সিরিয়ায় ব্রিটেনের মিসাইল হামলা
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন আর ফ্রান্স আজ ভোরে সিরিয়ার বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলা চালিয়েছে। সেসব জায়গায় রাসায়নিক অস্ত্র মজুত করে রাখা ছিল বলে তারা দাবী করেছে। গত সপ্তাহে সিরিয়ার দুমা শহরে কথিত রাসায়নিক হামলার জবাবে এটি চালানো হয়েছে।সাত বছর ধরে সিরিয়ায় যে গৃহযুদ্ধ চলছে, তার মধ্যে আজ সকালের হামলাগুলিকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আশাদের সরকারের ওপরে পশ্চিমা দেশগুলির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, “ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের সেনাবাহিনীর সঙ্গে এক যৌথ অপারেশন চলছে।”যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন যে তাদের মিত্র দেশের ওপরে এই হামলার জবাব দেওয়া হবে।পেন্টাগন জানাচ্ছে সিরিয়ার তিনটি জায়গায় তারা হামলা চালিয়েছে –
• দামেস্ক-এর একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র। এই গবেষণাগারটি রাসায়নিক ও জৈবিক অস্ত্র উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
• হোমস শহরের পশ্চিমে একটি এলাকা – যেখানে রাসায়নিক অস্ত্র মজুত করে রাখা হতো বলে দাবী করা হচ্ছে।
• হোমস শহরেই একটি গুরুত্বপূর্ণ সেনা ঘাটি। এখানে রাসায়নিক অস্ত্রের নানা উপাদান মজুত রাখা হত বলে দাবী করা হয়েছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন অবশ্য বলছে তাদের সরকারী বাহিনী এক ডজনেরও বেশী ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।
দামেস্কের গবেষণা কেন্দ্রটিই একমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও দাবী করেছে সিরিয়ার সরকারী টেলিভিশন। তারা এটাও বলেছে যে হোমস শহরে তিনজন বেসামরিক নাগরিক জখম হয়েছেন।
ব্রিটেন-ভিত্তিক সংগঠন ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউমান রাইটস’ অবশ্য দাবী করেছে পেন্টাগন যে তিনটি স্থানে হামলার কথা বলেছে, তার থেকে অনেক বেশী জায়গায় হামলা হয়েছে।
“বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র, বেশ কয়েকটি সেনা ঘাঁটি ছাড়াও রাজধানী দামেস্ক-এ অবস্থানরত রিপাবলিকান গার্ড আর চতুর্থ ডিভিশনের ঘাঁটিগুলির ওপরেও হামলা হয়েছে।”
রাজধানী দামেস্ক-এর এক বাসিন্দা বিবিসিকে জানিয়েছেন, “আমাদের মাথার ওপরেই যেন যুদ্ধ চলছিল । আমি নিজেই অন্তত ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র গুনতে পেরেছি। অনেক উঁচু দিয়ে যাচ্ছিল ওগুলো – তারপর ঘুরপাক খাচ্ছিল – যেন টার্গেট খুঁজে বেড়াচ্ছিল ওগুলো।”
যুক্তরাষ্ট্র দাবী করছে আজ সকালের হামলাগুলিতে তাদের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
হামলার বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে নিশ্চিত করে বলেছেন যে “শক্তি প্রয়োগ করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই”।
এ অভিযানে ফ্রান্সের অংশগ্রহণও নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাখোঁ।