কার কথা জানালেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, রয়টার্স, ইন্ডিপেনডেন্ট।