শামসুর রহমান স্মৃতি প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃগত ২০ অক্টোবর ২০১৭ জিন্দাবাজারস্থ সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে শামসুর রহমান স্মৃতি প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে ৫ম ও ৮ম শ্রেণীর ২৬০০ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন ।এবারে ১৮তম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ।প্রবাসী সমাজসেবক সাউথ ইস্ট রিজিওনের ট্রেজারার সুফী সুহেল আহমদ প্রতিবছর এই বৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন । বৃত্তি পরীক্ষা চলাকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরি, সাবেক সিটি মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ,সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার , জিএসসি সাউথইস্ট রিজিওনের সভাপতি ইছবাহ উদ্দিন , সিলেট প্রসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম কেন্দ্র পরিদর্শন করেন । এ সময় শামসুর রহমান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব জিবলুর রহমান কেন্দ্র পরিদর্শনে আশা সকল নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন । উল্লেখ্য শামসুর রহমান ফাউন্ডেশন একটি শিক্ষা উন্নয়নমূলক সংগঠন। সম্পূর্ণ পারিবারিক অর্থায়নের এবং পরিবারের সকলের সহযোহিতায় শামসুর রহমান ফাউন্ডেশন শিক্ষার বাইরে মানুষের উপকারে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকে। শামসুর রহমানের বড় ছেলে সূফী সুহেল আহমদ এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। মেজ ছেলে ছায়েদ আহমদ জুয়েল ও ডা. সুমা বেগম ভাইস চেয়ারম্যান, সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন লেখক জিবলু রহমান।
শামসুর রহমান স্মৃতি প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি বিগত ১৮ বছরে প্রায় ৫০০০ হাজার শিক্ষার্থী পেয়েছে। শামসুর রহমান ফাউন্ডেশন ৫ম শ্রেণীতে প্রথম গ্রেডে ১০ জন, দ্বিতীয় গ্রেডে ১০ জন, তৃতীয় গ্রেডে ১০ জন এবং যেসকল বিদ্যালয় থেকে ৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে তাদের ১টি এবং যেসকল বিদ্যালয় থেকে ১০ জন শিক্ষার্থী বা তার বেশি অংশ গ্রহণ করে তাদের ২টি কোটা বৃত্তি দেয়া হয়। আগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট দেয়া হতো। বিগত ৪ বছর থেকে বই পড়ায় উৎসাহিত করার জন্য ‘বই উপহার ও সনদ পত্র’ দেয়া হচ্ছে। নিজস্ব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘শ্রীহট্ট প্রকাশ’-এর শিশুতোষ বই দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের।
বই দেয়া প্রসঙ্গে শামসুর রহমান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব লেখক জিবলু রহমান বলেছেন, জাতির উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হলো পড়ালেখা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে বিভিন্ন প্রতিথযশা লেখকদের বই পড়লে অতিরিক্ত জ্ঞার্নাজন করা সম্ভব। আগে আমরা লক্ষ্য করতাম, বিয়ে বা জন্মদিনে বা বড় বড় অনুষ্ঠানে বই উপহার দেয়া হতো। এ সংস্কৃতি প্রায় উঠে গেছে। জাতিকে সে ধারায় ফিরিয়ে আনতে আমাদের এ প্রয়াস। সকল বিদ্যালয়গুলো যদি বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে পুরস্কার হিসেবে বই বিতরণ করতো তাহলে নতুন নতুন লেখকও সৃষ্টি হতো আবার বিভিন্ন তথ্যের সাথে পরিচিত হতো পারতো শিক্ষার্থীরা।