খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পরেও সৌদি অর্থ নেয়া অব্যাহত রেখেছে টনি ব্লেয়ারের প্রতিষ্ঠান

Spread the love

ডেস্ক রিপোর্টঃ সৌদি বংশোদ্ভূত সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডের পরও সৌদি সরকারের থেকে অর্থ নেয়া অব্যাহত রেখেছে সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের প্রতিষ্ঠান। সৌদি সরকারকে পরামর্শ দেয়ার বিনিময়ে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ নেয়া হয়। এ খবর দিয়েছে স্কাই নিউজ।
খবরে বলা হয়, টনি ব্লেয়ারের প্রতিষ্ঠান ‘ব্লেয়ার ইনস্টিটিউশন’ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সৌদি আধুনিকায়ন প্রকল্পের অন্যতম পরামর্শদাতা। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সৌদি সরকারের কয়েক মিলিয়ন ডলারের চুক্তি রয়েছে।

এদিকে বিশ্বজুড়ে এমবিএস নামে পরিচিত সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে হত্যা করা হয় মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে। সেই হত্যাকাণ্ডের জন্য এমবিএসকে দায়ী করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন। এ ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কও অবনতির দিকে গিয়েছিল।
যদিও সে সময়ও সৌদি আরব থেকে অর্থ গ্রহণ করছিল ব্লেয়ার ইনস্টিটিউশন। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের প্রতিষ্ঠান সৌদি আরবের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, পর্যটন খাতের উন্নতিসহ সামগ্রিক উন্নতির লক্ষ্যে ঘোষিত ‘ভিশন-২০৩০’ পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান পরামর্শদাতা। জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডের পর ২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই চুক্তি কীভাবে এগিয়ে যাবে সে বিষয়ে সন্দিহান ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। তবে টনি ব্লেয়ারের মতে, ‘জঘন্য অপরাধ’ সংঘটনের পরও এই চুক্তি বা সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ‘যৌক্তিক’ এবং এই অবস্থানের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীই দ্বিমত করেননি।

ব্লেয়ার ইনস্টিটিউটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী সময়ে সৌদি আরব এবং যুবরাজের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর সম্পর্ক প্রমাণ করে যে, এই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।
এদিকে আরেক বৃটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সৌদি যুবরাজকে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে ডাউনিং স্ট্রিট আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি এখনো। এই সফরের বিষয়টি যদি সত্যি হয় তাহলে এটি স্পষ্ট হবে যে, খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর আবারও এমবিএসকে কাছে টেনে নিচ্ছে পশ্চিমারা। সৌদি আরবের মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও বৃটেন দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায়। ব্রেক্সিটের পর আরব দেশগুলো থেকে বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা করছে দেশটি। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে,এখনও এমবিএসের সফরের বিস্তারিত নির্ধারিত হয়নি।

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাক গত নভেম্বরে বালিতে জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে যুবরাজ মোহাম্মদের সাথে দেখা করেছিলেন। সেখানে তারা সামাজিক সংস্কার এবং নাগরিক স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করলেও সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গ তোলেননি সুনাক।


Spread the love

Leave a Reply