‘আমাদের সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে, আর হয়তো কথা হবে না’

Spread the love

“ওরা বন্দুক নিয়ে আমাদের ঘেরাও করে ফেলেছে। আমরা সবাই জিম্মি। আমাদের সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আর হয়তো তোমাদের সাথে কথা হবে না।” মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের দখলে নেয়ার পর ঐ জাহাজের চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান কথাগুলো বলছিলেন তার মা শাহানুর বেগমের কাছে।

বুধবার সকালে বিবিসি বাংলার কাছে কথাগুলো বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। এসময় তিনি বলেন, “তার সাথে যখন কথা বলি তখনও তার ফোন খোলা ছিল। আমরা তখন ইফতার করছিলাম।”

ইফতারের পাঁচ মিনিট পরে আতিকুল্লাহ খান একটি ভয়েজ এসএমএস পাঠান তার স্ত্রীর কাছে। যেখানে তিনি বলেন, “আমাদের ফোন নিয়ে ফেলতেছে মনে হয়। দোয়া কইরো। ফোন নিয়ে যাচ্ছে।”

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর সন্ধ্যা পর্যন্ত অনেকেই তাদের পরিবার কিংবা মালিকানা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে হোয়াটসঅ্যাপের ফোন কিংবা ভয়েজ এসএমএস’র মাধ্যমে।

কিন্তু সন্ধ্যার পর আর যোগাযোগ করতে পারেনি তারা। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ওই জলদস্যুরা সবার ফোনগুলো কেড়ে নেয়।

জাহাজটি এখন কোথায় আছে আর কেমন আছে জিম্মি ২৩ নাবিক? এ বিষয়ে মালিকানা প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম’র মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “একটি গোপন ডিভাইসের মাধ্যমে আমরা গভীর রাতে একজন জিম্মি নাবিকের সাথে কথা বলেছি। তারা সবাই সুস্থ আছে। তবে এখনো কোন ধরনের মুক্তিপণ দাবি করেনি।”

নাবিকরা জিম্মি হওয়ার পর থেকে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়ছে পরিবারে। এই অবস্থা থেকে তারা কবে মুক্তি পাবে জানতে পরিবার ভিড় করছে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে কেএসআরএম’র অফিসের সামনে।

এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “জাহাজটি এখনো জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণেই আছে। ২৩ জন জিম্মি নাবিকের জীবন রক্ষা করে নিরাপদে নিয়ে আসা আমাদের প্রথম কাজ। আমরা সেই কাজটি করার চেষ্টা করছি।”

দখলে নেয়ার পর গতকাল সন্ধ্যা থেকে জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো জলদস্যুরা।

বাংলাদেশ নৌপরিবহন অধিদপ্তরে মহাপরিচালক কমোডোর এম মাকসুদ আলম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে বতর্মানে ৪৮০ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে অবস্থান করছে জাহাজটি। গতিপথ দেখে মনে হচ্ছে জলদস্যুরা এটিকে সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।”

সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজটির গতিপথ।
সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজটির গতিপথ।

ফাঁকা গুলি ও ভয় দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেয় দস্যুরা

মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে ওঠে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। এ সময় জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা ছিল। এই জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি।

জলদস্যুরা জাহাজটি দখলে নেয়ার পর জাহাজের চিফ অফিসার মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ খান বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগের চেষ্টা করেন। পুরো পরিস্থিতির বর্ণনা জানিয়ে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠানকে গোপনে একটি অডিও বার্তাও পাঠান।

ওই অডিও বার্তাটি এসেছে বিবিসি বাংলার হাতে। তিন মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের সেই অডিও বার্তায় জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ ও দখলে নেয়ার পুরো ঘটনার একটা ধারণা পাওয়া যায়।

অডিও বার্তায় মি. খান বলছিলেন, “সকালে জাহাজের সময় আনুমানিক সাড়ে দশটায়, জিএমটি ৭.৩০মিনিটের সময় একটি হাইস্পিড স্পিডবোট আমাদের দিকে আসছিলো। তখন সাথে সাথে অ্যালার্ম দিলাম। আমরা সবাই ব্রিজের দিকে গেলাম।”

“তখন ক্যাপ্টেন আর সেকেন্ড অফিসার ব্রিজে ছিল। আমরা ঝিকঝাক কোর্স করলাম। তারপর এএমএস-এ করলাম। ইউকে এমটিকেও ট্রাই করলাম। কিন্তু তারা ফোন রিসিভ করেনি। এর মধ্যে জলদস্যুরা চলে আসলো।”

অডিও বার্তায় মি. খান জানান, “চলে আসার পর ওরা ক্যাপ্টেন স্যার ও সেকেন্ড অফিসারকে জিম্মি করে। আমাদের ডাকলো। আমরা সবাই আসলাম। আমাদের ডেকে কিছু ফাঁকা গুলি করলো। আমরা একটু ভয় পেয়েছি। সবাই ব্রিজে বসে ছিলাম। কারো গায়ে হাত তোলেনি। শুধু সেকেন্ড অফিসারকে একটু মারধর করেছে। তারপর আরেকটি স্পিডবোটে করে আরও কয়েকজন চলে আসলো। এভাবে একটু সময়ের মধ্যেই প্রায় ১৫-২০ জন চলে আসে।”

