পাল্টা হামলার আশংকা ব্রিটেনে
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃপার্লামেন্টের অনুমোদন না নিয়েই সিরিয়া হামলায় যোগ দিয়েছে বৃটেন। এতে জনক্ষোভের মুখে পড়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বৃটেনে। বলা হচ্ছে, সিরিয়া হামলার প্রতিশোধ নিতে পারে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মিত্র রাশিয়া। তারা বিভিন্ন হাসপাতাল, ব্যাংক, পানি ও গ্যাস সবররাহ ব্যবস্থা, বিমান চলাচল ব্যবস্থা এমনকি বিমানবন্দরে সাইবার হামলা চালাতে পারে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল।
এতে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়া এমন হামলায় জড়িয়ে যাওয়ায় তেরেসা মের বিরুদ্ধে জনমত বেশি দেখা দিয়েছে। এমন অভিযানের বিরোধিতা করছেন দু’জন। পক্ষে রয়েছেন একজন। এমন জরিপ করেছে সারভেশন। তাতে যে চিত্র ফুটে উঠেছে তার ওপর ভিত্তি করে বলা যায়, বৃটেনের রাজনীতিতে অস্থিরতার লক্ষণ স্পষ্ট। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেবিনেট সদস্য মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস, এস্থার ম্যাকভে ও সাজিদ জাভিদ। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে কোনো সাইবার আগ্রাসন চালানো হচ্ছে কিনা তা নজরদারি করছে জিসিএইচকিউ। ওদিকে সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের পর রাশিয়া প্রতিশোধ নিতে সামরিক পদক্ষেপ নেবে না বলে মনে করেন থিংকট্যাংক প্রতিষ্ঠাস আরইউএসআই-এর সাবেক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক পরিচালক, সন্ত্রাস বিরোধী ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মাইকেল ক্লার্ক। তিনি বলেছেন, আমার মনে হয় না যে, রাশিয়া প্রতিশোধ নিতে সামরিক পদক্ষেপ নেবে। তবে এক্ষেত্রে সাইবার যুদ্ধের আশঙ্কা প্রবল। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়া এমন হামলা চালাতে পারে। এমন ঝুঁজিই প্রবল। তারা হামলা চালাতে পারে জাতীয় অবকাঠামো বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এতে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এমন প্রেক্ষিতে বৃটেনে শনিবার জরিপ চালানো হয়। তাতে দেখা যায়, প্রতি ১০ অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৬জনই বলছেন, আর যেন কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো না হয়। সিরিয়ার যুদ্ধে শনিবার অংশ নেয় বৃটেনের চারটি টর্নেডো জেট। তা থেকে ছোড়া হয় স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র। বৃটেনের নিরাপত্তা বিষয়ক সূত্রগুলো বলছে, রয়েল এয়ার ফোর্সের যুদ্ধবিমানগুলো টার্গেট করেছে হোম শহরের হিম শিনশার রাসায়নিক অস্ত্রাগারে। গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ৭ই এপ্রিল সিরিয়ার দুমা শহরে যে ক্লোরিন গ্যাস হামলা চালানো হয় তার সঙ্গে এই স্থাপনার যোগসূত্র আছে। তবে যা-ই হোক। দিনশেষে সমীকরণ কিন্তু বলছে অন্য কথা। কূটনৈতিক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বলা হচ্ছে, সিরিয়ায় এ হামলার জবাব দিতে পারে রাশিয়া। এমন কি পরিস্থিতি এমন উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে যে, তাতে বিশ্বযুদ্ধের রূপ ধারণ করতে পারে।