চীনের পুঁজিবাজারে আবারো ধ্বস, লেনদেন বন্ধ

Spread the love

china-stocks-dive-filippone-070815বাংলা সংলাপ ডেস্ক

মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে আবরো পুঁজিবাজারের লেনদেন বন্ধ করতে বাধ্য হলো চীনা কর্তৃপক্ষ। ব্যাপক দর পতনের ফলে গত ৪ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো লেনদেন বন্ধ করা হয়েছিল। এরপর বাজারকে চাঙ্গা করতে সরকার প্রায় দুই হাজার কোটি ডলারের প্রণোদনা ঘোষণা করে। তাতেও কাজে আসেনি। বৃহস্পতিবার ফের বড় দরপতন হয় চীনের শেয়ারবাজারে। তাই শেষ পর্যন্ত সরকার বাধ্য হয়ে শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ করে দেয়। খবর বিবিসির।

গত ডিসেম্বরে বড় ধরনের দরপতন ঠেকাতে সার্কিট ব্রেকারে আরোপ করে চীনের শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সার্কিট ব্রেকারের নিয়ম অনুযায়ী সূচকে ৭ শতাংশ পতন হলে লেনদেন বন্ধ করে দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরুর মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সিএসআই-৩০ সূচক ৫ শতাংশ কমে গেলে ১৫ মিনিটের জন্য লেনদেন বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর আবার লেনদেন শুরু হলেও পতনের ধারা থেকে বের হতে পারেনি বাজার। শেষ পর্যন্ত সিএসআই-৩০ সূচকে ৭ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৩ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে নেমে আসলে লেনদেন বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সাংহাই কম্পোজিট সূচকের পতন হয়েছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ এবং সেনজেন সূচকের পতন হয়েছে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ।

এদিকে ফের বড় ধরনের পতন এড়াতে চীনের শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বড় বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। গত ছয় মাস আগে তাদের শেয়ার বিক্রির ওপর ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। ৮ জানুয়ারি নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। এর ফলে বড় বিনিয়োগকারীরা কোনো কোম্পানির ১ শতাংশের বেশি শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না। আগামী ৩ মাস পর্যন্ত শেয়ার বিক্রির এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

জানা গেছে, রফতানি আয় বাড়াতে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশিয় মুদ্রার মূল্যমান কমাতে যাচ্ছে। তারা মনে করছে, দেশের অর্থনীতি পরিস্থিতি ধারণার চেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে মুদ্রামান কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সিদ্ধান্ত শেয়ার বাজারে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি কর থাকতে পারে।


Spread the love

Leave a Reply