বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী শতাধিক তরুণ ও উদীয়মান নেতা
বিশেষ প্রতিনিধি: আসন্ন একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে আশি, নব্বই ও বর্তমান উদীয়মান তরুণ ত্যাগী নেতাদের মধ্যে আশার সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে। তারা বিএনপির চেয়ারপার্সন ও অনেকে লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ঘন ঘন যোগাযোগ করছেন। নতুন প্রজন্মের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রদলের বর্তমান ও সাবেক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা। রয়েছেন বিভিন্ন অঙ্গনের কয়েকজন তারকা প্রার্থীসহ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে তদবির শুরু করছেন তরুণ প্রজন্মের শতাধিক নেতা। এখানে উল্লেখ্যযে, এপর্যন্ত আশি ও নব্বই দশকের কেন্দ্রীয় ছাত্র নেতাদের মধে থেকে যাদেরকে বিএনপি নমিনেশন দিয়েছে তারা ৯৫% সংসদ সদস্য হিসাবে জয়ী হয়েছেন। তরুণ এ নেতারা ইতিমধ্যে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছেন। সংশিষ্ট সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামীতে তারেক রহমানকে দলের নেতৃত্বে আনতে চাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে তারেক রহমানের নেতৃত্ব সুসংহত করতে দলের তরুণ নেতাদের মধ্য থেকে যোগ্যদের জাতীয় সংসদ সদস্য করে আনতে চান তিনি। গত ১৫ জুলাই ২০১৭ইং বেগম জিয়া চোখের চিকিৎসা করাতে যুক্তরাজ্যে গিয়েছেন।। সেখানে চিকিৎসারত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানের সাথে আগামী নির্বাচন দলীয় প্রার্থী বাঁছাই, আন্দোলন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে কথা বলবেন তিনি। সূত্র মতে- “ভিশন ২০৩০” বাস্তবায়ন এবং ‘নতুন ধারার রাজনীতি ও সরকার’ পরিচালনার জন্য খালেদা জিয়া দলের উদীয়মান নেতাদের অগ্রাধিকার দিতে চাচ্ছেন। অন্যদিকে মোট ভোটারের ৫৪ শতাংশ তরুণদের কাছে টানার জন্যও এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে নবীন নেতাদের কয়েকজনকে মনোনয়নের ক্ষেত্রে সবুজ সংকেতও দেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এবার ঢাকা-৪ ও ৫ আসনের যে কোনো একটি থেকে দলের মনোনয়ন চাইছেন। তার সমসাময়িক অনেক সাবেক ছাত্রনেতা এমপি, মন্ত্রী হলেও ড. রিপন ক্ষমতা থেকে দূরেই রয়ে গেছেন। এবার তিনি মনোনয়ন পাওয়া এবং জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদী। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও চেয়ারপারসন ও উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব দীর্ঘদিন রয়েছেন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে। এবার তিনি পাবনার ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া থেকে বিএনপির মনোনয়ন পাবেন বলে হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলে জানা গেছে। ছাত্রদলের এক সময়ের ব্যাপক আলোচিত নেতা সানাউল হক নীরু আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তৎপর হয়েছেন। নরসিংদীর বেলাবো থেকে নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে তিনি এলাকায় গণসংযোগ ও কেন্দ্রে যোগাযোগ চালাচ্ছেন। সাবেক ত্যাগী ছাত্রনেতা মুন্সীগঞ্জ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জমান রতন, বিএনপির সাবেক সহদফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ফেনী-৩, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স ময়মনসিংহ-১, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। ছাত্রদলের এক সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আহ্বায়ক বর্তমানে বিএনপির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন অসীম ঢাকা-১০ থেকে মনোনয়নের জন্য হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলে জানা গেছে। যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ঢাকা-১৫ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম আজাদ মুন্সীগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী। ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু লক্ষ্মীপুর-৪ আসন থেকে মনোনয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ..বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুল ফরিদপুর-২ ও বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীম সিরাজগঞ্জের-৫ কামারখন্দ-চৌহালী থেকে মনোনয়ন চাচ্ছেন। মনোনয়ন দৌড়ে এবার যুক্ত হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল মনোহরদী-বেলাবো নরসিংদী ৪ থেকে । সাবেক ছাত্রনেতা বজলুল বাসিত আনজু ,বর্তমান যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, ঢাকা-১৪, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার বাঞ্ছারামপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাসাসের কেন্দ্রীয় সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সালাউদ্দিন ভূইয়া শিশির নবীনগর ব্রাহ্মনবাড়িয়া-৫,বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীম ব্রাম্মনবাড়িয়া-২, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আওয়াল খান কুমিলা-৪ দেবীদ্বার,সাবেক ছাত্রনেতা বিএনপি র্নিবাহী কমিটির সদস্য একরামুল হক বিপ্লব মুরাদনগর কুমিলা -৩, সাবেক ছাত্রনেতা চান্দিনা পৌরসভার সাবেক মেয়র শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান চান্দিনা কুমিল্লা -৭, কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মোরতাজূল করিম বাদরূ- কুমিলা-৮, ইন্জিনিয়ার দেওয়ান মনিরুজ্জামান মানিক কচুয়া চাঁদপুর-১, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মোস্তফা খান সফরী চাঁদপুর-৩, সাবেক ছাত্রনেতা ও যুবদলের দফতর সম্পাদক কাজী রফিক চাঁদপুর-৪, তাঁতীদলের সহসভাপতি এবং সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও যুবদল নেতা, সু-সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি চাঁদপুর-৫। বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি জয়ন্তু কুমার কুনাড ঝিনাইদহ-১, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি হায়দার আলী লেলিন ভোলা সদর, বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি তাইফুল ইসলাম টিপু নাটোর-১, ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন কালকিনি,মাদারীপুরের-৩, বিএনপির সহ তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আমিরুজ্জামান শিমুল ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থেকে মনোয়ন চাচ্ছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাসান মামুন পটুয়াখালীর গলাচিপা, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান ঢাকা-১৪ এবং ঢাকা উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর ঢাকা-১৮, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু ফেনী সদর, কেন্দ্রীয় মহিলা দল নেত্রী ড.আরিফা জেসমিন নাহিন ও সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল বারী ড্যানিনেত্রকোনা-২ আসন থেকে দলের মনোনয়ন দৌড়ে আছেন। বিএম কলেজের সাবেক ভিপি ও ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু ঝালকাঠি-২, যুবদলে কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন ভোলা-৪, বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা মুনির হোসেন পটুয়াখালীর দুমকি, সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী লক্ষ্মীপুর-১, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানা বিএনপি সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম ফরিদপুর-৩, তাঁতীদলের সহসভাপতি আলহাজ ইউনুস আলী পাবনা-১। ছাত্রদলের আশির দশকের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ময়মনসিংহ জেলা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি স্বপন চৌধুরী গাফরগাঁও ময়মনসিংহ-১০ থেকে, আশির দশকের কেন্দ্রীয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা তাপস পাঠান জামালপুর-৫ থেকে, আশির দশকের ছাত্রনেতা নেত্রকোনা জেলা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি বর্তমান প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এ কে এম আব্দুল্লা শরীফ( শরীফ আহমেদ) পূর্বধলা-নেত্রকোনা-৫, যশোর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট সাবেরুল হক সাবু যশোর সদর থেকে, সাবেক ছাত্রনেতা বর্তমানে যুবদলের সহসভাপতি ফরহাদ হোসেন আজাদ পঞ্চগড়-১ আসন থেকে নির্বাচনে দলের টিকিট পাওয়ার লক্ষ্যে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালাচ্ছেন। যুবদলের সহসভাপতি আ. খালেক কুড়িগ্রামের উলিপুর অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান সিলেট-৪, যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মনির ফরিদপুর-১, বিএনপির সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক ও যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী ঢাকা-৭, সাবেক ছাত্রনেতা ও শ্যামপুর থানা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আ ন ম সাইফুল ইসলাম ঢাকা-৪, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান দুলাল বরিশাল-১, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল নারায়ণগঞ্জ-৩, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আবদুল মতিন নওগাঁ-২, সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুব হাসান খান বাবু চুয়াডাঙ্গা-২, রাজশাহী কলেজের সাবেক ভিপি সাইফুল ইসলাম মার্শাল ভোলাহাট-গোমস্তাপুর, সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ঝিনাইদহ-৪, সাবেক ছাত্রনেতা কামাল আনোয়ার ঠাকুরগাঁও-৩, সাবেক ছাত্রনেতা ওবায়দুল হক নাসির টাঙ্গাইল-৮, ছাত্রদলের বর্তমান সহসভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হাসান মুন্সীগঞ্জ-১ থেকে দলের টিকিট প্রত্যাশী। রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, রাবির সাবেক নেতা শাহীন শওকত, একই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক নেতা মতিউর রহমান মন্টু, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রায়হানুল আলম ও জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু রাজশাহী-৩, রাজশাহী জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল কবির চৌধুরী রাজশাহী-২, জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল রাজশাহী-৬, ব্যারিস্টার রাজন রাজশাহী-৫, জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল কবির চৌধুরী রাজশাহী-২, সাবেক ছাত্রনেতা মামুনুর রশিদ সিলেট-৫, চেয়ারপারসন ও উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির সিলেট-১, নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী চেয়ারপারসন উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদির লুনা অথবা ভাই আসকির আলী সিলেট-২ আসন থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন। খুলনা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমির এজাজ খুলনা-১, সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলম খুলনা-৩, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ রাজবাড়ী-২, তোফায়েল লিটন চৌধুরী কুলাউড়া, , সাবেক ছাত্রনেতা নাদের আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নুরুল ইসলাম সাজু ও সাবেক ছাত্রনেতা হাজী সোয়েল খান টুনু সুনামগঞ্জ-৩, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চেীধুরী ও ইন্জিনিয়ার সৈয়দ মুনসিফ আলী সুনামগঞ্জ-৫,শ্রীমঙ্গল পৌর সভার জনপ্রিয় মেয়র মহশিন মিয়া মধু মৌলভী বাজার-৪ কৃষক দল নেতা রিয়াজুদ্দিন আহমেদ রিয়াজ মাগুরার মহম্মদপুর, যুবদল নেতা আবদুল ওয়াহাব সিরাজগঞ্জ-৪ আসন থেকে দলের মনোনয়ন চাচ্ছেন। বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সমিতির সদস্য সচিব ও ময়মনিসংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম ভালুকা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন বাহার পটুয়াখালী সদর, সাবেক ছাত্রনেতা দারাদ আহমেদ মৌলভীবাজারের বড়লেখা, আ. হালিম খোকন বাগেরহাটের রামপাল-মোরেলগঞ্জ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গোলাম সরোয়ার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, ছাত্রদলের সাবেক নেতা এএসএম শহিদুল্লাহ ইমরান নেত্রকোনা-৫, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক নেতা