‘বাংলাদেশে এত সুন্দর স্টেডিয়াম সিলেটে !’
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ শুরুতেই ফিরে যাওয়া যাক বিপিএলের পঞ্চম আসরে। গতবারের টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল সিলেট থেকে। তখনই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল দেশি-বিদেশি ক্রিকেটার থেকে শুরু করে দর্শকরা। এবার সিলেট স্টেডিয়াম মুগ্ধ করল সাবেক বাংলাদেশ কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহেকে। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব পালনের পরও শ্রীলঙ্কার কোচ হিসেবে সফরে এসে প্রথমবার এই স্টেডিয়াম দেখলেন হাথুরু।
আগামীকাল রবিবার বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে চা বাগান আর পাহাড়ের কোলে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আর নান্দনিক স্থাপত্যের সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। তার আগে আজ শনিবার দুই দলই এই মাঠে অনুশীলন করেছে। অনুশীলনে এসে প্রথমবারের মত এই স্টেডিয়ামে দেখে মন্ত্রমুগ্ধ হাথুরুসিংহে। বিস্ময় গোপন না করেই বললেন, এতদিন কোচ থাকার পরও তার কেন আসা হয়নি এখানে?
হাথুরুর ভাষায়, ‘আমি প্রথমবার এই মাঠ দেখছি। উইকেট এখনও শতভাগ প্রস্তুত নয়। আগামীকাল এসে দেখতে হবে উইকেট কেমন হয়। আজকে তাই উইকেট নিয়ে বেশি বলতে পারছি না। মাঠটি খুবই সুন্দর। আমি বিস্মিত যে বাংলাদেশে সাড়ে তিন বছর থাকার সময় এখানে আসা হয়নি আমার!’
প্রথমবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম দেখলে যে কেউ অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ডের স্টেডিয়াম ভেবে ভুল করতে পারে। এখানেই আছে দেশের একমাত্র ‘গ্রিন গ্যালারি’। যদিও নকশায় থাক সত্ত্বেও একটি পাহাড় কেটে ফেলায় অনেকটা সৌন্দর্য হারিয়েছে স্টেডিয়ামটি। প্রকৃতি ধ্বংসে বাংলাদেশের নোংরা আগ্রহের বিষয়টি এখানে স্পষ্ট। তারপরেও যতটুকু প্রকৃতি রক্ষা পেয়েছে, তাতেই পাহাড়ি কন্যার রূপ নিয়েছে স্টেডিয়ামটি।
২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় যাত্রা শুরু হয় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। তবে এই মাঠে বাংলাদেশ কখনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি। এবারই প্রথম একটিমাত্র আন্তর্জাতিক ম্যাচকে ঘিরে সাজসাজ রব গোটা সিলেটজুড়ে। টিকিটের জন্য চলছে ‘যুদ্ধ’। রবিবার বিকাল ৫টায় শুরু হতে চলা ঐতিহাসিক ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতলে দর্শকদের জন্য তা সোনায় সোহাগা হবে।