উহানের ল্যাবই কোভিডের উৎস কিনা – তদন্ত করেছে চীনও

Spread the love

ডেস্ক রিপোর্টঃ সারা পৃথিবীতে ২৫ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া কোভিড মহামারির উৎস হয়তো চীনের উহান শহরের একটি ল্যাবরেটরি – এমন সম্ভাবনা গত তিন বছর ধরেই জোরালোভাবে অস্বীকার করে আসছে চীন। কিন্তু এখন চীনেরই একজন শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী বলছেন, এমন সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেয়া ঠিক নয়, এবং চীনা কর্তৃপক্ষ নিজেও কোভিডের উৎস অনুসন্ধানের জন্য উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির ল্যাবরেটরিতে একটি তদন্ত চালিয়েছিল।

অধ্যাপক জর্জ গাও হচ্ছেন চীনা সরকারের একজন সাবেক বিজ্ঞানী, সেদেশের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বা সিডিসি-র চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। সেসময় মহামারি মোকাবিলা এবং এই সার্স-কোভ-টু ভাইরাসের উৎস সন্ধানের প্রয়াসে এক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছিলেন তিনি।

মধ্য চীনের উহান শহরের সংক্রামক রোগ গবেষণা কেন্দ্র উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির ল্যাবরেটরিই হয়তো এ ভাইরাসটির উৎস – এমনটি যেসব বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেন, তারা এর নাম দিয়েছেন ‘ল্যাব-লিক তত্ত্ব।’

চীন এরকম যে কোন সম্ভাবনার কথা জোরালোভাবে অস্বীকার করে থাকে।

কিন্তু প্রফেসর গাও এভাবে এক কথায় ব্যাপারটাকে উড়িয়ে দেন না।

বিবিসি রেডিও ফোরের এক অনুষ্ঠানে দেয়া সাক্ষাতকারে অধ্যাপক গাও বলেন, “আপনি যে কোন কিছুকেই সন্দেহ করতে পারেন। এটাই বিজ্ঞান, কোন সম্ভাবনাকেই বাদ দেবেন না।”

অধ্যাপক গাও একজন বিশ্ববিখ্যাত ভাইরোলজিস্ট এবং ইমিউনোলজিস্ট। তিনি গত বছর সিডিসি থেকে অবসর নিয়েছেন এবং এখন তিনি চীনের ন্যাশনাল ন্যাচারাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট।

চীনা সরকার নিজেই ‘ল্যাব-লিকে’র সম্ভাবনা তদন্ত করেছে

অধ্যাপক গাও বলছেন, কোভিডের ভাইরাস ল্যাবরেটরি থেকেই ছড়িয়েছিল কিনা তা বের করতে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি তদন্ত চালানো হয়েছে।

এতে আভাস পাওয়া যায় যে চীনের সরকারি বিবৃতিতে যাই বলা হোক না কেন – তারা হয়তো ভেতরে ভেতরে এই ল্যাব-লিক তত্ত্বটিকে বেশ খানিকটা গুরুত্ব দিয়েছে।

“সরকার এরকম কিছু একটা আয়োজন করেছিল” – বলেন অধ্যাপক গাও। তবে এতে তার নিজের বিভাগ বা সিডিসিকে জড়িত করা হয়নি বলেও তিনি জানান।

তার এ কথার অর্থ কি এই – যে চীনা সরকারের আরেকটি অংশ উহানের ইনস্টিটিউটে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত চালিয়েছিল? ব্যাপারটা পরিষ্কার করতে বললে অধ্যাপক গাও ইতিবাচর উত্তর দেন।

“হ্যাঁ” – বলেন তিনি, “এ বিষয়ে যারা বিশেষজ্ঞ তাদের দিয়ে ওই ল্যাবটিকে পুনরায় পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল।”

উহান ল্যাবরেটরিতে যে একটা সরকারি তদন্ত হয়েছিল তা এই প্রথম বারের মত কেউ স্বীকার করলেন।

তবে অধ্যাপক গাও বলছেন, তিনি ওই তদন্তের ফলাফল দেখেননি, তবে “শুনেছেন” যে ওই ল্যাবটিতে সেরকম কিছুই পাওয়া যায়নি ।

“আমার মনে হয় তারা এ সিদ্ধান্তেই উপনীত হয়েছেন যে তারা সব ধরনের প্রটোকল অনুসরণ করে চলেছে এবং কোন ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়নি।”

বাদুড়ই যে ভাইরাসের আদি উৎস – এটা ‘প্রায় নিশ্চিত’

