‘বাস্তবতা’ স্বীকার করলেন মে
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃবৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে মেনে নিলেন ‘বাস্তবতা’। স্বীকার করলেন, যেই নির্বাচন তিনি ডেকেছিলেন নিজের ম্যান্ডেট শক্তিশালী করতে, সেই নির্বাচনে তার অবস্থান বরং আরো নড়বড়ে হয়েছে। আর তা স্বীকার করেই তিনি সোমবার বিরোধী দলগুলোকে আহ্বান জানালেন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে সহায়তা করার। এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
খবরে বলা হয়, দুই মাস আগে আগাম নির্বাচন ডেকেছিলেন মে। আর হারিয়েছেন পার্লামেন্টে দলীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা। কনজারভেটিভ নেত্রী এখনো অবশ্য বলছেন, পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ‘সাহসী পদক্ষেপ’ নিতে তিনি অঙ্গীকারাবদ্ধ। কিন্তু নতুন করে তাকে পদচ্যুত করার গুজবের মধ্যেই মে মেনে নিলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি এ মুহূর্তে যে বাস্তবতার মুখোমুখি, তা আগের চেয়ে বরং ভিন্ন। গত বছর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছেড়ে বৃটেনের প্রস্থানের পক্ষে গণভোটের পর শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টির নেত্রী হন তেরেসা মে। হয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। তারই এক বছর পূর্তিতে নিজের বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘এই নতুন প্রেক্ষাপটে, আমাদের নীতি ও মূল্যবোধের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা এবং পার্লামেন্ট ও দেশে ধ্যান-ধারণার লড়াইয়ে জয়ী হওয়াটা এখন আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘তাই হাউস অব কমন্সের অন্যান্য দলের প্রতি আমি এটিই বলবো যে, জাতি হিসেবে এই চ্যালেঞ্জগুলো আমরা কীভাবে মোকাবিলা করবো সে ব্যাপারে আপনাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও পরামর্শ নিয়ে এগিয়ে আসুন।’
৮ই জুন অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনের পর নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে যুজছেন তেরেসা মে। বর্তমানে আয়ারল্যান্ডের একটি আঞ্চলিক দল ডিইউপি’র সমর্থনে সংখ্যালঘু সরকার পরিচালনা করছেন তিনি। বৃটিশ পত্রিকা মেইল জানিয়েছে, সাবেক কনজারভেটিভ দলীয় প্রধান হুইপ অ্যান্ড্রু মিচেল ব্যক্তিগতভাবে এমপিদের বলেছেন, তেরেসা মে’র সলিল সমাধি ঘটেছে। তাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। তবে আইনমন্ত্রী ডেভিড লিডিংটন এসবকে উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, সামার পার্টিতে একটু বেশি উষ্ণতা ভোগ করছেন রাজনীতিবিদরা। এসব গুজব তারই ফল। মে’র অকথিত ডেপুটি ডেমিয়েন গ্রিন সোমবার বলেছেন, দলমত নির্বিশেষে সহযোগিতার যেই ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, তা হলো রাজনীতি করার পরিণত পন্থা।