রাশিয়ার গ্যালারিতে অন্য আকর্ষণ
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ রাশিয়ার ভলগোগ্রাদ এরিনা। এখানেই ফুটবল পাগল ইংল্যান্ডের এবারের বিশ্বকাপে শুভ সূচনা হয়েছে। তিউনিশিয়াকে তারা হারিয়ে দেয়ায় ভক্তদের মাঝে চলছিল অস্থির উন্মাদনা। তবে, বেশিরভাগ মানুষের চোখ ছিল ওই গ্যালারির দিকে, যেখানে বসেছিলেন ইংলিশ ফুটবলারদের স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ডরা (ডব্লিউএজি)। তারা উৎসুক জনতার মিছিলে সামিল হয়ে আসন নিয়েছিলেন গ্যালারিতে। তাদের স্বামী বা বয়ফ্রেন্ড ইংলিশ ফুটবলারের পায়ের ছন্দের তালে তালে তারা যেন নেচে উঠেছেন।এদিন আগে আগে মাঠে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইংলিশ গোলকিপার জ্যাক বাটল্যান্ডের প্রেমিকা অ্যানাবেল পেটন। তিনি বাটল্যান্ডের নতুন প্রেমিকা। পেটন একজন বিমানবালা। আরো এসেছিলেন অনেকে। এর মধ্যে ছিলেন লিসেস্টার সিটির জেমির স্ত্রী রেবেকা ভারদি। তাকে তো বলা হয় ‘কুইন ডব্লিউজি’ বা ফুটবলারদের স্ত্রী ও প্রেমিকাদের মধ্যে রানী। যোগ দিয়েছিলেন হ্যারি মাগুইরে’র গার্লফ্রেন্ড সুন্দরী ফার্ন হকিনস। সোমবারের এ ফুটবল আসরে ভলগোগ্রাদ স্টেডিয়ামে এমন স্ত্রী বা প্রেমিকাদের এক গ্লামার তৈরি হয়েছিল। খেলা শুরুর মাত্র ১১ মিনিটের মাথায় যখন ইংল্যান্ড গোল স্কোর করে এগিয়ে যায় তখন পুরো মাঠে ভক্তদের সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন তারা। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মাত্র কয়েক মিনিটের মাথায় ইংলিশ ভক্তদের উল্লাসকে থামিয়ে দেয় তিউনিশিয়া। তবে, সেই স্তব্ধতাকে কাটিয়ে আবার গোল করে বসেন ইংলিশ ফুটবলার কেইন। ফের আনন্দে ভাসতে থাকেন তারা। গ্যালারিতে উপস্থিত ডব্লিউএজি’রা আবার সপ্রতিভ হয়ে ওঠেন। তারা সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে যান। হাসতে থাকেন। দাঁড়িয়ে মজা করতে থাকেন। অনেককে দেখা যায় মাঠের খেলার চেয়ে নিজেদের মোবাইল ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকতে। এরই মধ্যে মাঠে পৌঁছে যান অ্যাশলে ইয়াংয়ের স্ত্রী নিকি পাইক। শৈশব থেকেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক। তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ২০১৫ সালে। নিকি দু’সন্তানের মা।