ওয়ারেছ আলী মামুন জামালপুর সদর, জাকির হোসেন সিরাজগঞ্জ-৭, সাইফুল ইসলাম পটু গোপালগঞ্জ-১, সাবেক ছাত্রনেতা মনিরুজ্জামান মন্টু খুলনা-৬, ডিএম জিয়াউর রহমান রাজশাহী-৪, সাবেক ছাত্রনেতা শহিদুল ইসলাম ও শামসুজ্জামান শামু রংপুর-৩, সাইফুল ইসলাম রংপুর-৬ থেকে দলের মনোনয়ন চাচ্ছেন। তারকা প্রার্থী যারা :তারকা ফুটবলার সাঈদ হাছান কানন নোয়াখালী-৬ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেতে ব্যাপক গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন নীলফামারী-৪ থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন এবার। আগে যারা নির্বাচন করেছেন, তরুন প্রার্থদের মধ্যে ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি হাবিব-উ-নবী খান সোহেল গত নির্বাচনের মত এবারও ঢাকার একটি আসন থেকে নির্বাচন করবেন। যুবদলের বর্তমানের সাধারন সম্পাদক সালাউদ্দিন টুকু টাঙ্গাইলের গোপালপুর- ভূয়াপুর থেকে, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি খুলনা রূপসা থেকে, বিএনপির প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া থেকে গতবারের মতো এবারও দলের মনোনয়ন নিশ্চিত। ইডেন কলেজের সাবেক ভিপি হেলেন জেরিন খান মাদারীপুর থেকে, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল কলমাকান্দা-দুর্গাপুর, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের কেন্দ্রীয় সভাপতি শামা ওবায়েদ ফরিদপুর-২ আসনে দলের মনোনয়ন পাবেন বলে হাইকমান্ড অনেকটাই নিশ্চিত করেছে বলে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোকেয়া হলে সাবেক ভিপি শিরিন সুলতানা গত নির্বাচনের মত এবারও ঢাকায় না হলে নারায়নগঞ্চ আড়াইহাজার থেকে মনোনয়নের জন্য চেষ্টা করেছেন। সংরক্ষিত আসনের এমপিদের মধ্যে যারা মনোনয়ন চান: সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপিদের কয়েকজনও এবার নির্বাচনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছেন। এবার আইনজীবিদের মধ্যে এডভোকেট সানাউল্লা মিয়া শিবপুর নরংিদি ৩ থেকে মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেনে। আইনজীবিদের মধ্যে অনেক তরুণ মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী। সংরক্ষিত আসনের এমপি সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১, রেহেনা আক্তার রানু ফেনী-২, ছাত্রদলের সাবেক নেতা নিলোফার চৌধুরী মনি জামালপুর-৫, শাম্মি আক্তার হবিগঞ্জের চুনারগাট-মাধবদী। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা যা বলেন : মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অনেকেই তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন, বিএনপির নতুন ধারার রাজনীতি ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার “ভিশন ২০৩০” বাস্তবায়নে নতুন নেতৃত্বের বিকল্প নাই। তৃনমুল হতে সকল পর্যায়ে যে সকল নেতাকর্মীরা ৮০ ও ৯০ দশকে এবং ১/১১ দলের পক্ষে কাজ করেছেন তারাসহ এলাকার সকল পর্যায়ে নেতাকর্মীরা আমাকে নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে দেখতে চায়। তাপস পাঠান বলেন, দল নমিনেশন দিলে নির্বাচন করব। পরিচিতির দিক থেকে অবশ্যই আমি এগিয়ে আছি। স্বপন চৌধুরী বলেন, আমি আশির দশকের বিএনপির প্রতিষ্ঠার পর থেকে দুঃসময়ে সব সময় সরব ছিলাম। জেল জুলুম নির্যাতন সহ্য করে দলের কাজ করে যাচ্ছি অবশ্যই দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। ফুটবল তারকা সাঈদ হাসান কানন বলেন, হাতিয়ার মানুষ আমাকে সংসদে দেখতে চায়। তাদের অনুপ্রেরণাতেই আমি দল থেকে মনোনয়ন চাচ্ছি। সংসদে যাওয়ার সুযোগ পেলে এলাকার উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করব। নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, এলাকার সন্তান হিসেবে জনগন আমাকে চায়। এলাকার মানুষই আমাকে নির্বাচনে লড়ার জন্য জোর তাগিদ দিচ্ছেন। স্বপন চৌধুরী বিএনপির জন্মলগ্নে থকে তৃনমূল থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির ৮০ ও ৯০ দশকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি। ১/১১সহ অতীত বর্তমান আমার কাজের মূল্যায়ন করে আশা করি দল আমাকে নমিনেশন দিবে।