এক সাথে ব্রিটিশ বাংলাদেশী পিতা পুত্র ও মেয়ের ডিগ্রী অর্জন

Spread the love

joynelfamilyবাংলা সংলাপ ডেস্ক:ব্রিটেনে শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য কৃতিত্ব দেখিয়েছে এক বাংলাদেশী পরিবার। শিক্ষা লাভে বয়স যে কোন বাধা নয় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছেন শেখ মো: জয়নাল আবেদিন। দৃঢ় মনোবলের অধিকারী জয়নাল আবেদিন ৫৩ বছরে ব্রিটিশ ডিগ্রী অর্জন করছেন। শুধু তিনিই নয়, একই বছরে, একই সাথে তার দুই ছেলে এক মেয়ে ডিগ্রী অর্জন করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। স্টাফোর্ড শায়ারের স্টকঅনটেন্টে বসবাসকারী জয়নাল আবেদিন ও তার পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নের পাশাপাশি আইন পেশার সাথে জড়িত রয়েছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর (মামদপুর) গ্রামে জন্ম গ্রহনকারী শেখ মো: জয়নাল আবেদিন ১৯৮৫ সালে সৌদিয়া আরব গমন করেন। সেখান থেকে ১৯৮৮ সালে লন্ডনে আসেন। ১৯৯০ সালে তিনি ওল্ডহামের চীপস্ট্রিটের বাসিন্দা মৃত হাজী আব্দুন নূর এর ১ম মেয়ে সেবিনা বিবিকে বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ব্রিটিশ ডিগ্রী অর্জন করবেন এমন মনোবল নিয়ে তিনি ২০০৭ সালে নিউক্যাসল কলেজে ভর্তিহন। এরপর ২০০৯ সালে ভর্তিহন স্ট্যাফোর্ড শায়ার ইউনিভার্সিটিতে। গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন ২০১৫ সালে।
বর্তমানে একই ইউনিভার্সিটিতে তিনি লিগ্যাল প্রেক্টিস কোর্স করে যাচ্ছেন। তিনি ভবিষ্যতে একজন আইনজীবি হিসেবে সমাজের সেবা করতে আগ্রহী।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ২ ছেলে ৪ মেয়ের জনক। উল্লেখ্য একই বছর তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে। তারা হচ্ছেন শেখ ফয়সল আবেদিন (২৪), ফাজায়েল আবেদিন (২৩), শেখ নাদিয়া আবেদিন (২১)।ফয়সল আবেদিন ডিগ্রী সম্পন্ন করেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি লন্ডন থেকে। বর্তমানে তিনি বার’ল কোর্স করছেন বিপিপি ল’ স্কুল লন্ডন থেকে। ইতিমধ্যে তিনি অনর‌্যাবল সোসাইটি অফ ইনার টেম্পল এর মেম্বারসীপ লাভ করেছেন।ফাজায়েল আবেদিন এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন ইষ্টলন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে একইভাবে নাদিয়া আবেদিন এলএলবি কোর্স সম্পন্ন করেন কিল ইউনিভার্সিটি থেকে।
শেখ মো: জয়নাল আবেদিন মরহুম শেখ সোনাহর আলীর বড় ছেলে। তার গ্রামের বাড়ী জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে।
উল্লেখ্য তিনি বিশ্বনাথ উপজেলার রামসুন্দর অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮১ ইংরেজীতে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে ফার্মাস্টি হিসেবে অধ্যয়ন করেন এবং কিছুদিন পল্লী চিকিৎসক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। পরে তিনি সৌদি আরব গমন করেন।


Spread the love

Leave a Reply