আজ ভালবাসা্র দিন
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ ভালোবাসা প্রকাশের দিন আজ। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। অব্যক্ত কথা ডালাপালা মেলে ছড়িয়ে পড়বে বসন্তের মধুর হাওয়ার দ্বিতীয় দিনে। মনে লাগবে দোলা, ভালোবাসার রঙে রঙিন হবে হৃদয়। ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে এভাবেই মনের ভাব প্রকাশ করেছিলেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
শুধু তরুণ-তরুণী নয়, নানা বয়সের মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক রূপ প্রকাশের আনুষ্ঠানিক দিন আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ ভালোবাসা মানুষে-মানুষে ভালোবাসাবাসির দিনও। কিন্তু শুধু একটি দিন ভালোবাসার জন্য কেন? এ প্রশ্নে কবি নির্মলেন্দু গুণের ছোট জবাব, ভালোবাসা একটি বিশেষ দিনের জন্য নয়। সারাবছর, সারাদিন ভালোবাসার। তবে আজকের এ দিন ভালোবাসা দিবস হিসেবে বেছে নিয়েছে মানুষ।
তারুণ্যের অনাবিল আনন্দ আর বিশুদ্ধ উচ্ছ্বাসে সারা বিশ্বের মতো আমাদের দেশের তরুণ-তরুণীদের মাঝেও ভালোবাসা দিবস পালিত হচ্ছে। ভালোবাসার উৎসবে মুখরিত হবে রাজধানী। ছোঁয়া লাগবে গ্রাম-বাংলার জনজীবনেও। মুঠোফোনের মেসেজ, ই-মেইল অথবা অনলাইনের চ্যাটিংয়ে পুঞ্জ পুঞ্জ প্রেমকথার কিশলয় হয়ে উঠবে পল্লবিত। অনেকের মতে, ফেব্রুয়ারির এ সময়ে পাখিরা তাদের জুটি খুঁজে বাসা বাঁধে। নিরাভরণ বৃক্ষে কচি কিশলয় জেগে ওঠে। তীব্র সৌরভ ছড়িয়ে ফুল সৌন্দর্যবিভায় পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হয়।
এদিনে চকোলেট, পারফিউম, গ্রিটিংস কার্ড, ই-মেইল, মুঠোফোনের এসএমএস-এমএমএসে প্রেমবার্তা, হীরার আংটি, প্রিয় পোশাক, জড়াজড়ি করা খেলনা অথবা বই ইত্যাদি শৌখিন উপঢৌকন প্রিয়জনকে উপহার দেওয়া হয়। নীল খামে হালকা লিপস্টিকের দাগ, একটা গোলাপ ফুল, চকোলেট, ক্যান্ডি, ছোট্ট চিরকুট আর তাতে দুছত্র গদ্য অথবা পদ্য হয়ে উঠতে পারে উপহারের অনুষঙ্গ।
আমাদের দেশে দিনটিকে ঘিরে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি পালন করে থাকে। সে লক্ষ্যে শাহবাগ চত্বর, বেইলি রোডসহ রাজধানীর বিভিন্নস্থানে, রাজপথে অডিটরিয়ামে আয়োজন করা হবে বর্ণাঢ্য র্যালি, সূচনা সঙ্গীত, ভালোবাসার স্মৃতিচারণ, কবিতা আবৃত্তি, গান, ভালোবাসার চিঠি পাঠ এবং ভালোবাসার দাবিনামা উপস্থাপনসহ আরও নানা কর্মসূচি। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়াম, ফ্যান্টাসি কিংডম, নর্ন্দন পার্কসহ দেশের বিভিন্নস্থানে কনসার্টেরও আয়োজন করা হয়েছে।