বৈশাখী মেলা ফিরে এলো ব্রিকলেইনে

Spread the love

mala2বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ বৈশাখী মেলা টাওয়ার হ্যামলেটসের ক্যালেন্ডারের একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আগামী ২২ মে বৈশাখী মেলা ট্রাষ্ট ব্রিকলেন এবং ওয়েভারস ফিল্ডে মেলা করার ঘোষনা দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বারার মেয়র জনবিগস। তবে কমিশনারদের সিদ্ধান্তের কারনে সরাসরি আর্থিক সাহায্য দিতে না পারলেও মেলা আয়োজনের জন্য ট্রাষ্টকে ইন কাইন্ড কিছু সহযোগিতা করবে কাউন্সিল।

ময়র জন বিগস ১৩ ফেব্রুয়ারী, শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন। টাওয়ার হ্যামেলেটসের মেয়র জন বিগস বলেছেন কেন্দ্রীয় তথা টোরী সরকারের অব্যাহত ব্যয় সংকোচনকে মোকাবেলা করে বাজেট প্রণয়নের জন্য কাজ করে যাচ্চেছ টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল। আর এই বাজেট প্রণয়নে জনগনের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া হচ্চেছ বলেও তিনি জানান।
ে পূর্ব লন্ডনের আইডিয়া স্টোরে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনটি ছিলো গত ১১ জুন নির্বাচিত হওয়ার পর মেয়রের তৃতীয় সংবাদ সম্মেলন।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র জন বিগস ৩.৯৯% কাউন্সিল ট্যাক্স বৃদ্ধির কারন ব্যাখ্যা করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনায় তার নিজের ইচ্চছার বিরুদ্ধে এই ট্যাক্স বাড়াতে হয়েছে। আর বৃদ্ধি প্রাপ্ত ৩.৯৯% এর মধ্যে ২% বাধ্যতামূলকভাবে সরাসরি চলে যাবে এডাব্ব সোশাল কেয়ার খাতে। বাকী ১.৯৯% ব্যয় হবে বিভিন্ন ফান্ডিং কাট মোকাবেলায়। তিনি জানান, এটা শুধু টাওয়ার হ্যামলেটস নয়, লন্ডনের প্রায় সব বারাতেই কাউন্সিল ট্যাক্স বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি বলেন, টাওয়ায় হ্যামলেটসে আগামী ৪ বছরে ৫৯ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থ সাশ্রয়ের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আসন্ন বাজেটে সাশ্রয় করতে হবে ১৭ মিলিয়ন পাউন্ড। তবে এই সাশ্রয়কালে ফ্রন্ট লাইন সার্ভিসগুলো যাতে অব্যাহত থাকে তিনি এই চেষ্টা করে যাচ্চেছন বলে জানান।

মেয়র আরো জানান, সামর্থ্যরে মধ্যে ঘরবাড়ী বানানোকে প্রাধান্য দেয়ার পাশাপাশি সোশাল কেয়ার, এন্টি সোশাল বিহেভিয়ার দমন, স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি এবং পরিষ্কার পরিচ্চছন্নতাকে বিশেষ প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এসব খাতে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ রাখার কথা তিনি জানান। হাউজিং এর ক্ষেত্রে লিজ হোহ্বারদের রিপেয়ার বিল ইন্টারেস্ট ফ্রি এবং দীর্ঘ মেয়াদে পরিশোধের ব্যবস্থা, সামর্থ্যরে মধ্যে ঘরবাড়ী বানানোর জন্য বিশেষ কমিশন গঠন, রাইট টু বাই থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে বাড়ী বানানোর জন্য বিশেষ স্কিম চালু, হল্যান্ড স্টেটকে ভাঙ্গার হাত থেকে রক্ষা ইত্যাদিকে তিনি তার অগ্রগতি বলে ব্যাখ্যা করেন। তিনি জানান, আগামী নির্বাচনের আগেই এক হাজার কাউন্সিল বাড়ী বানানোর জন্য তিনি কাজ করে যাচ্চেছন।