কোভিড যে ভাইরাসের কারণে হয় – তা যে একসময় বাদুড় থেকে এসেছিল তা প্রায় নিশ্চিত।

কিন্তু বাদুড় থেকে কীভাবে তা মানুষের দেহে ঢুকলো – তা এক বিরাট এবং বিতর্কিত প্রশ্ন। তবে শুরু থেকেই প্রধানতঃ দুটি সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে।

একটি হলো: ভাইরাসটি প্রাকৃতিকভাবেই বাদুড় থেকে মানুষের দেহে ছড়িয়েছে – সম্ভবত অন্য কোন প্রাণীর মাধ্যমে। অনেক বৈজ্ঞানিকই বলেন, যত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে তার বেশিরভাগ থেকেই মনে হয় – খুব সম্ভবত এমনটাই ঘটেছে।

কিন্তু অন্য একদল বৈজ্ঞানিক বলেন, অন্য একটি সম্ভাবনাও আছে যা উড়িয়ে দেবার মত যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ এখনো নেই।

তারা বলছেন, প্রকৃতি থেকে আসা ভাইরাসের ঝুঁকি আরো ভালোভাবে অনুধাবন করার গবেষণা যারা করছিলেন, তাদেরই কেউ একজন হয়তো ওই ভাইরাসটিতে সংক্রামিত হয়েছিলেন।

এই দুই তত্ত্বের লড়াই এখন ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে বহু রকম ষড়যন্ত্র তত্ত্বের ।

একে কেন্দ্র করে যে বৈজ্ঞানিক বিতর্ক হচ্ছে তা এ যুগের অন্যতম বিষাক্ত এবং রাজনৈতিক চেহারা নিয়েছে।

উহানের ল্যাবেও দেখা দিয়েছিল উদ্বেগ

তখন ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস। করোনাভাইরাস তখন সবেমাত্র ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।

সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক একজন বিজ্ঞানী অধ্যাপক ওয়াং লিনফা তখন উহান ইনস্টিিটউট অব ভাইরোলজিতে সফরে এসেছেন। তিনি ছিলেন ওই ইনস্টিটিউটের একজন সাম্মানিক অধ্যাপক।

তিনি বলছেন, ইনস্টিটিউটের একজন সহকর্মী তখন একটি ল্যাব-লিক অর্থাৎ ল্যাবরেটরি থেকে অসাবধানতাবশতঃ কিছু একটা বাইরে বেরিয়ে যাবার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সেই উদ্বেগ বাতিল করতে সক্ষম হয়েছিলেন – বলছেন অধ্যাপক ওয়াং।

প্রফেসর ওয়াং ছিলেন সিঙ্গাপুরের ডিউক-এনইউএস মেডিক্যাল স্কুলের সংক্রামক ব্যাধি বিষয়ক অধ্যাপক। তিনি নিয়মিত কাজ করতেন উহান ইনস্টিটিউটে একই বিষয়ের অধ্যাপক শি ঝেংলির সাথে।

তারা দুজন দীর্ঘদিনের বন্ধু, এবং দুজনেই বাদুড় থেকে আসা করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ বিশেষজ্ঞদের অন্যতম।

এ কারণে তাদের ডাকা হতো “ব্যাটম্যান” এবং “ব্যাটওম্যান” বলে।

অধ্যাপক ওয়াং বলছেন, অধ্যাপক শি তাকে একটি ঘটনার কথা বলেছিলেন যা নিয়ে তিনি দু-এক রাত ঘুমোতে পারেননি।

কারণ শি ঝেংলি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন যে সম্ভবত “ল্যাবে একটি নমুনা ছিল যার কথা তিনি জানতেন না, কিন্তু তাতে ভাইরাস ছিল এবং সেই নমুনাটি দিয়ে কিছু একটা দুষিত হয় – এবং তা বাইরে চলে গেছে।”

কিন্তু অধ্যাপক ওয়াং বলছেন তিনি তার নমুনাগুলো চেক করেছিলেন এবং তাতে এমন কোন ভাইরাস থাকার প্রমাণ পাননি যা কোভিড সংক্রমণের কারণ হতে পারে। মহামারি ঘটাতে পারে এমন অন্য কোন ভাইরাসেরও প্রমাণ পাননি তিনি।

তিনি আরো বলছেন, অধ্যাপক শি বা তার দলের অন্য কেউ যে ল্যাব থেকে কোন কিছু বেরিয়ে যাবার কথা গোপন করছেন এমন সম্ভাবনাও ‘একেবারেই নেই’ – কারণ তাদের আচরণে এমন কিছু ঘটার কোন লক্ষণ ছিল না। তারা বাইরে খেতে যাচ্ছিলেন, গানের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছিলেন – সবকিছুই ছিল স্বাভাবিক।

