ইসলামী ধর্মতত্ত্বের আশ্রয় নিয়ে সন্ত্রাসীর বিচার করলেন ব্রিটেনের বিচারক
বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ লন্ডনের টিউব হামলাকারী আহমেদ হাসানকে সাজা দেওয়ার রায়ে ইসলামি ধর্মতত্ত্বের আশ্রয় নিয়েছেন বিচারপতি হ্যাডন-কেইভ। উদ্ধৃত করেছেন মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থকেও। বলেছেন, অপরাধী শুধু বৃটিশ আইনই লঙ্ঘণ করেন নি। ইসলামি বিধানও লঙ্ঘণ করেছেন। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে মধ্য লন্ডনের একটি টিউব ট্রেনে হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় দোষী সাব্যস্ত হন আহমেদ হাসান।
শুক্রবার তাকে ৩৪ বছরের সাজা দেওয়া হয়। তার তৈরি করা বিস্ফোরক সম্পূর্ণভাবে বিস্ফোরিত হয়নি। ফলে কেউ মারা যায়নি। কিন্তু আহত হয় কমপক্ষে ৩০ জন। ১৮ বছর বয়সী হামলাকারী আহমেদ হাসান জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস’র প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন।
তাকে সাজা দিতে গিয়ে বিচারপতি চার্লস হ্যাডন কেইভ হামলাকারী আহমেদ হাসানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি হিরাবা (সন্ত্রাসকর্ম) সংঘটন করেছেন। এ সময় মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, আপনি দুনিয়ার বুকে অবক্ষয় সৃষ্টি করেছেন।
খবরে বলা হয়, বিচারক যে দু’টি শব্দ ব্যবহার করেছেন, তা দিয়ে ইসলামি বিধানে ‘বিদ্রোহ’কে বোঝানো হয়। তবে ইসলামি তাত্ত্বিকরা আধুনিক প্রকরণে সন্ত্রাসবাদ বোঝাতে এই শব্দ দু’টি ব্যবহার করেন।
বিচারপতি হ্যাডন কেইভ আরও বলেন, ‘আগামী বছরগুলোতে আপনি কারাগারে বসে ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়ন করার অশেষ সময় পাবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসলামে যেকোনো চরম কিছু নিষিদ্ধ। এর মধ্যে ধর্মীয় চরমপন্থাও অন্তর্ভূক্ত। যেই স্থানের বাসিন্দা ও অতিথি আপনি, সেই স্থানের আইন লঙ্ঘণ করা ইসলামে নিষিদ্ধ। ইসলামে সন্ত্রাসবাদ নিষিদ্ধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসলামী বিধানে বলা আছে যে, জমিনে ফিৎনা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ড চালানো ইসলামী বিধান অনুযায়ী সবচেয়ে নিকৃষ্ট অপরাধের একটি। বৃটিশ আইনেও তা-ই।’
১৬ বছর বয়সে, অর্থাৎ হামলা চালানোর ৩ বছর আগে, শরণার্থী হিসেবে ইরাক থেকে বৃটেনে আসেন আহমেদ হাসান। হামলার আগে নিজেকে অনাথ দাবি করে আশ্রয় চান তিনি। তার দাবি ছিল, ইরাক থেকে আসার আগে তাকে অপহরণ করে আইএস।