কয়সর”র বিরুদ্ধে যতো অভিযোগ : বহিস্কার দাবী

Spread the love

unnamed (2)বাংলা সংলাপ ডেস্কঃনিজের স্বেচ্ছাচারিতা দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে চালিয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদের বহিস্কার দাবী করেছেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক যুক্তরাজ্য প্রবাসী এম এ কাদির। তাঁর ছোট ভাই এম এ মতিন উপজেলা যুবদলের ৩ বারের নির্বাচিত সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে জগন্নাথপুর পৌর বিএনপির নির্বাচিত সভাপতি।
সোমবার ইস্ট লন্ডনের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবী উত্থাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এম এ কাদির বলেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম ঘোষণার পর বিতর্কের ঝড় উঠে। ১০১ সদস্যের এই কমিটিতে শুধুমাত্র সুনামগঞ্জ জেলার ৩৭ জন, এর মধ্যে আবার ২২জনই হলেন জগন্নাথপুর উপজেলার। এছাড়া কমিটিতে কয়েকজন ইল্লিগ্যাল ইমিগ্রান্ট রয়েছে। ৩০ জন উপদেস্টার মধ্যে ১২জনই হলেন সুনামগঞ্জের লোক। এই গুলোই প্রমান করে কয়সর এম আহমদ যুক্তরাজ্য বিএনপিতে কতটা স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কের ঝড় উঠলে কয়সর এম আহমদ তাঁর নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন তিনি শুধুমাত্র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ পালন করেছেন, এর বেশি কিছু নয়।
এম এ কাদির বলেন, ফেসবুক স্টেটাসের মাধ্যমে কয়সর এম আহমদ যুক্তরাজ্য বিএনপির পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের সকল অনিয়মের দায় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। এছাড়া কথায় কথায় তিনি সবাইকে বলেন, নিজে কিছুই জানতেন না, সবকিছুই করেছেন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, অর্থাৎ দেশনায়ক তারেক রহমান। এম এ কাদির দাবী করেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সেক্রেটারি নিজের স্বেচ্ছাচারিতা দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের নামে চালিয়ে দিয়ে দলকে বিতর্কিত করার পাশাপাশি তারেক রহমানকে জনসমক্ষে বিতর্কিত করছেন এবং এসবই বিশেষ মহলের সাথে তাঁর গোপন আতাত ও ষড়যন্ত্রের ফসল।
সংবাদ সম্মেলনে এম এ কাদির আরো বলেন, শুধু তাই নয়, কয়সর এম আহমদের পরিবারের সকল ব্যবসা হচ্ছে আওয়ামী লীগের সাথে। তাঁর ছোট ভাই কবির আহমদ জগন্নাথপুর পৌর নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর বিরোধীতা করেন এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় লিপ্ত ছিলেন। সিলেটের ভোজন বিলাস হোটেলের মালিকানায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা। একমাত্র কয়সর এম আহমদের ভাই কবির আহমদ হলেন এই ব্যবসার পার্টনার। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু ধরের সাথে গ্রামীন ফোনের ব্যবসায় কয়সর এম আহমদের পরিবারেরর ঘনিষ্ট সদস্য জড়িত। এছাড়া কয়সর এম আহমদ নিজেও আওয়ামী লীগের সাথে ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন এম এ কাদির।
যুক্তরাজ্যে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনাকারী সুশান্ত দাস গুপ্তের সাথে কয়সর এম আহমদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ব্যবসায়ীক সম্পর্ক রয়েছে। ব্রিকলেনে সোনারগাও রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন পাব (পানশালা)-এর মালিকানায় পার্টনার ছিলেন কয়সর এম আহমদ। ওই পাব-এর শেয়ার সম্প্রতি সুশান্ত দাশ গুপ্তের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। এম কাদির দাবী করেন, সুশান্তের এক আত্মীয়কে আইনজীবী সনদ পাইয়ে দিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অনেক সিনিয়র আইনজীবীকে ফোন করে চাপ দেন। এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার চেস্টা করেন কয়সর এম আহমদ। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর প্রভাব বিস্তার করে কয়সর এম আহমদ তাঁর ছোট ভাই কবির আহমদকে স্থানীয় জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ন সদস্য পদে বসিয়েছেন। এম এ কাদির বলেন, সুশান্ত দাশ গুপ্ত নিজের ফেসবুক এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সারাক্ষণ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করেন।
এরকম ব্যক্তির সাথে যার ব্যবসায়ীক সম্পর্ক রয়েছে তাঁকে বিএনপির নেতৃত্বে রাখলে দলের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি দাবী করেন কয়সর এম আহমদ সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনেক গোপনীয় সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের কাছে পাচার করে দিচ্ছেন। দলের আরো বড় ক্ষতি হওয়ার আগেই কয়সর এম আহমদকে পদ থেকে শুধু অব্যহতি নয়, বহিস্কারেরও দাবী জানান তিনি।


Spread the love

Leave a Reply