নিজ স্কুলের সংবর্ধনায় ব্যারিস্টার নাজির: সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়লেও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ছিল আমার হাতেখড়ি

Spread the love

সংবাদদাতা। বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্টানগুলোতে পড়াশুনা করার সৌভাগ্য হলেও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ছিল আমার শিক্ষার হাতেখড়ি। এই প্রতিষ্টানে পাঁচ পাঁচটি বছর কাটিয়েছি। এই স্কুলে কাটানো সময় ছিল আমার জীরনের অন্যতম শ্রেষ্ট সময়। জীবণে অনেক সম্মাননা পেয়েছি, পেয়েছি অনেক ক্রেষ্ট। নিজ হাতেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দিয়েছি অনেক সম্মাননা ও ক্রেষ্ট। কিন্তু খোদ নিজ স্কুল থেকে আজকেরটি পাবার আনন্দ ও স্বাদ সত্যিই আলাদা। আমি অনেকটা আবেগাপ্লুত।

আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, দৌলতপুর, বিশ্বনাথ কর্তৃক দেয়া সম্বর্ধনার জবাবে বিশিষ্ট লেখক, বৃটেনের প্রতিথযশা আইনজীবী, নিউহ্যাম বারার টানা তিনবারের সাবেক ডেপুটি স্পীকার ও “ফ্রিম্যান অব দ্য সিটি অব লন্ডন” খেতাবপ্রাপ্ত ব্যারিস্টার নাজির আহমদ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। উল্লেখ্য ব্যারিস্টার নাজির আহমদ এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন এবং এই স্কুল থেকেই আশির দশকে এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে মেধা তালিকায় স্থান লাভ করেন।

গত বুধবার ১৫ মে দুপুরে আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজে এসে পৌঁছলে ব্যারিস্টার নাজির আহমদকে ফুলের তুড়া দিয়ে অভিবাদন জানানো হয়। এরপর অধ্যক্ষ মোঃ হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সহকারী শিক্ষক জনাব আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সম্বর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। এতে বিপুল সংখ্যক ছাত্র/ছাত্রী যোগ দেন। উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী শিক্ষক নরোত্তম বিশ্বাস, মীর মোহাম্মদ আব্দুল মোমিন, কলি আচার্য, আকলিমা বেগম, সাবেক সহকারী শিক্ষক রীনা বেগম, ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য বাবুল মিয়া।

প্রায় ঘন্টাব্যাপী বক্তৃতায় ছাত্র/ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বলেন, আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখতে হবে। একটু কমিটেড ও ডিটারমিন্ড হলে, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারলে, সেক্রিফাইসিং ও লার্নিং মেন্টালিটি থাকলে তোমরা অবশ্যই ভাল করতে পারবে। নিয়মিত পড়াশুনা, শিক্ষকদের কথা শুনা, কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায় নিয়ে যেতে পারে তোমাদেরকে সফলতার শীর্ষে। ছাত্র/ছাত্রীদের উৎসাহ ও উদ্দিপনা দিতে বিভিন্ন উপমার মাধ্যমে তিনি বলেন, নিজের সাফল্যে অন্যরা ও স্বজনরা হিংসা ও ঘৃনা করে শুধু মাত্র নিজের পিতামাতা ও শিক্ষক ছাড়া। ছাত্ররা শিক্ষকদের ছাড়িয়ে গেলেও শিক্ষকরা তাতে গর্ববোধ করেন।

ব্যারিস্টার নাজির আহমদ আরও বলেন, বর্তমান প্রযুক্তির যুগে ছাত্র/ছাত্রীদের অত্যন্ত সতর্কতার সাথে এগুতে হবে। পিতামাতা ও শিক্ষকদের কড়া নজর না থাকলে অল্প বয়সের ছাত্র/ছাত্রীরা মোবাইলে অতি আসক্তির মাধ্যমে বিপথগামী হতে পারে। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল নয়। তাই লেখাপড়ায়, খেলাধুলা ও অন্যান্য কর্মকান্ডে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।

পরে অধ্যক্ষ মোঃ হাসানুজ্জামান পূরো স্কুল ও কলেজের ক্যাম্পাস ব্যারিস্টার নাজির আহমদকে ঘুরে ঘুরে দেখান। ব্যারিস্টার নাজির আহমদ তাৎক্ষনিকভাবে স্কুল ও কলেজের উন্নয়নে নিজস্ব তহবিল আর্থিক অনুদান দেন। এর সাথে সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষায় এ প্লাস প্রাপ্ত উপস্থিত ছাত্র/ছাত্রীদের উৎসাহ দিতে গিফ্ট প্রদান করেন।


Spread the love

Leave a Reply