আবারো নির্মমভাবে শিশু হত্যা
নাজমিন আরা
সিলেটে শিশু রাজন হত্যাকাণ্ডের রেশ না কাটতেই খুলনায় নির্মমভাবে এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে নগরীর টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোডে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, নিহত শিশুর নাম রাকিব (১২)। গ্যারেজে কাজ ছেড়ে দেওয়ার অপরাধে মোটর টায়ারে পাম্প দেওয়ার পাইপ মলদ্বারে প্রবেশ করিয়ে তাকে হত্যা করা হয় । এ ঘটনায় গ্যারেজ মালিক মিন্টুসহ আরো তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, মিন্টুর মোটর গ্যারেজে কাজ করত রাকিব। হঠাৎ সে কাজ ছেড়ে অন্য গ্যারেজে কাজ নেয়। এ ঘটনার পর গতকাল রাত ১০টার দিকে রাকিব তার পুরোনো কর্মস্থলের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় মিন্টু কাজ ছেড়ে দেওয়ার অপরাধে রাকিবকে ধরে এবং মোটর টায়ারের পাম্প দেওয়া মেশিনের পাইপ রাকিবের মলদ্বারে ঢুকিয়ে হওয়া দেয়। বাতাস ঢুকে রাকিবের পেট ফুলে যায়। অসুস্থ অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আশপাশের লোকজন গ্যারেজ মালিক মিন্টু, তার ভাই শরীফকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ছাড়া ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিন্টুর মা বিউটি বেগমকেও পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাকিবের মৃত্যু হয়। গণপিটুনিতে আহত মিন্টু ও শরীফকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি সুকুমার বিশ্বাস।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ওসি সুকুমার বিশ্বাস জানান, শিশু রাকিবের শরীরের অস্বাভাবিক পরিমাণ বাতাস প্রবেশ করানোর কারণে তার পেটের নাড়িভুড়ি ছিড়ে যায়, ফুসফুস ফেটে যায়। এছাড়াও তার শরীরের বিভিন্ন অর্গান অকেজো হয়ে যাওয়ার কারণে সে মারা যায়। রাকিবের মা আমেনা বেগম তাঁর ছেলে হত্যায় জড়িতদের বিচার চেয়েছেন।
গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে চোর সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শিশু সামিউল আলম রাজনকে (১৩)।