এ পর্যন্ত নিহত ২১, এখনও নিখোঁজ অনেক, বাড়ছে লাশের সংখ্যা, উদ্বিগ্ন স্বজনদের অপেক্ষা

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃদুপুর পৌনে একটায় লাগা বনানীর এফ আর টাওয়ারের আগুন রাত আটটার দিকে নিভেছে। দিনভর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিটের পাশাপাশি যোগ দিয়েছে তিন বাহিনী। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে চলেছে উদ্ধার তৎপরতা। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভয়াবহ এই আগুনে বিদেশি নাগরিকসহ অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অর্ধ শতাধিক। উদ্ধার তৎপরতা চলছে। ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত সূত্রগুলো বলছে ভবনটির অষ্টম তলা ১৩ তলা পর্যন্ত আগুনের উত্তাপ বেশি থাকায় এসকল ফ্লোরে হতাহতের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে।

বিকাল থেকে সবশেষ রাত আটটা পর্যন্ত উদ্ধারকৃত মরদেহের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ জনে।

বিকাল থেকে বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ারা নিহতের তালিকায় যুক্ত হলেও সন্ধ্যায় নিরাপত্তাকর্মীরা ভবনের ভেতর প্রবেশ করলে চিত্র বদলাতে থাকে। এ সময়কালে উদ্ধার হওয়া বেশিরভাগই লাশ। সন্ধ্যা ৭ টার পর ভবনটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কক্ষগুলো থেকে একসঙ্গেই ১৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত ফায়ার সার্ভিসের টানানো তালিকায় নিহত ও আহতের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে।

আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টে জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, আব্দুল্লাহ আল ফারুকের শরীরের শতকরা ৯০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। তার সঙ্গে পাওয়া পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, তার নাম আব্দুল্লাহ আল ফারুকী। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবি-এর শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম মকবুল আহমেদ। এছাড়া আবু হোসেন ও রেজাউল আহমেদ নামে দুইজনকে হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
আগুনের ঘটনায় অপর নিহত একজন হচ্ছেন শ্রীলঙ্কান নাগরিক। নিরস চন্দ্র (৪০) নামে শ্রীলঙ্কান এই নাগরিক আগুনের তাপ থেকে বাঁচতে ৭ তলা থেকে পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে আহত হলে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। লাশ মর্গে আছে।

এছাড়া ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎকরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহতরা হলেন, মনির (৫০), মামুন (৩৬) ও মাকসুদুর রহমান (৩২)। ইউনাইটেড হাসপাতপালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও পাঁচজন।
অন্যদিকে অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা গেছেন আমেনা এবং বনানী ক্লিনিকে মারা গেছেন পারভেজ সাজ্জাদ।
চিকিৎসকরা জানান, মারা যাওয়া অধিকাংশ ব্যক্তিরা আগুন থেকে বাঁচতে ভবন থেকে লাফ দিয়েছিলেন। প্রাণ বাঁচাতে ভবনের ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৫ জন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ১৯ জন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ১১ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিকেল ৫টার দিকে স্বরাষ্ট্র সচিব শহিদুজ্জামান আহত ও দগ্ধদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যান।


Spread the love

Leave a Reply