রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন বরিস জনসন
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃরোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সর্বসম্মত বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছে বৃটেন। সোমবার নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ৬ মিনিটে নিরাপত্তা পরিষদে এক বৈঠকে রোহিঙ্গাদের ভয়াবহ পরিণতিতে সর্বসম্মত একটি বিবৃতি দেন পরিষদের চেয়ারম্যান সেবাস্তিয়ানো কারডি। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিটি প্রকাশিত হয়েছে বৃটিশ সরকারের ওয়েবসাইটে। এতে বরিস জনসন বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে তার বিরুদ্ধে এককণ্ঠে কথা বলেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
আমি এতে সন্তোষ প্রকাশ করছি। ওই সহিংসতায় অবর্ণনীয় মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে কমপক্ষে ৬ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এখনও পরিস্থিতি হতাশাজনক। বরিস জনসন বলেন, সব বেসারিমক মানুষকে সুরক্ষা দিতে, তাৎক্ষণিকভাবে সহিংসতা বন্ধ করতে ও দুর্গতদের কাছে জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার অনুমতি দিতে মিয়ানমারের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি বার বার আহ্বান জানিয়েছে বৃটেন। আমাদের সেই আহ্বানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। তারই প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা পরিষদ ঐতিহাসিক ‘প্রেসিডেন্সিয়াল স্টেটমেন্ট অন বার্মা’ নামের বিবৃতি দিয়েছে। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি সামনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবেন এ জন্য আমি তাকে উৎসাহিত করি। রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে ও উন্নয়ন সহায়তার জন্য তাকে গঠন করতে হবে একটি আভ্যন্তরীণ পরিষদ। আন্তঃধর্মীয় বিশ্বাস ও বহু সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে হবে। এর আওতায় রয়েছে সুচির সাম্প্রতিক রাখাইনের উত্তরাঞ্চল সফর। এসব উদ্যোগকে যেন কোনোভাবে বিফল করে দেয়ার কোনো চেষ্টা না করে মিয়ানমারের নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা তা নিশ্চিত করতে ঘনিষ্ঠ নজরদারি করবে বৃটেন। বরিস জনসন আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করি আমি। শরণার্থীরা যাতে জরুরি সহায়তা পান তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্প্রতি যে চুক্তি হয়েছে তাকে স্বাগত জানায় বৃটেন। আমি আশা করি শরণার্থীদের স্বেচ্ছা, নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে ফেরাকে এখন তারা দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পারবেন। শরণার্থীদের ফেরার জন্য যথাযথ পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে মিয়ানমারের নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের।