বাংলাদেশে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের আবেদন

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ বাংলাদেশে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের রিট আবেদনটি বিবেচনার যোগ্য কি-না তা নির্ধারণে ছয়জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।

এই ছয়জন অ্যামিকাস কিউরি এ বিষয়ে আদালতকে পরামর্শ দেবেন। এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ১৫ই ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী বিবিসিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “আদালত পাঁচটি বিষয়ে অ্যামিকাস কিউরিদের মতামত চেয়েছে, যা নিয়ে ১৫ই ফেব্রুয়ারি শুনানি হবে।”

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান আজিজ আহমেদ ও তার ভাইদের কর্মকাণ্ড নিয়ে আল জাজিরা সম্প্রতি একটি তথ্যচিত্র প্রচার করে যাতে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে।

এনিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে বাংলাদেশে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের আদেশ চেয়ে ৮ই ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষাপটে বুধবার এ আদেশ দিয়েছে আদালত।

আদালতে ওই রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এনামুল কবির ইমন।

রিটে বাংলাদেশে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ (আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে নেয়া ছবি)।

সেই সঙ্গে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ নামে সম্প্রচারিত প্রতিবেদনটি ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটার থেকে অপসারণের নির্দেশনাও চাওয়া হয়।

বুধবার আদালত যে ছয়জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছে, তারা হচ্ছেন এজে মোহাম্মদ আলী, আব্দুল মতিন খসরু, শাহদীন মালিক, ফিদা এম কামাল, প্রবীর নিয়োগী এবং কামাল উল আলম।

তথ্যচিত্রটি যেহেতু দশদিন আগে প্রচারিত হয়েছে, তার ফলে এখন নতুন করে স্থগিতাদেশ দেবার আবেদন জনস্বার্থে গ্রহণযোগ্য কিনা, এবং বিদেশী প্রচারমাধ্যমের সম্প্রচার বন্ধের ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশনা কার্যকর করা যাবে কি না এসব বিষয়ে আইনজীবীদের মতামত জানতে চেয়েছে আদালত।

পহেলা ফেব্রুয়ারি রাতে আল-জাজিরা ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি প্রচার করে।

বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রতিবেদনটি ‘উদ্দেশ্যমূলক’ এবং ‘ভিত্তিহীন।’

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে।

প্রতিবেদনটি প্রচারিত হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন জানিয়েছিলেন আল জাজিরার বিরুদ্ধে আইনগত কী ব্যবস্থা নেয়া যায়, সরকার তা খতিয়ে দেখছে।


Spread the love

Leave a Reply