ট্রাম্প বললেন সব সন্ত্রাসেই “ইরান” জড়িত
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল সফরে এসে ‘সন্ত্রাসবাদকে মদদ দেবার জন্য’ ইরানের তীব্র সমালোচনা করে অবিলম্বে তা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মি. ট্রাম্প বলেন, ইরান তার ভাষায় ‘সন্ত্রাসী এবং মিলিশিয়াদের’ সমর্থন দিচ্ছে, এবং সবখানেই সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ইরানের জড়িত থাকার চিহ্ন দেখতে পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
“সৈন্য, অর্থ, ও অস্ত্রের ক্ষেত্রে” এই চিহ্ন দেখা যাচ্ছে – বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কিন্তু এর জবাবে ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী বলেছেন, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে তার দেশ, এবং লেবাননের হেজবোল্লাহ’র মতো তাদের মিত্ররাই মধ্যপ্রাচ্যের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে। মি. রুহানি বলেন, ইরানের সহায়তা ছাড়া আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা হবে না।
কিন্তু মি ট্রাম্প বলেন, ইরান সন্ত্রাসীদের মদত দিচ্ছে, এবং কোনাভাবেই ইরানকে পারমাণবিক শক্তিধর হতে দেওয়া হবেনা।
তবে প্রেসিডেন্ট হবার পর এই প্রথম বিদেশ সফরের দ্বিতীয় গন্তব্য হিসেবে ইসরায়েলে এসে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন- ফিলিস্তিনী-ইসরায়েলি শান্তি প্রক্রিয়া নিয়েও তিনি এ সফরের সময় কথা বলবেন, এবং তিনি মনে করেন শান্তির বিরল একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে
বিমানবন্দরেই মি. ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনীদের মধ্যে চুড়ান্ত শান্তিই তার লক্ষ্য।
তিনি বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের জন্য নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রশ্নে আমাদের সামনে এসেছে এক বিরল সুযোগ। এখন সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করতে হবে। শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য নতুন ভবিষ্যত গড়তে হবে। কিন্তু এটা অর্জন করা সম্ভব শুধুমাত্র একসাথে মিলে কাজ করার মধ্য দিয়ে। এছাড়া আর কোন পথ নেই।
জেরুসালেম থেকে বিবিসি সংবাদদাতা জেরেমি বোওয়েন বলছেন, মার্কিন নির্বাচনে যখন প্রচারাভিযান চলছিল তখন মি. ট্রাম্প যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, তা ইসরায়েলর ডানপন্থী রাজনীতিকদের খুবই পছন্দ ছিল।
তিনি সে সময় অধিকৃত এলাকায় ইসরায়েলি বসতির সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষে কথা বলেছেন। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবির বিপক্ষে কথা বলেছেন।
কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর মি. ট্রাম্পের সুর এখন বেশ নরম। আর সে কারণে তিনি শেষ পর্যন্ত কী করতে পারেন, তা নিয়ে ইসরায়েলি রাজনীতিকরা কিছুটা বিচলিত।
ফিলিস্তিনীদের সাথে শান্তির প্রশ্নে ইসরায়েলিদের শর্তের বিষয়টি মি. ট্রাম্পের সামনেই আরেকবার মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, যে শান্তি আমরা চাই তা হতে হবে খাঁটি এবং টেকসই। এতে ইসরায়েল রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে হবে। নিরাপত্তার চাবিকাঠি থাকতে হবে ইসরায়েলের হাতে। এবং সংঘাতের স্থায়ী অবসান হতে হবে।
সংবাদদাতারা বলছেন, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী শান্তির প্রশ্নে দুপক্ষের মধ্যে যে সন্দেহের বাতাবরন রয়েছে সেটি ভেদ করা বেশ কঠিন কাজ।
আর দুপক্ষই সতর্কতার সাথে লক্ষ্য রাখবেন, শান্তি আনার বিনিময়ে মি. ট্রাম্প তাদেরকে ঠিক কোন্ ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে বলেন।