আরও দুই আইএস-বধূর ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃসিরিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-এ যোগ দেওয়া আরও দুই নারীর ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেছে যুক্তরাজ্য সরকার । (আজ) রোববার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে এমন তথ্য প্রকাশিত হয়।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল এবং সিরিয়ার শরণার্থীশিবিরে তাঁর নবজাতক শিশুর মৃত্যু নিয়ে চলমান তুমুল বিতর্কের মধ্যেই এই দুই নারীর নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত এল।

নাগরিকত্ব বাতিল হওয়া দুই আইএস-বধূ হলেন ৩০ বছর বয়সী রীমা ইকবাল এবং তাঁর বোন ২৮ বছর বয়সী জারা। এঁরা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। পূর্ব লন্ডনের বাসিন্দা ছিলেন। ২০১৩ সালে পালিয়ে সিরিয়ায় যান। সিরিয়ার দুটি ভিন্ন শরণার্থীশিবিরে বর্তমানে তাঁদের অবস্থান। এই দুই বোনের আট বছরের কম বয়সী পাঁচজন সন্তান রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা কোনো ব্যক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে মন্তব্য করে না। তবে প্রমাণের ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত মাসে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করে যুক্তরাজ্য সরকার। নাগরিকত্ব বাতিলের কয়েক দিন আগেই শামীমা তৃতীয় সন্তানের মা হন। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, নাগরিকত্ব বাতিলের আগে জন্ম হওয়া সন্তানের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বহাল থাকবে। কিন্তু শামীমার ব্রিটিশ সন্তানকে উদ্ধার কিংবা সহায়তার কোনো উদ্যোগ নেয়নি যুক্তরাজ্য। গত বৃহস্পতিবার শামীমার তিন সপ্তাহ বয়সী শিশু সন্তান মারা যায়। এ নিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। ওই শিশুর মৃত্যু মন্ত্রীর নিষ্ঠুরতার ফল বলে আখ্যায়িত করেছে বিরোধী দল লেবার।

যুক্তরাজ্য থেকে প্রায় ৯শ ব্যক্তি পালিয়ে সিরিয়ায় গিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসে যোগ দিয়েছিল বলে ধারণা। এদের মধ্যে অন্তত এক শ নারী এবং ৫০ জন শিশু রয়েছে। সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, আইএসে যোগ দেয়াদের মধ্যে চারশ জনের বেশি যুক্তরাজ্যে ফিরে এসেছে, যাদের মাত্র ৪০ জনকে বিচারের মুখোমুখি করতে পেরেছে সরকার।

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০১৭ সালে মোট ১০৪ জনের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল হয়। অথচ তার আগের ১০ বছরে নাগরিকত্ব বাতিল হয়েছিল মাত্র ৫০ জনের। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নাগরিকত্ব বাতিল হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বিদেশে জঙ্গিবাদে যোগদান এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকির বিবেচনা। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে ফৌজদারি অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণেও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার ঘটনা আছে। যেমন রচডেল এলাকার আলোচিত যৌন নিপীড়ক চক্রের তিনজনের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়।


Spread the love

Leave a Reply