বিপাকে সাবেক কাউন্সিলর শাহেদ আলী : ফেরত দিতে হবে ১শ ১০ হাজার পাউন্ড

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃহাউসিং প্রতারণার দায়ে কনফিসকেশন অর্ডার অনুযায়ী ১শ ১০ হাজার পাউন্ড পরিশোধ না করলে আবারো জেলে যেতে হতে পারে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের হোয়াইটচ্যাপল ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহেদ আলীকে। হাউজিং নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে দোষ স্বীকার করায় ২০১৬ সালের অক্টোবরে ৫ মাসের জেল দিয়েছিল স্নেয়ার্সব্রোক ক্রাউন কোর্ট। নতুন করে আবার জেলে যেতে হতে পারে সাবেক কাউন্সিলর শাহেদ আলীকে। আর জেলে না যেতে হলে কোর্টের কনফিসকাশন অর্ডার অনুযায়ী ১শ ১০ হাজার পাউন্ড ফিরিয়ে দিতে হবে তাকে। একই সঙ্গে কোর্টের খরচবাবদ পরিশোধ করতে হবে আরো ৭০ হাজার পাউন্ড।

আদালতের শুনানিতে জানানো হয়েছে, সাবেক কাউন্সিলর শাহেদ আলী ২০০৯ সালে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্যোসাল হাউসিংয়ের জন্যে আবেদন করেন। আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, তার থাকার জায়গা নেই। তিনি আত্মীয়ের বাসায় সোফাতে রাত্রি যাপন করেন। এরপর বারার ক্রিশ্চিয়ান স্ট্রীটে তাকে এক বেডরুমের একটি ফ্ল্যাট দেয় কাউন্সিল।

কাউন্সিল ফ্ল্যাট পাওয়ার পর তিনি সিঙ্গেল পার্সন হিসেবে কাউন্সিল ট্যাক্স ডিসকাউন্টের জন্যে আবেদন করেন। আর এখানেই কাউন্সিলের সন্দেহের চোখে পরেন তিনি। কারণ একই সময়ের ভেতরে তার নামে থাকা অন্য প্রোপার্টির জন্যে কাউন্সিল ট্যাক্স পরিশোধ করে আসছিলেন সাবেক কাউন্সিলর শাহেদ আলী। এরপর কাউন্সিল তার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে।

তদন্তে বেরিয়ে আসে ভিন্ন চিত্র। তদন্তে দেখা যায়, টাওয়ার হ্যামলেটসের ম্যানচেষ্টার রোডে সাবেক কাউন্সিলর শাহেদ আলীর মালিকানাধীন একটি ঘর আছে। এছাড়াও উত্তরাধিবারসুত্রে মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত একটি ঘরের মালিকও তিনি। শেডওয়েল এলাকার কেনন স্ট্রীটে রাইট টু বাই-এর অধিনে সাবেক কাউন্সিলরের মা ঘরটি কিনেছিলেন।

শাহেদ আলী ২০১০ সালের নির্বাচনে টাওয়ার হ্যামলেটস ফার্স্ট পার্টি থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ভেতরে কাউন্সিল ফ্ল্যাটে বসবাস করলেও তার নামে থাকা আরো দুটি রেসিডেন্সিয়াল প্রোপার্টির মালিকানার বিষয়টি গোপন রাখেন তিনি। শুধু তাই নয়, কাউন্সিলের তদন্তে দেখা গেছে, এসেক্সের সমুদ্রতীরেও সাবেক কাউন্সিলর শাহেদ আলীর মালিকানাধীন আরো দুটি প্রোর্পার্টি রয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রোপার্টির নীচ তলায় একটি কারী হাউসও রয়েছে।

হাউজিং ফ্রডের দায়ে ২০১৬ সালে প্রায় এক মাস শুনানি শেষে আদালতে দোষ স্বীকার করার পর ৫মাস জেল খাটেন তিনি। এ সময় কাউন্সিলর হিসেবেও তাকে অযোগ্য ঘোষণা করে আদালত। এছাড়া পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্যে নির্বাচনে প্রার্থীতার উপর নিষেজ্ঞা আরোপ করে আদালত।

উল্লেখ্য সাবেক কাউন্সিলর শাহেদ আলী ২০০৬ সালে প্রথম রেসপেক্ট পার্টি থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন।


Spread the love

Leave a Reply