প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে উদ্ধারকৃত থাই কিশোররা

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃদু:সাহসিক অভিযানে থাইল্যান্ডের গুহা থেকে উদ্ধার হওয়া ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচ প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে এসেছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর আজ বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন তারা। এসময় তাদেরকে বেশ উৎফুল্ল দেখা গেছে। সে দেশের প্রথাগত সম্ভাষণ ‘ওয়েই’ বলে তারা উপস্থিত সাংবাদিকদের স্বাগত জানান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বুধবার থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ চিয়াংরাইয়ে উদ্ধারকৃত কিশোরদের সংবাদ সম্মেলনে হাজির করে কর্তৃপক্ষ। ‘ওয়াইল্ড বোর’ ফুটবল টিমের লাল-হলুদ জার্সি পরে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।সংবাদ সম্মেলনে একটি প্রতিকী ফুটবল মাঠ উপস্থাপন করা হয়। যেখানে ওই কিশোররা ফুটবলে লাথি দিয়ে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা উদযাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদকর্মীরা ছাড়াও কিশোরদের চিকিৎসক, স্বজন ও বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টিভি চ্যানেলে এ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। পাশাপাশি কয়েক ডজন বেসরকারি চ্যানেলও সরাসরি সম্প্রচার করে। সংবাদ সম্মেলনে সঞ্চালক সুথিচাই ইয়্যুন বলেন, যেসব বিষয় আমাদের এতদিন হতবাক করেছে, আজ আমরা সেগুলো সরাসরি তাদের থেকে জানবো। পরে সাংবাদিকরা কিশোরদের কাছে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা জানতে চান।
এর আগে বুধবার ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। টানা ৮ দিনের নীবিড় পরিচর্যা শেষে তাদেরকে পুরোপুরি সুস্থ ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তিনটি মিনিবাসে চড়ে উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ চিয়াং রাই প্রদেশের ওই হাসপাতাল ত্যাগ করেন তারা। এসময় তারা ফুটবল ‘কিটস’ পরা ছিলেন। স্থানীয় একজন সাংবাদিক বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই তাদের ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার হওয়ার পর থেকে কর্তৃপক্ষের কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে তাদের নাগাল পান নি সংবাদকর্মীরা। বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা নিজ বাড়িতে ফেরার কথা রয়েছে। থাইল্যান্ড সরকারের মুখপাত্র সুনসার্ন কায়েকুমনার্ড বলেন, গণমাধ্যমকে তাদের অভিজ্ঞতা সরাসরি জানানোর জন্য সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। এর পর তারা আগের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন।

প্রায় ২ সপ্তাহ গুহার গহীনে কাটানোর ফলে তাদের ওপর কোন বিরূপ প্রভাব পড়েছে কিনা, সংবাদ সম্মেলনে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে একটি পর্যবেক্ষণকারী দল। কোন উদ্ভট প্রশ্নে যেন কিশোররা বিব্রত না হন, সে জন্য পূর্বে থেকেই সংবাদ মাধ্যমগুলো থেকে প্রশ্ন আহবান করে কর্তৃপক্ষ। পূর্বে জমা দেয়া এসব প্রশ্ন মনোবিদদের দিয়ে পর্যালোচনা করে তা কিশোরদের কাছে উত্থাপন করা হয়। এছাড়া সরাসরি কোন অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করে বিড়ম্বনা সৃষ্টি না করার জন্য সাংবাদিকদের নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি কমপক্ষে এক মাস কোন সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না দেয়ার জন্য কিশোর ফুটবলারদের পরিবারের প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে তাদের মানসিক চিকিৎসা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।


Spread the love

Leave a Reply