ইউরোপে ভয়াবহ বোমা হামলার পরিকল্পনা ১৭৩ আইএস জঙ্গির
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ ১৭৩ আইএস জঙ্গি ইউরোপজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে। তারা আইএসের আত্মঘাতী ব্রিগেডের সদস্য। ইউরোপে বোমা হামলার জন্য তারা সুপ্রশিক্ষিত। এমন ভয়াবহ জঙ্গিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ইন্টারপোল। এতে বলা হয়েছে, মধ্য প্রাচ্যে এই গ্রুপটি পরাজিত হয়েছে। এর প্রতিশোধ নিতে তারা ইউরোপে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। সিরিয়া ও ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই চলাকালে এসব তথ্য সংগ্রহ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা। তাদের কাছ থেকে জঙ্গিদের ওই তালিকা পেয়েছে বিশ্বব্যাপী অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইরত এজেন্সি ইন্টারপোল। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বস্ত সূত্র ব্যবহার করেছে বলে বলা হয়েছে। ইউরোপের সন্ত্রাস বিরোধী নেটওয়ার্কগুলো সতর্কতা উচ্চারণ করেছে। তারা বলেছে আইএসের ‘খেলাফত’ কায়েমের স্বপ্ন ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই তাদের পরাজিত সেনারা ইউরোপে আত্মঘাতী হামলা চালানোর ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জন্য হয়তো জঙ্গিরা এককভাবে হামলা চালাতে পারে। ইন্টারপোলের ওই তালিকাটি পেয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। এরপরেই তারা লিখেছে, ওই তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের কেউ এখনও ইউরোপে প্রবেশ করেছে এমন প্রমাণ মেলে নি। তা সত্ত্বেও ইন্টারপোল এই তালিকা প্রকাশ করায় ইউরোপীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সচেতন হতে পারে। ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে নজর জোরালো করতে পারে। একই সঙ্গে ইউরোপ যে ক্রমবর্ধমান সঙ্কটের মুখে সে বিষয়টিও জোরালো হয়। গার্ডিয়ান লিখেছে, ইন্টারপোলের জেনারেল সেক্রেটারিয়েট এই তালিকাটি পাঠিয়েছে ২৭শে মে। তাতে বলা হয়েছে, আইএসের এসব জঙ্গি বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত হয়ে থাকতে পারে। বিস্ফোরক ব্যবহার করে কিভাবে বেশি সংখ্যক মানুষ হতাহত করা যায় সে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকতে পারে তারা। তারা সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালনা করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সফর করতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ সংক্রান্ত তথ্য প্রথমে এফবিআইয়ের কাছে তুলে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেখান থেকে পাঠানো হয় ইন্টারপোলে। ইতালিতে এ তালিকা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে কিভাবে এই ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। আইএসের স্থানীয় প্রধান কার্যালয় থেকে যেসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নোটে বলা হয়েছে, আইসিল, ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লিভ্যান্ট-এর সদস্যরা যেসব স্থানে আত্মগোপন করে থাকতো সেখানকার বিভিন্ন উপাদান যাচাই করে এসব ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ব্যক্তি স্বেচ্ছায় আত্মঘাতী হতে পারে। এই তালিকায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নাম, তারা কবে আইএসে যোগ দিয়েছেন সেই তারিখ, তাদের সর্বশেষ অবস্থানস্থল, মায়ের নাম এবং সংশ্লিষ্ট ছবি রয়েছে। এ জন্য প্রতিজন জঙ্গির জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি করে আইডি, যাতে ইন্টারপোলের নেটওয়ার্কের ভিতরে তারা প্রবেশ করলে স্থানীয় পর্যায়ে ডাটাবেজ ব্যবহার করে তাদেরকে চিহ্নিত করা যায়। তালিকায় থাকা প্রতিটি ব্যক্তির বিষয়ে কোনো তথ্য থাকলে অংশীদারদের বলা হয়েছে ইন্টারপোলকে জানাতে।