জামিন পেলেন নওশাবা
এর আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় নওশাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দফায় রিমান্ডে নেয় পুলিশ। প্রথম দফায় চার দিন এবং দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ডে নেয় নওশাবাকে।
গত ১৩ই আগস্ট দ্বিতীয় দফার রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করলে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন নওশাবা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উল্লেখ্য, ৪ঠা আগস্ট বিকালে ধানম-িতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্বৃত্তের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় ফেসবুক লাইভে হাজির হয়েছিলেন ঢাকা অ্যাটাক ছবির অভিনেত্রী কাজী নওশাবা। সে সময় নওশাবা বলেছিলেন, ‘আমি কাজী নওশাবা আহমেদ, আপনাদের জানাতে চাই। একটু আগে জিগাতলায় আমাদেরই ছোট ভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। আপনারা সবাই একসঙ্গে হোন প্লিজ। ওদের প্রোটেকশন দেন, বাচ্চাগুলো আনসেভ অবস্থায় আছে, প্লিজ। আপনারা রাস্তায় নামেন, প্লিজ রাস্তায় নামেন, প্লিজ রাস্তায় নামেন এবং ওদের প্রোটেকশন দেন।’
‘সরকার প্রোটেকশন দিতে না পারলে আপনারা মা-বাবা, ভাইবোন হয়ে বাচ্চাগুলোকে প্রোটেকশন দেন, এটা আমার রিকোয়েস্ট। এদেশের মানুষ-নাগরিক হিসেবে আপনাদের কাছে রিকোয়েস্ট করছি যে, জিগাতলায় একটি স্কুলে একটি ছাত্রের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুজনকে মেরে ফেলা হয়েছে এবং ওদের অ্যাটাক করা হয়েছে। ছাত্রলীগের ছেলেরা সেটা করেছে। প্লিজ ওদের বাঁচান প্লিজ। তারা জিগাতলায় আছে।’
তবে ওই ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর খবরটি গুজব বলে জানান। কিন্তু এরই মধ্যে অভিনেত্রী নওশাবার লাইভ ভিডিওটি অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।