কাতারকে হারিয়ে টিকে থাকলো সেনেগাল

Spread the love

স্পোর্টস ডেস্কঃ কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক কাতারকে ৩-১ গোলে হারিয়ে নক আউট পর্বের আশা বাঁচিয়ে রাখলো সেনেগাল। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যে ৭ টায় মাঠে নামে কাতার ও সেনেগাল। ম্যাচের ৪১ মিনিটে বউলিয়া ডিয়া করা গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সেনেগাল। বিরতি থেকে ফিরে আরও দুই গোল করে সেনেগাল। এই ম্যাচে হারের ফলে বিশ্বকাপ থেকে অনেকটায় ছিটকে গেলো স্বাগতিক কাতার।
ম্যাচের শুরুতেই স্বাগতিকদের চাপে রাখে সেনেগাল। ম্যাচের ৮ মিনিটে ডান দিক থেকে আক্রমণ রচনা করে সেনেগাল। তবে তা প্রতিহিত করে দেন কাতারের ডিফেন্ডাররা। সেনেগালের আক্রমণের বিপরীতে কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর খেলতে থাকে কাতার। ম্যাচের ১৫ মিনিটে সাজানো আক্রমণে করে কাতার। ডি বক্সের বাইরে থেকে ভলি করেন আফিফ। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে। অন্যদিকে ১৬ মিনিটে সেনেগালের কর্নার থেকে নেওয়া হেড চলে যায় গোলপোস্টের বাইর দিয়ে।
ম্যাচের ২৩ মিনিটে কাতারের ডি বক্সের বাইর থেকে কোনাকোনি শট করেন গানা। তবে তা অল্পের জন্য চলে যায় সাইডপোস্টের বাইর দিয়ে। ম্যাচের ২৭ মিনিটে কাতার গুছিয়ে আক্রমণে গেলেও তা কোন বিপদ ঘটাতে পারেনি। ম্যাচের ২৯ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে যায় সেনেগাল। গোলরক্ষক জায়গা ছেড়ে বেড়িয়ে এলে গোলের সম্ভাবনা জাগিয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে যায় কাতার। বাম প্রান্ত ধরে বল নিয়ে সেনেগালের ডি বক্সে ঢুকে যায় আফিফ। এসময় তাকে বাঁধা দেয় সেনেগাল ডিফেন্ডার। পেনল্টির আবেদন করলেও তাতে সাড়া দেননি রেফারি। ম্যাচের ৪১ মিনিটে গোলের দেখা পায় সেনেগাল। কাতার ডিফেন্ডারের ভুলে ডি বক্সের ভেতর থেকে প্লেসিং শটে গোল করে সেনেগালকে এগিয়ে দেন বউলিয়া ডিয়া।
এরপর দু’দল কয়েকটি আক্রমণ করলেও তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত স্বাগতিক কাতারের বিপক্ষে এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সেনেগাল।
 
বিরতি থেকে ফিরেই আবারও গোলের দেখা পায় সেনেগাল। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে কর্নার আদায় করে সেনেগাল। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে সেই কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে হেড করে কাতারের জালে জড়ান ফামারা ডিইধিউ। সেনেগালের লিড বাড়িয়ে দেন তিনি। দুই গোলের লিড নিয়ে স্বাগতিকদের ওপর আরও চড়াও হয়ে খেলতে থাকে সেনেগাল।
ম্যাচের ৫৫ মিনিটে সুযোগ পায় কাতার। ফ্রি কিক থেকে বল ভাসিয়ে দেয় আফিফ। সেখানে জটলার মধ্যে বল পেয়ে শট করে কাতারের স্ট্রাইকার। তবে তা সেনেগালের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। ম্যাচের ৬১ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে সেনেগালের গোলমুখে থেকে আচমকা শট করেন আব্দিল করিম হাসান। তবে তা চলে যায় গোলপোস্টের বাইর দিয়ে। এরপর ৬৩ মিনিটে আফিফের পাস থেকে শট করেন আলমোয়েজ আলি। কিন্তু তা রুখে দেন সেনেগালের গোলরক্ষক মেন্ডি।
ম্যাচের ৬৬ মিনিটে ডান দিক থেকে বাড়ানো বলে হেড করেন ইসমাইল মোহাম্মদ। তবে মেন্ডির অসাধারণ সেভে গোল বঞ্চিত হয় কাতার। তবে ম্যাচের ৭৮ মিনিটে গোলের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম গোলের দেখা পায় কাতার। ডান দিক ইসমাইল মোহাম্মদের বাড়ানো বলে হেড করে বল জালে জড়ান মোহাম্মদ মুন্তারি। এক গোল শোধ করে ম্যাচে ফেরে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে কাতার।
কিন্তু ম্যাচের ৮৩ মিনিটে উলটো গোল খেয়ে বসে কাতার। ডান দিক থেকে সাজানো আক্রমণে ডিয়াংয়ের গোলে ফের দুই গোলের লিড ফিরে পায় সেনেগাল।
এরপর একাধিক আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালায় দু’দল। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ৩-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেনেগাল।

Spread the love

Leave a Reply