উহান ইনস্টিটিউটে কিছু গবেষকের ‘জ্বর হয়েছিল’

নিকট অতীতে কিছু মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ডি-ক্লাসিফাই করে প্রকাশ করা হয়েছে – যাতে দেখা যায়, উহান ইনস্টিটিউটের কিছু গবেষক ২০১৯ সালের হেমন্তকালে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

তাদের যেসব উপসর্গ দেখা দিয়েছিল তার সাথে কোভিড-১৯ এবং মৌসুমী অসুস্থতা – দুটিরই মিল ছিল।

কিন্তু অধ্যাপক ওয়াং বলেন, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তিনি অধ্যাপক শি-কে পরামর্শ দিয়েছিলেন যেন তিনি তার দলের রক্ত পরীক্ষা করে দেখেন যে তাদের দেহে কোভিড অ্যান্টিবডি পাওয়া যায় কিনা।

তিনি বলছেন, অধ্যাপক শি তার পরামর্শ অনুযায়ী তাই করেছিলেন এবং সব পরীক্ষাতেই ‘নেগেটিভ ‘ ফল পাওয়া গিয়েছিল।

উহানের সী ফুড মার্কেটই কি কোভিডের উৎস?

উহানের সীফুড মার্কেট
উহানের সীফুড মার্কেট

অধ্যাপক ওয়াং হচ্ছেন সেই বিজ্ঞানীদের একজন যারা মনে করেন – প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণ থেকে জোরালোভাবে প্রতীয়মান হয় যে ভাইরাসটি প্রাণী থেকে মানুষের দেহে ঢুকেছিল উহানের একটি বাজারে।

উহানের এই বাজারটি সী ফুড মার্কেট নামে পরিচিত হলেও তাতে আরো অনেক কিছুই বিক্রি হতো – যার মধ্যে বন্য স্তন্যপায়ী প্রাণীও ছিল ।

প্রথম দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের অনেকেই ছিল এমন লোক – যারা ওই বাজারে কাজ করতো বা সেখানে কেনাকাটা করেছিল।

এ ক্ষেত্রে চীনের আচরণে স্বচ্ছতার অভাব ছিল ঠিকই – কিন্তু তা সত্ত্বেও এই বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে এখন তাদের হাতে যথেষ্ট উপাত্ত আছে। এর মধ্যে আছে প্রথম দিকে আক্রান্তদের তথ্য এবং ওই বাজারটির পরিবেশগত নমুনা সংক্রান্ত উপাত্ত। তারা বলেন, এগুলো দিয়ে ল্যাব-লিকের সম্ভাবনা বাতিল করে দেয়া যায়।

প্রকৃতপক্ষে শুরু থেকেই এমন দাবি করা হচ্ছিল।

২০২০ সালের মার্চ মাসে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছিল যা ইন্টারনেট যুগের অন্যতম বহুলপঠিত এবং বিতর্কিত বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র।

“দ্য প্রক্সিমাল অরিজিন অব সার্স-কোভ-টু” নামের ওই পেপারটি লিখেছিলেন ভাইরোলজি এবং নতুন রোগ সংক্রান্ত শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা। এতে উপসংহার টানা হয়েছিল যে ল্যাবরেটরি-ভিত্তিক কোন ধারণা যৌক্তিক বলে তারা বিশ্বাস করেন না।

এর ফলে খুব দ্রুতগতিতে মিডিয়ার মাধ্যমে এই ধারণা ছড়িয়ে পড়ে যে এই ‘ল্যাব-লিক’ হচ্ছে একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব।

আগেকার তত্ত্ব নিয়ে সংশয়

অধ্যাপক ইয়ান লিপকিন
অধ্যাপক ইয়ান লিপকিন

কিন্তু ওই গবেষণাপত্রের লেখকদেরই একজন বলছেন, তারা আগে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন তা কতটা দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত – তা নিয়ে তার সংশয় আছে।

ইনি হচ্ছেন ইয়ান লিপকিন – যিনি নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিডেমোলজির অধ্যাপক। চীন এবং বিশ্বের অন্যত্র রোগের উৎস সন্ধানে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। ‘কন্ট্যাজিওন’ নামে হলিউডে নির্মিত ছবির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি।

অধ্যাপক লিপকিন বলছেন, উহানের বাজার থেকে কোভিড এসেছিল এ ধারণাটির সম্ভাব্যতাই সবচেয়ে বেশি বলে তিনি এখনো মনে করেন। তা ছাড়া ভাইরাসটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি করা হয়েছিল এমনটাও তিনি বিশ্বাস করেন না।

তবে তিনি এটাও মনে করেন যে, ল্যাবরেটরি বা রিসার্চ সংক্রান্ত সম্ভাবনাগুলোও খারিজ করে দেবার সময় এখনো আসেনি।

সীফুড মার্কেটের কাছে ‘আরেকটি ল্যাবরেটরি’

উহান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের ল্যাবরেটরি
উহান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের ল্যাবরেটরি

এ ব্যাপারে তিনি নিজে যে তত্ত্ব দিচ্ছেন – তাতে তিনি আঙুল তুলছেন উহানেরই অন্য আরেকটি ল্যাবরেটরির দিকে।

এটি পরিচালনা করে উহান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং এর অবস্থান হুয়ানান সীফুড মার্কেট থেকে মাত্র কয়েকশ’ মিটার দুরে।

এই ল্যাবটি হাজার হাজার বন্য বাদুড়ের রক্ত ও বিষ্ঠার নমুনা সংগ্রহ করার সাথে জড়িত ছিল । এটাও জানা ছিল যে অনেক সময় সেখানে উপযুক্ত সুরক্ষা পোশাক না পরেই গবেষণা কর্ম চালানো হতো। চীনের সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে রিপোর্ট বেরিয়েছিল এবং এতে স্পষ্টতই সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়।

“এখানে যে লোকেরা কাজ করতেন তারা হয়তো কোন গুহায় বাদুড় সংগ্রহের সময় সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন” – বলেন প্রফেসর লিপকিন।

তিনি আরো বলেন, ২০২০ সালের মার্চে তারা যে গবেষণা পত্রটি লিখেছিলেন তখন তারা এই ল্যাবটি এবং তাদের কাজ সম্পর্কে জানতেন না।

মি. লিপকিন বলছেন, হুয়ানান সীফুড মার্কেটকে ভাইরাসটির সম্ভাব্য উৎস বলে অঙ্গুলিনির্দেশ করে যেসব বিশ্লেষণ হয়েছে – তাতে কোভিডের উৎস সম্পর্কিত প্রশ্নের মীমাংসা হয় না।

তার কথা হলো, কোভিড ভাইরাসটির উৎস হয়তো “বাজারের বাইরে কোথাও হতে পারে – যা বাজারের মধ্যে বিস্তৃতি লাভ করেছে।”

চীনের সরকারি ভাষ্যের সাথে গরমিল

অধ্যাপক গাও যা বলছেন, তার সাথে চীনের প্রকাশ্য অবস্থানের গুরুতর অমিল রয়েছে। এমনকি একে ঝুঁকিপূর্ণও বলা যায়।

যুক্তরাজ্যে চীনের দূতাবাস বলেছে,”এই তথাকথিত ‘ল্যাব-লিক’ তত্ত্ব হচ্ছে চীন-বিরোধী শক্তিগুলোর তৈরি করা একটা মিথ্যে কথা যার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই এবং যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। “

চীন সরকার তার প্রচারণায় তৃতীয় একটি অদ্ভূত এবং অপ্রমাণিত তত্ত্বও দিয়েছে যে ‘বিদেশ থেকে আসা হিমায়িত খাদ্যের প্যাকেজিংএর মাধ্যমে’ এ ভাইরাস চীনে এসে থাকতে পারে।

তার মানে চীন “বাজার” বা “ল্যাব” এ দুই তত্ত্বের কোনোটিই স্বীকার করে না।

একদিক থেকে দেখলে প্রফেসর গাও যা বলছেন – তাকে এই অবস্থানেরই একটা অধিকতর বৈজ্ঞানিক সংস্করণ বলা যেতে পারে।

তিনি কোনো তত্ত্বকেই অস্বীকার করছেন না।

“আমরা আসলেই জানিনা ভাইরাসটি কোথা থেকে এসেছিল – প্রশ্নটি এখনো উন্মুক্ত” , বিবিসিকে বলেন প্রফেসর গাও।

সমস্যা হচ্ছে চীনের বাইরে মোটামুটি একটা বিষয়ে ঐকমত্য আছে যে চীন তথ্যপ্রমাণ খুঁজতে বা তা শেয়ার করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট কাজ করেনি।

কোভিড কোথা থেকে এসেছিল?

এই মহামারিতে হারানো প্রতিটি জীবনের জন্য এবং যারা এ জন্য ভুগেছে, এখনো ভুগছে – তাদের জন্যও এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।


Spread the love

Leave a Reply