গেটাফের জালে মেসি-নেইমারের গোলবন্যা

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্ক:

ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষকে গোলবন্যায় ভাসালো বার্সেলোনা। চলতি মৌসুমে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা লুইস সুয়ারেজকে ছাড়াই গেটাফের জালে গোল উৎসব সেরে ফেলেছে অদম্য বার্সেলোনা। ৬-০ গোলের এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রতিপক্ষদেরও সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছে লা লিগার শিরোপা ধরে রাখার পথে এগিয়ে চলা লুইস এনরিকের দল।

গতকাল শনিবার ক্যাম্প ন্যুতে জোড়া গোল করেন এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা নেইমার। ব্রাজিলের এই তারকা ফরোয়ার্ডের দুটি গোলই মেসির বানিয়ে দেওয়া। পাঁচ বারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার একটি পেনাল্টি মিস করলেও দারুণ একটি গোলে স্কোরশিটে নাম তোলেন। একটি করে গোল করেন সুয়ারেজের বদলে শুরুর একাদশে থাকা মুনির এল হাদ্দাদি ও মিডফিল্ডার আর্দা তুরান। তবে বার্সার হয়ে গোলের খাতা খুলেছেন কিন্তু প্রতিপক্ষের রদ্রিগেজ।

ম্যাচের শুরু থেকেই একতরফা দাপট ছিল বার্সেলোনার। তবে ম্যাচের অষ্টম মিনিটে প্রথম গোলটি আসে গেটাফের খেলোয়াড়ের পা থেকে। মেসি বল বাড়ান ডি-বক্সের বাঁ দিকে জর্ডি আলবাকে। তার নিচু ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে জালে জড়িয়ে দেন হুয়ান রদ্রিগেজ।

দুই মিনিট পরই পেনাল্টি থেকে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন মেসি। ডি-বক্সে নেইমারকে ভেলাসকেস ফেলে দিলে স্পট কিকের নির্দেশ দিয়েছিলেন রেফারি। ডান দিকে মারা মেসির দুর্বল শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। ২০তম মিনিটে ইনিয়েস্তার দুর্দান্ত পাস ডি-বক্সের ভেতরে খুঁজে পায় মেসিকে। আর্জেন্টিনা অধিনায়কের ক্রসে হেড করে ব্যবধান বাড়ান মুনির। সামনে আর্সেনালের বিপক্ষে ক্যাম্প ন্যুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে এবারের লা লিগায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬টি গোল করা সুয়ারেজকে বিশ্রাম দিয়ে তরুণ মুনিরকে নামিয়েছিলেন এনরিকে।

১২ মিনিট পর আবারও গোলের যোগানদাতা মেসি। ডি-বক্সে নিখুঁতভাবে বাড়ানো বলে প্রথম ছোঁয়াতেই গোল করেন নেইমার। দুটি গোলে অবদান রাখার পর ৪১তম মিনিটে নিজেই গোল করেন মেসি। ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে নেওয়া তার জোরালো শট এবার ঠেকাতে পারেননি গোলরক্ষক। ২২টি গোল করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (২৭) আর সুয়ারেজের পর লা লিগার এ মৌসুমে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসি।

বিরতির পর ম্যাচের ওই একই চিত্র; একের পর এক আক্রমণ বার্সেলোনার। ৪৯তম মিনিটে এমন একটি আক্রমণ থেকে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন তুরান। ইনিয়েস্তার দুর্দান্ত বাড়ানো বল পেয়ে মেসি নিজে শট না নিয়ে বাড়িয়েছিলেন পোস্টের মাত্র আট গজ দূরে থাকা তুরানকে। কিন্তু তুরস্কের এই মিডফিল্ডার নিলেন লক্ষ্যভ্রষ্ট শট।

তবে একটু পরেই গোলে সহায়তার হ্যাটট্রিক তুলে নেন মেসি। ৫১তম মিনিটে আর্জেন্টিনা অধিনায়কের নিখুঁত ভাবে বাড়ানো বল ডি-বক্সে খুঁজে নেয় নেইমারকে। প্লেসিং শটে বল জালে জড়িয়ে দেন ব্রাজিল অধিনায়ক। এই মৌসুমে লা লিগায় গোল হলো তার ২০টি।

গোলের দ্বিতীয় সুযোগটা এর পর আর নষ্ট হতে দেননি তুরান। ওভারহেড কিকে বল জালে পাঠান অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে এই মৌসুমে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া এই ফুটবলার। লিগে এটা বার্সেলোনার টানা দ্বাদশ জয়। আর এ নিয়ে টানা ৩৭টি ম্যাচে অপরাজিত রইলো কাতালান ক্লাবটি।

২৯ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনা আরেক ধাপ এগিয়ে গেল লা লিগার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে। এক ম্যাচ কম খেলা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে ১১ পয়েন্ট এগিয়ে আছে তারা। ৬০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ২৮ ম্যাচ খেলা রিয়াল মাদ্রিদ।


Spread the love

Leave a Reply