“এর কিছুক্ষণ পরে একটি বড় ফিশিং বোট আসলো। এটা ছিল একটা ইরানিয়ান ফিশিং বোট। এই বোটটি নাকি তারা আরও একমাস আগে ক্যাপচার করেছিলো। তারা এটাতেই ছিল। এটি দিয়ে তারা এক মাস ধরে নতুন কোনো জাহাজ খুঁজতেছিলো। আনফরচুনেটলি ওরা আমাদের জাহাজে আসলো।”

চিফ অফিসার মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ খান অডিও বার্তায় আরও বলেন, “এই ফিশিং বোটের তেল শেষ হয়ে গিয়েছিল। এখন আমাদের জাহাজে থেকে ওরা ডিজেল নিচ্ছে। আমরা আমাদের পাম্প থেকে ওদের ডিজেল দিচ্ছি। এছাড়া ওদের কোনো নেয়ার সিস্টেম নাই। তারপর ওরা জাহাজ স্টপ করালো। এরপর সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার, থার্ড ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে ইঞ্জিন রুমে গেলো।

তারপর জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয়। এখন পর্যন্ত জাহাজের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এবং আল্লাহর রহমতে আমাদেরও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে সবাই একটু ভয় পাচ্ছে। ওরা ভয় দেখাচ্ছে।”

মি. খান তার অডিও বার্তায় জানান, জাহাজে ২০-২৫ দিনের খাবার দাবার মজুদ আছে। ২০০ মেট্রিক টন খাবার পানি আছে। আমরা সবাইকে বলছি ফ্রেশ ওয়ার্টার সেফলি সবাইকে ইউজ করতে। আমরা এগুলো ওভাবেই হ্যান্ডেল করবো। তবে, একটা সমস্যা হচ্ছে জাহাজে কোল্ড কার্গো আছে প্রায় ৫৫ হাজার টন। এটা ডেঞ্জারাসও কার্গো। এতে ফায়ারেরও ঝুঁকি আছে। এতে মিথেন কনসেনট্রেশনও বেড়ে যায়। লাস্ট যখন অক্সিজেন মাপা হয় তখন ৯-১০ শতাংশ লেভেল ছিল।

মালিকপক্ষের কাছে পাঠানো অডিওর শেষ দিকে তিনি বলেন, “আমাদের জন্য দোয়া করবেন, স্যার। আমাদের পরিবারকে একটু দেখবেন, স্যার। সান্ত্বনা জানাবেন, স্যার। আসসালামুলাইকুম।”

স্বজনরা ভিড় করেছেন মালিকানা প্রতিষ্ঠানের সামনে
স্বজনরা ভিড় করেছেন মালিকানা প্রতিষ্ঠানের সামনে

স্বজনদের কান্না

দুপুরে জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর সন্ধ্যা পর্যন্ত নাবিকরা পরিবারের সাথে হোয়াটঅ্যাপে কথা বলেন। কেউ কেউ ক্ষুদে বার্তা পাঠান যে তারা জিম্মি হয়েছেন।

এমভি আব্দুল্লাহ’র ওয়েলার পদে কর্মরত মোহাম্মদ শামসুদ্দিন ঐ ঘটনার পর পরিবারের সাথে কথা বলেন। হোয়াটঅ্যাপে শামসুদ্দিন তার স্ত্রীকে বলেন, জলদস্যুরা মোবাইল নিয়ে যাচ্ছে আর কথা হবে না।

চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান ইফতারের আগে বেশ কয়েকবার কথা বলে পরিবারের সাথে। কিন্তু ইফতারের পর যোগাযোগ করতে পারেনি।

তার মা শাহানুর বেগম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমার ছেলের আমার সাথে সর্বশেষ যখন কথা হয় তখন আমাকে সে জানায় আমাদের সোমালিয়া নিয়ে যাচ্ছে। যখন ওরা জাহাজে উঠছিলো তখন প্রায় ছয়শো কিলোমিটার দূরে ছিল জাহাজটি”।

ওখানে পৌঁছাতে আড়াই দিন সময় লাগবে বলেও আতিকুল্লাহ খান তার মা কে জানিয়েছিলেন।

তার মা বলছিলেন, “আমাদের মনের অবস্থা কী বুঝতেই তো পারছেন। তিনটা ছোট ছোট মেয়ে জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষণ পরপর কান্না করতেছে। ওর স্ত্রী পাঁচ মাসের সন্তানসম্ভবা। সেও কিছুক্ষণ পরপর অসুস্থ হয়ে পড়ছে। গতকালও সে হাসপাতালে ছিল।”

যে কোনো কিছুর বিনিময়ে শাহানুর বেগম তার ছেলেসহ জিম্মিদের মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।

একইভাবে নাবিক সাজ্জাদ হোসেন তার পরিবারের সদস্যদের ফোন দিয়ে জানান, “আমাদের জলদস্যুরা ঘিরে ফেলেছে। গোলাগুলিও করছে। দোয়া করো আমার জন্য।”

