আইএস’র নৃশংসতা : ইরাকে অর্ধশতাধিক গনকবরের সন্ধান

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক:

ইরাকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের দখল থেকে পুনরুদ্ধার করা এলাকায় অর্ধশতাধিক গণকবরের সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গতবছর কয়েকমাস আইএসের দখলে থাকা রামাদি, সিনজার, আনবার ও তিকরিতের এসব গণকবরের সন্ধান পেয়েছে সরকারি বাহিনী।

এরমধ্যে সর্বশেষ গত ১৯ এপ্রিল ইরাকের রামাদি শহরে একটি ফুটবল মাঠে গণকবর থেকে ৪০টি দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। জাতিসংঘের বিশেষ দূত জ্যান কুবিস জানান, গণকবরগুলো আবিষ্কারের মাধ্যমে  আরও একবার আইএসের নৃশংসতা প্রকাশ পেল। সশস্ত্র ওই জঙ্গি সংগঠনকে রুখতে সামরিক শক্তি প্রয়োগ নয়, উগ্রপন্থার মূল কারণ শনাক্ত করার তাগিদ দিয়েছেন কুবিস। আইএসের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের মে মাস থেকে রামাদির দখল নেয় আইএস। একই বছরের ডিসেম্বরে আইএসের কাছ থেকে রামাদির কিছু অংশের পুনর্দখল নেয় ইরাকি সেনাবাহিনী। পরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ গোটা রামাদি দখলে নেওয়ার দাবি করে তারা।

কেবল রামাদিই নয়, একসময় আইএসের দখলে থাকা সিনজার, আনবার ও তিকরিতের কাছেও গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। সিরিয়ার কিছু এলাকায়ও গণকবরের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছেন কুবিস। কুবিস বলেন, আইএস সদস্যরা ইরাকিদের ওপর যে হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ ও নির্যাতন চালাচ্ছে আমি তার কঠোর নিন্দা জানাই। এ ধরনের অপরাধকে মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ এমনকি গণহত্যার আওতায় এনে বিচার করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, আইএসের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হওয়ার পরও সশস্ত্র সংগঠনটি এখনও শত্রু হিসেবে অনড় রয়েছে। তারা তাদের কৌশল ও হামলার ধরনে পরিবর্তন নিয়ে আসছে। কুবিস মনে করেন সামরিক বাহিনী দিয়ে সশস্ত্র এ সংগঠনটিকে পরাজিত করা যাবে না। তাই সহিংস উগ্রপন্থার মূল কারণ চিহ্নিত করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।


Spread the love

Leave a Reply