স্বচ্চছতা এবং জবাবদিহিতার সংস্কৃতি প্রতিষ্টাকে গত ৭ মাসে তার অন্যতম অর্জন বলে উল্লেখ করেন মেয়র। তিনি বলেন, নিয়মিতভাবে কাউন্সিলের অধিবেশনে আমি আমার কাজের লিখিত বিবরনী প্রকাশ করছি, ওভারভিউ এন্ড স্ক্রুটিনি কমিটিতে হাজির হচ্চিছ। এছাড়া প্রতি বৃহস্পতিবার হোয়াইটচ্যাপল আইডিয়া স্টোরে মেয়রাল সার্জারীতে দেখা করছি বাসিন্দাদের সাথে। এর বাইরে সোয়ানলী স্কুলে প্রথম মেয়রাল এসে“লীও অনুষ্টিত হয়েছে। বিভিন্ন সভা সমিতিতে যোগদানের পাশাপাশি স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালেও আমি আমার কাজের ব্যাখ্যা দিচ্চিছ। মেয়র বলেন, সব পরিবেশে মানুষের সাথে সাক্ষ্কাালে তাদের মতামতকে গুরুত্বের সাথে নিচ্চিছ। প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছি। উদাহরন হিসাবে জানান, খরচ কমানোর জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা আইডিয়া স্টোরগুলো রবিবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এব্যাপারে বাসিন্দাদের মতামত ছিলো আমাদের বিরুদ্ধে। ফলে আমরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি।
কমিশনারদের সাথে কাজকে গত ৭ মাসে তার আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তাদের কতৃত্বের পরিধি কমে আসলে এখনো তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব রেখে চলেছেন। তবে এবছরের শেষ দিকে তারা চলে যাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে বৈশাখী মেলা সম্পর্কে মেয়র জানান, বৈশাখী মেলা টাওয়ার হ্যামলেটসের ক্যালেন্ডারের একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আগামী ২২ মে বৈশাখী মেলা ট্রাষ্ট ব্রিকলেন এবং ওয়েভারস ফিহ্বে মেলা করার ঘোষনা দিয়েছে শুনে আমি আনন্দিত। তবে কমিশনারদের সিদ্ধান্তের কারনে সরাসরি আর্থিক সাহায্য দিতে না পারলেও মেলা আয়োজনের জন্য ট্রাষ্টকে ষ্ক্রইন কাইন্ডম্ব কিছু সহযোগিতা করবে কাউন্সিল।
মেয়র জানান ইন্ডিপেনডেন্ট প্যানেল ভবিষ্যতে মেলা কীভাবে আয়োজন করা হবে তা নিয়ে কাজ করছে। মেলার জন্য আর্থিক সাহায্য খুবই জরুরী বলে তিনি জানান। এছাড়া এবিষয়ে স্বচ্চছতা এবং জবাবদিহিতার উপরও গুরুত্ব দেন তিনি।
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের কমিউনিকেশন রিভিউতে বাংলা মিডিয়াকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এই প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা ছিলো একটি উন্মুক্ত পরামর্শ প্রক্রিয়া। কাউন্সিল প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এবং তার ওয়েভসাইটে এসম্পর্কে ঘোষনা দিয়েছিলো বারার যে কোন বাসিন্দাকে মতামত জানানোর জন্য। বাংলা মিডিয়া কেন এতে উপস্থিত হয়নি তা অবশ্যই খোঁজ নিয়ে সবাইকে জানাবো। আমাদের কোন গলদ থাকলে তা শুধরে নিব। মেয়র বলেন আমার নিয়মিত প্রেসকনফারেন্স, মেয়রাল এসে“লী, স্ক্রুটিনি কমিটিতে অংশ গ্রহন- ইত্যাদির উদ্দেশ্যই হচ্চেছ বাসিন্দাদের মতামত জানা। ভুল থাকলে শুধরে নেয়া। শুধু আমার বক্তব্য প্রচারের জন্য আমি এগুলো করি না। স্বচ্চছতা এবং জবাবদিহিতার সংস্কৃতি প্রতিষ্টায় আমি অবিচল। বাংলা মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, ইউরোপিয়ান প্রকিউরমেন্ট আইনটি এব্যাপারে একটি বাধা। তবে এ বিষয়টি রিভিউ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলার সিরাজুল ইসলামও বক্তব্য রাখেন।


Spread the love

Leave a Reply