দর্শকদের প্রশ্নে কঠিন সময় পার করলেন নেতারা

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ প্রতিশ্রুতির বিশ্বাসযোগ্যতা, ব্যক্তিগত সততা এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে দলীয় অবস্থান নিয়ে দর্শকদের সরাসরি প্রশ্নে কঠিন সময় পার করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধান প্রধান দলের নেতারা। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় রাতে প্রধান চার দলের নেতাকে বিশেষ নির্বাচনী ‘বিবিসি কোইশ্চান টাইম লিডারস’ অনুষ্ঠানে হাজির করে বিবিসি।

এই বিতর্কের সবচেয়ে আলোচিত ব্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ) প্রশ্নে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের অবস্থান। দর্শকের চাপে করবিন অবশেষে বলেছেন, পুনরায় গণভোটে তিনি ব্রেক্সিট প্রশ্নে নিরপেক্ষ থাকবেন। এতে সেই গণভোটের রায় যেদিকেই যাক, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তা বাস্তবায়নে তাঁর কোনো পিছুটান থাকবে না।

ব্রেক্সিট কার্যকর করা নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থার কারণে আগামী ১২ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই এই নির্বাচনে ব্রেক্সিট প্রশ্নে দলগুলোর অবস্থানের দিকে জনগণের বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে।

বামধারার রাজনীতিক জেরেমি করবিনের লেবার পার্টি নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছে, ক্ষমতায় গেলে তারা তিন মাসের মধ্যে ব্রেক্সিট কার্যকরে নতুন চুক্তি করবে, তাতে ইইউর সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অন্যান্য ঘনিষ্ঠতা নিশ্চিত করা হবে। এরপর গণভোটের আয়োজন করবে, যাতে মানুষ ওই চুক্তির মাধ্যমে বিচ্ছেদ কিংবা বিচ্ছেদের বিপক্ষে চূড়ান্ত রায় দিতে পারে। কিন্তু ওই গণভোটে করবিন বিচ্ছেদের পক্ষে থাকবেন, নাকি বিপক্ষে থাকবেন, তা নিয়ে এত দিন মুখ খোলেননি।

করবিনের নিরপেক্ষ থাকার ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ করেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, করবিন যদি নিজের চুক্তির পক্ষে দাঁড়াতে না পারেন, তাহলে তিনি ইইউর সঙ্গে কীভাবে সেই চুক্তি করবেন? বিতর্কে অংশ নেওয়া প্রতিদ্বন্দ্বী তিন নেতা—লেবার পার্টির জেরেমি করবিন, লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির জো সুইনসন এবং স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির নিকোলা স্টারজিওনকে ইঙ্গিত করে জনসন বলেন, পুনরায় গণভোটের পক্ষে অবস্থান নিয়ে এই তিন নেতা ২০১৬ সালের গণভোটের রায়কে অগ্রাহ্য করেছেন।

ব্রেক্সিট নিয়ে অন্যদের আক্রমণের সুযোগ নিলেও নিজের সততা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন জনসন। রাজনীতিতে সততার গুরুত্ব আছে কি না এবং তাঁর কথা ভোটাররা কেন বিশ্বাস করবে—এমন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে হিমশিম খান অতীতে মিথ্যা বলে ধরা খাওয়া জনসন।

লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টি বিজয়ী হলে সরাসরি ব্রেক্সিট বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে। ২০১৬ সালের গণভোটের রায়কে উপেক্ষার এই নীতি কতটা গ্রহণযোগ্য, এ নিয়ে করা প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি জো সুইনসন। আর স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতাসংগ্রামে লিপ্ত নিকোলা স্টারজিওনের কাছে প্রশ্ন ছিল, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিচ্ছেদ স্কটল্যান্ডের জন্য কতটা টেকসই হবে? এমন প্রশ্নে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন তিনি।


Spread the love

Leave a Reply