স্বজনদের এমন খবরে প্রতিটি পরিবারই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন গতকাল দুপুর থেকে। দ্রুত আটকে পড়া নাবিকদের মুক্তির জন্য তারা সরকারের সহযোগিতাও চান।

জিম্মি নাবিকদের স্বজনদের ভিড়

বুধবার সকাল থেকে জিম্মি নাবিকদের স্বজনরা ভিড় করেন আগ্রাবাদের জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম’র কার্যালয়ের সামনে। তাদের অনেকেই জানতে চান কবে মুক্তি পাবেন তাদের স্বজনরা।

গণমাধ্যমে তারা জানান, জলদস্যুরা জাহাজে ওঠার পর পরিবারের সাথে অনেকেরই যোগাযোগ হয়নি।

পারভিন নামে এক জিম্মির স্বজন এসে গণমাধ্যমে জানান, তার ভাই জাহাজে সাধারণ নাবিক হিসেবে কর্মরত ছিল। জিম্মি হওয়ার পর থেকে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি।

এমন অনেকের স্বজনই সেখানে ছিলেন। মালিকানা প্রতিষ্ঠানটি আস্বস্ত করেছে দ্রুত যোগাযোগ করে তাদের মুক্তির ব্যাপারে কাজ করছে কেএসআরএম এর এসআর শিপিং গ্রুপ।

কেএসএআরএম গ্রুপের সিইও মেহেরুল করিম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “গতকাল রাতে সোমালিয়া উপকূলের দিকে রওনা দেয়ার সময় তারা একটি ম্যাসেজ পাঠিয়ে জানায় উপকূলের দিকে রওনা দিয়েছে। হয়তো কাল সকাল কিংবা দুপুরের দিকে পৌঁছাবে।”

এআর শিপিং গ্রুপ বলছে, এখন পর্যন্ত জলদস্যুদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি। কিন্তু মুক্তিপণের বিষয়েও কিছু জানানো হয়নি।

কেএসআরএম এর মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম রোববার বিবিসি বাংলাকে বলেন, “সর্বশেষ মঙ্গলবার গভীর রাতে একজন নাবিকের সাথে কথা হয়েছে আমাদের। তখন একজন নাবিক আমাদের বলেছেন, সবাই সুস্থ ও নিরাপদে আছেন। সেই ম্যাসেজটা আমাদেরকে জানিয়েছেন।”

ট্রাকিংয়ে জাহাজটির সর্বশেষ অবস্থান
ট্র্যাকিংয়ে জাহাজটির সর্বশেষ অবস্থান

এখন কোথায় আছে জাহাজটি

মঙ্গলবার দুপুরে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর এ খবর ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। তখন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি তদারকি শুরু করে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে সর্বশেষ এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের যে অবস্থান দেখা যাচ্ছে সেটি ছিল সোমালিয়া উপকূলের কাছাকাছি।

বাংলাদেশ নৌপরিবহন অধিদপ্তর বলছে, গতকাল বাংলাদেশ সময় দুপুরে জাহাজটি যখন জলদস্যুরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলো, তখন এটি সোমালিয়া উপকূল থেকে প্রায় ৫৭০ মাইল দূরত্বে ছিল। বর্তমানে জাহাজের অবস্থান রয়েছে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে সাড়ে চারশো নটিক্যাল মাইলের কাছাকাছি দূরত্বে।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরে মহাপরিচালক কমোডোর এম মাকসুদ আলম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এটি আস্তে আস্তে সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও দেখা যাচ্ছে ট্র্যাকিং ম্যাপে।”

এমন অবস্থায় সোমালিয়া উপকূলে পৌঁছাতে আরও কত সময় লাগবে? জবাবে নৌপরিবহন অধিদপ্তর বলছে, “জাহাজটি খুব ধীরে ধীরে চলছে। জলদস্যুদের গতিবিধি একেক সময় একেক রকম। আরও দেড় থেকে দুই দিন লাগবে বলে ধারণা দেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, জিম্মি অবস্থায় জাহাজটি ভারত মহাসাগরের সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উপকূলে পৌঁছাতে কমপক্ষে আরও একদিন সময় লাগবে। তারা এখনো কোনো প্রস্তাব দেয় নাই। আমরা বিভিন্নভাবে তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।

মি. ইসলাম বলেন, “সাধারণ দস্যুদের একটি ক্যারেক্টার থাকে। তারা আটকের পরই কোনো ডিমান্ড করে না। তারা আসলে একটা সেইফ জোন খুঁজে। সেইফ জোন তৈরি করার পর তারা আমাদের ডিমান্ড দিবে। দেন দরবার করবে। এখনো হয়তো সেইফ জোনে এখন তারা এখনো পৌঁছাতে পারেনি বলেই হয়তো এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারেনি।”

এমন পরিস্থিতি বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “জিম্মি নাবিকরা এই মুহূর্তে সুস্থ ও নিরাপদে আছে। আমরা নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার ও জাহাজটিকে রক্ষা করার চেষ্টা করছি”।


Spread the love

Leave a Reply